নিউজ ডেস্ক: এতদিন ছিলেন একটি ফুলে। এবার সবাইকে চমকে দিয়ে জোড়া’ফুলের তলে আশ্রয় নিলেন। মন্ত্রিত্ব হারিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এবার সবাইকে অবাক করে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তিনি শাসক দলের পতাকা হাতে তুলে নেন। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন।
অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয়র বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কিছুই জানতেন না শুভেন্দু অধিকারী। এমনটাই জানিয়েছেন বিধানসভা ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু। অবশ্য বাবুলের তৃণমূলে চলে যাওয়াকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘বাবুল সুপ্রিয় আমার ভালো বন্ধু। একই সঙ্গে এটাও জানাচ্ছি বাবুল দক্ষ সংগঠক নন, রাজনীতি সম্পর্কেও বাবুলের ধ্যান ধারণা নেই। দল ত্যাগ করে বাবুলের তৃণমূলে চলে যাওয়ায় বিজেপির ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে না। পশ্চিমবঙ্গের একজন বুথ সভাপতিও বাবুলের সঙ্গে যাবেন না। ভবানীপুরেও বাবুল ভোট প্রচারে গেলে মাননীয়া হারবেন।’
ভবানীপুরে উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। তাঁর নাম ঘোষণার পরেই আরেক চমক দিয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টির তরফ থেকে। পদ্মশিবিরের হয়ে তারকা প্রার্থী ঘোষণা করা হয় সদ্য ‘রাজনীতি’ থেকে অবসর নেওয়া বাবুল সুপ্রিয়র নাম।
তারকা প্রার্থীদের তালিকায় নাম থাকায় বিজেপির শীর্ষ নেতাদের ধন্যবাদও জানান বাবুল। তারপরেই জানিয়ে দেন, তারকা প্রচারকের তালিকায় নাম থাকলেও ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচার করবেন না। স্পষ্ট করে দেন, নিজের রাজনৈতিক সন্ন্যাসের সিদ্ধান্ত থেকে তিনি সরে আসেননি। এবং কোনওরকম রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্মে আগামী দিনে তাঁকে দেখা যাবে না। তারপরেই উলটপুরাণ।
বিজেপিতে যোগদানের পর থেকেই দলের হয়ে সক্রিয়ভাবে কাজ করেছেন বাবুল সুপ্রিয়। পরপর দু’বার আসানসোলের সাংসদও হয়েছেন। পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জে অরূপ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হওয়া এবং মন্ত্রীত্ব খোয়ানোর পরেই রাজনীতি ত্যাগ করার সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। শনিবাসরীয় দুপুরে এবং সর্বোপরি নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদীর জন্মদিনের ঠিক পরের দিনই বাবুলের রাজ্যের শাসকদলে যো খোদগদান শুধু বিজেপি-র কাছেই মস্ত বড় চমক নয়। চমকে গিয়েছে খোদ তৃণমূলের কর্মীরাও। ভবানীপুর উপনির্বাচনের আগে এমন চমক পাওয়া যাবে, তা রাজ্যের শাসক দলের অনেকেই আশা করেননি।