14.8 C
London
Thursday, March 23, 2023
HomeUncategorizedAfrica : এবার সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী গোষ্ঠীর গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভ! সুদান রক্তাক্ত

Latest Posts

Africa : এবার সেনা অভ্যুত্থান বিরোধী গোষ্ঠীর গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভ! সুদান রক্তাক্ত

- Advertisement -

News Desk: সেনা শাসনের বিরোধিতা করাই জনগণের চরিত্র। যেমনটা হচ্ছে মায়ানমারের সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে। তবে আফ্রিকার দেশ সুদানে জনমানসের বিপরীত চরিত্র সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যায়নি কোনও দেশে। একপক্ষ সেনা শাসনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন। সেনাবাহিনী অভ্যুত্থান ঘটিয়ে  সরকারকে উৎখাত করেছে। তারপর  সুদানে শুরু হয়েছে গণতন্ত্রের দাবিতে অন্যপক্ষের বিক্ষোভ।

বিবিসি জানাচ্ছে, সুদানের সেনাবাহিনী ক্ষমতা গ্রহণ করার পর রাজধানী খার্টুম সহ দেশটির সর্বত্র রাজপথে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দিয়ে, পতাকা উড়িয়ে রাস্তায় রাস্তায় ব্যারিকেড তৈরি করেছে। বিক্ষোভ রুখতে গুলি চালিয়েছে সেনা। কমপক্ষে দশ জন মৃত।

- Advertisement -

মনে করা হচ্ছে, এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে সুদানের একদা তিরিশ বছরের স্বৈরশাসক ওমর আল বাশিরের সমর্থকরা। ২০১৯ সালে প্রবল গণবিক্ষোভের জেরে তার সরকার পড়ে গিয়েছিল। সাম্প্রতিক সেনা অভ্যুত্থানের মাঝে বশিরের সমর্থকরা ফের সক্রিয় হয়েছেন।

ওমর আল বশিরের স্বৈরশাসন শেষের পর সুদানি সেনা ও রাজনৈতিক দলগুলি মিলিতভাবে সরকার গড়ে। বিবিসি জানাচ্ছে,  সেই সরকার ও সেনাবাহিনীর মধ্যে ২০১৯ সালে যে চুক্তি হয়েছিল তাতে সুদানে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য নিয়ে এগনোর কথা ছিল।  ক্ষমতা ভাগাভাগির ভিত্তিতে গঠিত পরিষদের প্রধানের পদে ছিলেন জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান। তিনি বলেছেন, এরপরেও সুদানের সেনা অসমারিক শাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসেনি। ২০২৩এর জুলাইয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা নেওয়া হয়।

সরকারের দুপক্ষের মধ্যে ফাটল বাড়তে থাকে। এর জেরে সরকার পরিচালনা থমকে যায়। সেনাবাহিনী দ্রুত সরকার পরিচালনা করুক দাবিতে পুঞ্জীভূত হতে থাকে বিক্ষোভ। অভিযোগ, অর্ধেক নয় সরকারের পূর্ণ ক্ষমতা দখল করতেই বিক্ষোভে মদত দিয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী।হাজার হাজার সুদানি দাবি তোলেন, অসমারিক সরকার নয় সামরিক সরকার চাই। বিক্ষোভকারীরা ঘেরাও করেন প্রেসিডেন্ট হাউস। পার্লামেন্ট ঘেরাও করা হয়। সুদানি সেনা তাদের বাধা দেয়নি। সোমবার সুদানি সেনা বন্দি করে প্রধানমন্ত্রীকে।  অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান সরকার ভেঙে দেন। জরুরি অবস্থা জারি করেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন রাজনৈতিক অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে এই অভ্যুত্থান ঘটানো হয়েছে।

এর পরেই ফের গণতন্ত্র চেয়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে সুদানে। সেই বিক্ষোভ থামাতে রক্তাক্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় বিশ্বজুড়ে সমালোচিত হয়েছেন অভ্যুত্থানের নেতা জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ বুরহান। পরিস্থিতি আরও জটিল। রাজধানী শহরের বিমানবন্দর বন্ধ। ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোন সংযোগও বন্ধ। তীব্র রাজনৈতিক ঘনঘটার মুখে ফের দাঁড়িয়েছে আরও এক নীল নদের দেশ সুদান।

- Advertisement -

Video News

Top News Headlines

Latest Posts

Don't Miss