দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্ট অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ব্রিটিশ ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, কালো ধোঁয়ায় আকাশ ছেয়ে যাচ্ছে। ভবনের ছাদ থেকে বিশাল অগ্নিশিখা বের হচ্ছে।
আগুন নিয়ন্ত্রণের জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকল বাহিনীর কর্মীরা। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি।
পার্লামেন্টের কাছেই সেন্ট জর্জ ক্যাথিড্রালে কিংবদন্তি বর্ণবৈষম্য বিরোধী নেতা আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুর রাষ্ট্রীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এই ঘটনাটি ঘটল।
মনে করা হচ্ছে, সংসদ এলাকার একটি পুরানো ভবনে আগুনের সূত্রপাত হয়, যার ফলে ক্যাথিড্রালের কাছাকাছি একটি নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি হয় যেখানে বর্ণবৈষম্যবিরোধী আইকন আর্চবিশপ ডেসমন্ড টুটুকে মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে সমাধিস্থ করা হয়েছিল।
কেপ টাউনের জরুরি বিভাগের মুখপাত্র সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ছাদে আগুন লেগেছে এবং জাতীয় সংসদ ভবনেও আগুন লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে নেই এবং ভবনের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে।” যদিও এই ঘটনায় এখনও অবধি কোনও হতাহতের খবর মেলেনি। আগুন বর্তমানে তৃতীয় তলায় রয়েছে। স্থানীয়রা ভোরে ভবনের উপরে আগুনের শিখা ও ধোঁয়া দেখতে পান। এদিকে উদ্বিগ্ন কেপ টাউনের বাসিন্দারা দ্রুত টুইটারে আগুনের ছবি শেয়ার করেছেন।
কেপ টাউনের প্রাক্তন মেয়র এবং বর্তমান মন্ত্রী প্যাট্রিসিয়া ডি লিল ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “প্রকৃত জাতীয় সংসদ এখনও নিরাপদ”। তিনি আরও বলেন, “দমকল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।” অগ্নিনির্বাপক বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে, আগুনে জল স্প্রে করার জন্য একটি ক্রেন ব্যবহার করছে বলে খবর। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এই বিধ্বংসী আগুনের জেরে সুসজ্জিত ভবনের অনেক ক্ষতি হতে পারে। গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসছে, আগুনটি প্রথমে অফিসে লাগে তারপর সেটা ক্রমেই জিমের দিকে এগিয়ে যায়। কেপ টাউনের সংসদ ভবন তিনটি বিভাগ নিয়ে গঠিত, যার মধ্যে মূল এবং প্রাচীনতম ভবনও রয়েছে যা কিনা ১৮৮৪ সালে তৈরি হয়েছিল। এছাড়া ১৯২০ এবং ১৯৮০-এর দশকে নির্মিত নতুন সংযোজনগুলিতে জাতীয় সংসদ রয়েছে।