নিউজ ডেস্ক: গোটা আফগানিস্তান দখল করেছে তালিবানরা। দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই কায়েম হচ্ছে শরিয়তি আইন। ইসলামের আদেশ অনুসারেই চলছে দেশ। আর তাতেই উচ্ছ্বসিত পাকিস্তানের ইসলামীয় ধর্ম সংগঠনগুলি। গোটা পাকিস্তানজুড়েই রীতিমতো উতসবের মেজাজে কট্টরপন্থীরা। তালিবানদের আফগানিস্তান দখল এবং আমেরিকান সৈন্য প্রত্যাহার করার জন্য ‘আল্লাকে ধন্যবাদ জানাতে’ ২৭ আগস্ট একটি অনুষ্ঠান পালন করা হবে পাকিস্তানের বিভিন্ন প্রান্তে।
এবার সেই তালিবানের সাহায্যেই ভারতের হাত থেকে কাশ্মীরকে স্বাধীন করবে পাকিস্তান! প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল ‘পাকিস্তান তহেরিক-ই-ইনসাফ’-এর এক নেত্রী এই দাবিই করেছেন টিভি চ্যানেলের একটি অনুষ্ঠানে। নীলম ইরশাদ শেখ নামের ওই নেত্রী সোজাসুজি বলেন, ”তালিবান বলেছে ওরা আমাদের সঙ্গে আছে। এবং কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে আমাদের সাহায্যও করবে।” আফগানিস্তান্মে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এর পিছনে মদত রয়েছে পাকিস্তানের। এবার কার্যত তাতেই শীলমোহর দিল তহেরিক-ই-ইনসাফ নেত্রী।
আরও পড়ুন এক এক পয়সার জন্য ভিক্ষে করবে তালিবানরা! ব্যবস্থা করল আমেরিকা-বিশ্বব্যাংক
তাঁর কথা শুনে হতভম্ব হয়ে যান ওই বিতর্ক অনুষ্ঠানের সঞ্চালকও। পালটা তিনি বলেন, “ম্যাডাম আপনি জানেন আপনি কী বললেন! এই অনুষ্ঠানটা গোটা পৃথিবীর মানুষ দেখবেন। ভারতেও এটি দেখা যাবে।” তারপরেই নেত্রী জানান, পাকিস্তান সেনার শক্তি রয়েছে কাশ্মীরকে ভারতের হাত থেকে মুক্ত করে স্বাধীন করার। পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রীও ‘সুযোগ্য’ নেতৃত্ব দিচ্ছেন। যদিও শোয়ের শেষদিক আবার তিনি জানান, তালিবানের পাশে পাকিস্তান যেভাবে দাঁড়িয়েছে তাতে আফগানিস্তানের তালিবান নেতৃত্ব খুব খুশি। তার প্রতিদানেই কাশ্মীর দখলে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে তারা।
#PTI leader Neelam Irshad Sheikh: Taliban have announced that they will join hands with Pakistan to liberate Kashmir. pic.twitter.com/MfC7mQ6lLh
— SAMRI (@SAMRIReports) August 23, 2021
কয়েকদিন আগেও ইসলামাবাদের প্রভাবশালী সংগঠন জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ-উল-হক হাক্কানি তালিবানের কাবুল জয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছিলেন। তালিবান ও লস্করের জঙ্গিদের জন্য চাঁদা সংগ্রহ করতেও দেখা গিয়েছিল সেদেশের বিভিন্ন সংগঠনগুলিকে।
জমিয়ত-ই-উলেমা-ই-ইসলাম ও দিফা-ই-পাকিস্তান কাউন্সিল-এর প্রধান মৌলানা হামিদ সাংবাদিক সন্মেলনে জানিয়েছিলেনন, ‘বিশ্বের উচিত আফগানিস্তানে এক্ষুনি তালিবান সরকারকে মান্যতা দেওয়া।’ শুধু তাই নয়, আমেরিকা এবং ভারতের মদতেই এতদিন আফগানিস্তানে অশান্তি লেগে ছিল। এবার ইমরান খানের দলের নেত্রীর মুখেও একই সুর শোনায় আবার নতুন করে ভারতে জঙ্গিহামলার আশঙ্কা বেড়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।