নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে প্রায় দেড়শো কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে৷ সংসদের পেগাসাস ইস্যুতে বিরোধীদের হই হট্টগোলের কারণেই এই বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হয়েছে৷ একই সঙ্গে ১০৭ ঘণ্টার পরিবর্তে মাত্র ১৮ ঘণ্টা কাজ হয়েছে সংসদে৷
সংসদের বাদল অধিবেশন শুরুর একদিন আগে পেগাসাস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আসে৷ তাতে দাবি করা হয়েছিল যে, দেশের নামী বড় সাংবাদিক, রাজনীতিবিদের ফোনে গুপ্তচরবৃত্তি করা হয়েছিল। আর এই নিয়ে সংসদের উভয় কক্ষে ক্রমাগত হৈচৈ চলছে। সাংসদরা প্রায় প্রতিদিন হৈ -হুল্লোড় করে বাইরে চলে যান৷ কিন্তু তাদের কটূক্তির কারণে এখনও পর্যন্ত ১৩০ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে।
সংবাদ সংস্থা এনডিটিভি সরকারি সূত্রকে উল্লেখ করে বলেছে, সংসদে অচলাবস্থা থাকার কারণে লোকসভার সম্ভাব্য ৫৪ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ৭ ঘণ্টা কাজ হয়েছে৷ আর রাজ্যসভার সম্ভাব্য ৫৩ ঘণ্টার মধ্যে ১১ ঘণ্টা কাজ করেছে। চলতি বাদল অধিবেশনে এখন পর্যন্ত পার্লামেন্টে ১০৭ ঘন্টা কাজ করার কথা ছিল৷ কিন্তু মাত্র ১৮ ঘন্টা কাজ হয়েছে৷ এই পরিস্থিতিতে ৮৯ ঘন্টা সময় পুরোপুরি নষ্ট হয়েছে৷ এরফলে করদাতাদের মোট ক্ষতি ১৩০ কোটি টাকারও বেশি।
সম্প্রতি কংগ্রেস এবং বিরোধীদের মধ্যে হৈচৈ নিয়েও প্রধানমন্ত্রী মোদী অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছিলেন। বিজেপি পার্লামেন্টারি পার্টির সভায় তিনি বলেছেন, কংগ্রেস না হাউসকে কাজ করতে দেয়, না আলোচনার অনুমতি দেয়। আমি ১৫ আগস্ট জনসাধারণের উদ্দেশ্যে এই সব কথা বলব।
পেগাসাসের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই বিরোধী দলগুলি এর তদন্তের দাবি জানিয়ে আসছে। কংগ্রেসের মতে, যে সংস্থাটি পেগাসাস তৈরি করেছে, তারা বলেছে তারা শুধু সফটওয়্যারটি সরকারকে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে এটা স্পষ্ট যে, ভারত সরকার নিজেই গুপ্তচরবৃত্তি করেছিল। যদি অন্য কেউ গুপ্তচরবৃত্তি করে থাকে, তাহলে এটি আরও উদ্বেগের বিষয়। এই পরিস্থিতিতে যৌথ সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের তত্ত্বাবধানে এটি তদন্ত করা উচিত। সরকার অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করে তদন্ত করতে রাজি হয়নি।