করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে আসরে TMCP

নিউজ ডেস্ক: প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামাল না দিতেই ভারতের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল দ্বিতিয় ঢেউ। অনেক চিকিৎসকদের মতে, মানুষের উদাসীনতার কারণেই ছড়িয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। এই অবস্থায়…

tmcp of garulia fight against corona

নিউজ ডেস্ক: প্রথম ঢেউয়ের ধাক্কা সামাল না দিতেই ভারতের মাটিতে আছড়ে পড়েছিল দ্বিতিয় ঢেউ। অনেক চিকিৎসকদের মতে, মানুষের উদাসীনতার কারণেই ছড়িয়েছে দ্বিতীয় ঢেউ। এই অবস্থায় করোনার তৃতীয় ঢেউ রুখতে আসরে নাম রাজ্যের শাসকদলের ছাত্র সংগঠন।

করোনা মোকাবিলায় মাস্ক এবং স্যানিটাইজারের ব্যবহার বাধ্যতামূলক। ভ্যাকসিন নিলেও ওই দুই সামগ্রীর ব্যবহার এবং সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চললেই করোনা প্রতিরোধ সম্ভব। এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সচেতনতার প্রচার জারি রয়েছে। তথাপি সাধারণ মানুষের মাঝে দেখা যায় উদাসীনতার ছবি।

আর সেই নিয়েই আসরে নামল উত্তর পরগণা জেলার নোয়াপাড়া পুরসভা এলাকার গারুলিয়া শহরের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। গারুলিয়া পুরসভার ১৩ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে লেনিননগর বাজারে মাস্ক এবং স্যানিটাইজার বিলি করল ঘাস ফুল শিবিরের ছাত্র সংগঠন। বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা অনেকের মুখেই মাস্ক ছিল না। সেই সকল ব্যক্তিদের কাছে মাস্ক-স্যানিটাইজার বিলির পাশাপাশি করোনা সম্পর্কে সচেতনতার প্রচার চালানো হয়।

ওই কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন ব্যারাকপুর লোকসভা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম, গারুলিয়া শহর তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি প্রতীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, গারুলিয়া পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বিদায়ী পুরপিতা রবীন দাস এবং অন্যান্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের কর্মী-সমর্থকরা।

ওই কর্মসূচির বিষয়ে নাজমুল ইসলাম বলেছেন, “অতিমারির শুরু থেকেই আমরা মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। এখন পরিস্থিতি অনেকটা ভালো হয়েছে, মানুষ ভালো আছেন। কিন্তু যাতে আবার পরিস্থিতি খারাপ না হয়ে যায় সেই বিষয়ে মানুষকে সতর্ক এবং সচেতন করতেই আমাদের এই প্রয়াস।” প্রতীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “সংক্রমণের হার কমলেও করোনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাই আমরা মানুষকে সচেতন করতে পথে নেমেছি। গারুলিয়ার ১৩ এবং ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাধ্যমে আমাদের অভিযান শুরু হল। অন্যান্য জায়গাতেও আমাদের কর্মসূচি জারি থাকবে।”