নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই প্রতিপক্ষ সম্পর্ক। তায় আবার শিয়া সুন্নি বিভাজন। স্বাভাবিকভাবেই শিয়াপন্থী ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরোধিতা করে প্রতিবেশি সুন্নিপন্থী সৌদি আরব। রাষ্ট্রসংঘ অধিবেশনে ভার্চুয়াল কনফারেন্সে সৌদি বাদশাহ
সলমন বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ সরাসরি ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরোধিতা করতে আহ্বান জানালেন।
সৌদি বাদশাহের আহ্বান, ইরানকে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হয়ে ওঠা থেকে বিরত রাখার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা দরকার। ভিডিও ভাষণে সৌদির বাদশাহ বলেছেন সৌদি আরব মধ্যপ্রাচ্যকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে মু্ক্ত রাখার উপর জোর দেয়। এই ভিত্তিতে আমরা ইরানকে পরমাণু শক্তিধর দেশ হিসেবে ঠেকানোর আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সমর্থন করি।
প্রতিক্রিয়া দেবে তেহরান। ইরানের তরফে কী প্রতিক্রিয়া আসে সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বরাবর বিশ্বে আলোড়ন ফেলে। সৌদি আরব সেই ক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি। ফলে রিয়াধ চিন্তিত হয়।
ইরান ও সৌদি আরব বহু বছর ধরে পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের কূটনৈতিক অবস্থানে মুসলিম বিশ্ব বিভক্ত। দুটি দেশ ইয়েমেন, সিরিয়া সহ কিছু অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে বিপক্ষ অবস্থান নিয়ে রেখেছে। বিবিসি জানাচ্ছে, তেহরান ও রিয়াধ ২০১৬ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করলেও চলতি বছর নিজেদের মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে।
তবে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেওয়ার পথ খুলতে পারমাণবিক আলোচনা ফের শুরু করার জন্য বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানান।