ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল তাইওয়ান, রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ৬.৫

News Desk: রবিবার ভোরে প্রবল কম্পন অনুভূত হল তাইওয়ানে। রাজধানী তাইপেইয়ের বহু মানুষ জানিয়েছেন, ঘুমের মধ্যেই তাঁরা প্রবল কম্পন অনুভব করেছেন। রবিবার ভোরের আলো ফোটার…

taiwan-earthquake

News Desk: রবিবার ভোরে প্রবল কম্পন অনুভূত হল তাইওয়ানে। রাজধানী তাইপেইয়ের বহু মানুষ জানিয়েছেন, ঘুমের মধ্যেই তাঁরা প্রবল কম্পন অনুভব করেছেন। রবিবার ভোরের আলো ফোটার পর দেখা গিয়েছে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। উপড়ে পড়েছে গাছপালা, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি। বেশ কয়েকজন মানুষ জখম হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর কোনও খবর নেই।

তাইওয়ানের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, স্থানীয় সময় রাত ১টা ১১ মিনিট এবং আন্তর্জাতিক সময় ভোর পাঁচটা নাগাদ উত্তর-পূর্ব তাইওয়ানের ইলান প্রদেশে এই কম্পন অনুভূত হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৫। চলতি বছরে এটাই সবচেয়ে বড় মাপের কম্পন। ভূপৃষ্ঠ থেকে ৬৭ কিলোমিটার ভিতরে ছিল কম্পনের উৎপত্তিস্থল। ইলানের বাসিন্দা এএফপি’র এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, এই কম্পন ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল। কম্পনের সময় বাড়ির দেওয়ালগুলিও কাঁপছিল। ওই সময় বেশিরভাগ মানুষই গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলেন। তাই তাঁরা অনেকেই বিষয়টি বুঝতে পারেননি।

মূল কম্পনের পর বেশ কয়েকবার আফটার শকও অনুভূত হয়েছে। আফটার শকে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৪। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এদিন রাজধানী তাইপেইয়ে মেট্রো রেল ব্যবস্থা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রাখা হয়। এদিন ভোরে যখন বহু যাত্রী মেট্রো স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলেন সে সময়ই কম্পন অনুভূত হয়। ফলে অনেকেই আতঙ্কে ছুটোছুটি শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই এদিনের কম্পনের অনুভূতির কথা পোস্ট করেন।

টম পার্কার নামে এক ব্রিটিশ নাগরিক জানিয়েছেন, এদিন প্রবল কম্পনের সময় তিনি ভেবেছিলেন যে, হয়তো আর বেঁচে ফিরতে পারবেন না। কম্পনের কারণেই তিনি ঘুম থেকে জেগে ওঠেন। তাঁর ঘরের জানলা, দরজাগুলি কম্পনের কারণে প্রবল শব্দে কাঁপছিল।

বেশ কয়েকটি শপিংমল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কম্পনের কারণে তাক থেকে প্রায় প্রতিটি জিনিসই মাটিতে ছিটকে পড়েছে। তাইওয়ানের আবহাওয়া দফতরের প্রধান চেন ঝাউ চিয়াং বলেছেন, ভূপৃষ্ঠের বেশ কিছুটা অভ্যন্তরে কম্পনের উৎপত্তিস্থল হওয়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গিয়েছে। কম্পনের উৎপত্তিস্থল যদি ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি হত তবে অনেক বড় মাপের ক্ষতি হয়ে যেত। উল্লেখ্য, অবস্থানগতভাবে তাইওয়ান দুটি টাইটানিক প্লেটের খুব কাছেই অবস্থিত। অবস্থানগত কারণে তাইওয়ানে প্রায়শই ভূমিকম্প হয়ে থাকে।