News Desk: সামরিক সরকারের আদলতে হাজিরা দিলেন মায়ানমারের গণতন্ত্রীকামী নেত্রী আউং সান সু কি। নোবেল জয়ী নেত্রীর সরকারকে গত ফেব্রুয়ারি মাসে উৎখাত করেছে বর্মী সেনা। চলছে সামরিক সরকার। সেই থেকে অত্যন্ত গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছে সু কি সহ অপসারিত সরকারের বাকিদেরকে। বন্দি প্রেসিডেন্টও।
বিবিসি জানাচ্ছে, টানা কয়েকমাস বিশ্বের নজর থেকে সু কি-কে সরিয়ে রাখার পর মঙ্গলবার তাকে আদালতে হাজির করায় সামরিক সরকার। সবই চলছে ঠান্ডা মাথার সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং।
রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে মায়ানমারে ক্ষমতা ফের দখল করার পর সেনাবাহিনী সু কির বিরুদ্ধে করোনার বিধিনিষেধ লংঘন, অবৈধভাবে ওয়াকিটকি আমদানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়েছে।
হাজিরার সময় আদালতে মাস্কে মুখ ঢেকে রেখেছিলেন সু কি। দেখা গিয়েছে তাঁর চিন্তিত চোখ। আশঙ্কা সু কি জীবদ্দশায় আর বন্দিত্ব কাটাতে পারবেন না। দেশদ্রোহ মামলায় তাঁকে আমৃত্যু জেলে থাকার নির্দেশ দেওয়া হতে পারে।
তবে সেনা সরকার জানিয়েছে সু কি আইনি উপদেষ্টা রাখতে পারবেন আদালতে। তাঁর আইনজীবীও সেনা অনুমোদিত ব্যক্তি ! তিনি জানান, আদালতে নিজেকে নির্দোষ বলে প্রমান দাখিল করেছেন সু কি। তথ্য বিচার করেই রায় দেবে আদালত।
বিশ্বজুড়ে প্রশ্ন, সু কি মুক্তি পাবেন কি? মায়ানমারে সামরিক সরকার হয়ত তাঁকে আর প্রত্যক্ষ রাজনৈতিক কর্মসূচচিত নামতে দেবে না। দোষী প্রমানিত হলে অন্তত ১৫ বছরের জেল হবে সু কির।