তালিবানযোগে গোয়েন্দাদের নজরে বাংলার তিন যুবক

নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই রাজ্যের বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের তালিবানদের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন মহলে। এবার…

old look of taliban militant

নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই রাজ্যের বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের তালিবানদের সঙ্গে ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যার জেরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল রাজ্যের বিভিন্ন মহলে। এবার তালিবানযোগে আবার নাম জড়াল বাংলার। এই রাজ্য থেকে আফগানিস্তান গিয়েছে বলে খবর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের কাছে।

কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে ঢুকে আফগানিস্তান গিয়েছে বেশ কয়েকজন। শুধু বাংলাদেশি যুবকরা নয়, অসমের চার যুবকও রয়েছে ওই তালিকায়। এছাড়াও এই রাজ্যের দক্ষিণ ২৪ পরগনার আরও তিন যুবকের গতিবিধিও বেশ সন্দেহজনক।

১৫ আগস্ট তালিবানরা কাবুল দখল করে। তার কয়েকদিন আগে থেকেই শুরু হয়েছিল তালিবানি আগ্রাসন। সে সময়েই ওই যুবকরা আফগানিস্তানে গিয়েছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, ওই যুবকদের মধ্যে অনেকেই জঙ্গি কার্যকলাপে রীতিমতো প্রশিক্ষিত। এই পুরো ঘটনার পিছনে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই’এর হাত রয়েছে।

পাকিস্তানের জইশ-ই-মহম্মদ নেতা মৌলানা মাসুদ আজহার (Masood Azhar) জম্মু-কাশ্মীরে দখলের জন্য তালিবানদের সহযোগিতা চাইলেন। সূত্র উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে গোপন বৈঠক সারতে কান্দাহারও গিয়েছিলেন তিনি। আফগানিস্তান দখল করার কয়েকদিন পরেই তালিবানরা কাশ্মীরের ব্যাপারে তাদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেয়। সরকারীভাবে জানিয়ে দেয়, এটি একটি “দ্বিপক্ষীয়; এবং ভারতের ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়”।

ইন্ডিয়ান ইনটেলিজেন্সের রিপোর্ট অনুযায়ী তালিবানদের কাবুল দখলের পর থেকেই জম্মু-কাশ্মীরে সন্ত্রাস এবং দেশের গুরুত্বপূর্ন অঞ্চলে নাশকতার সম্ভাবনা বেড়ে গিয়েছে। মাসুদ আজহারের গলাতেও কাশ্মীর দখলের সুর শোনা গিয়েছে। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল ‘পাকিস্তান তহেরিক-ই-ইনসাফ’-এর জনপ্রিয় নেত্রী নীলম ইরশাদ শেখও বলেন, ”তালিবান বলেছে ওরা আমাদের সঙ্গে আছে। এবং কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে আমাদের সাহায্যও করবে।”

আফগানিস্তান্মে তালিবানরা ক্ষমতা দখলের পর থেকেই অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, এর পিছনে মদত রয়েছে পাকিস্তানের। নীলমও জানান যে তালিবানের পাশে পাকিস্তান যেভাবে দাঁড়িয়েছে তাতে আফগানিস্তানের তালিবান নেতৃত্ব খুব খুশি। তার প্রতিদানেই কাশ্মীর দখলে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে তারা। সেই নাশকতার কাজেই এই যুবকদের ব্যবহার করা হতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা।