Taliban-চিন আঁতাতে বেজিংকে কটাক্ষ বাইডেনের

নিউজ ডেস্ক: দু’দশক পর আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবানরা (Taliban)। তারপরেই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে…

নিউজ ডেস্ক: দু’দশক পর আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবানরা (Taliban)। তারপরেই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনেরর পদত্যাগ দাবি করেছিলেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে কার্যত দু’ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দিনকয়েক আগেই ট্রাম্প জানিয়ে দেন, “আফগানিস্তানে যে লজ্জাজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার জন্য প্রেসি়ডেন্ট জো বাইডেনের উচিত পদত্যাগ করা।

আরও পড়ুন নতমস্তকে বাইডেন: প্রবীণ কমিউনিস্ট ভিয়েতকং গেরিলারা ফিরলেন সোনালি অতীতে

এবার আফগানিস্তানের সেই অবস্থা নিয়েই চিনকে একহাত নিলেন জো বিডেন। আমেরিকার সিদ্ধান্তে কোনও ভূল নেই আগেই জানিয়েছিলেন, এবার জানিয়ে দিলেন নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই হাত মিলিয়েছে তালিবান-বেজিং। ২৪ ঘন্টা আগেই নতুন সরকারের ঘোষণা করেছে তালিবান (Taliban)। নয়া সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে চিন, পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্ক, ইরান ও কাতারকে আমন্ত্রণও জানিয়েছে। 

চিন, পাকিস্তান, রাশিয়ার মতো দেশগুলি নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্যই একসাথে হয়েছে। তালিবানদের সঙ্গে শুধু সমঝোতাই নয়, তাদের কাজে লাগানোর চেষ্টাও করবে তারা। ওরা সকলেই কী করা উচিত, তা বোঝার চেষ্টা করছে এক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হলে এই মন্তব্যই করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

Taliban government

চিনের তরফে এখনও অবধি তালিবানকে আফগানিস্তানের নতুন শাসক হিসাবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার না করা হলেও, গত জুলাই মাসেই বর্তমানের আফগানিস্তানের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী মোল্লা বরাদরের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জিনপিং। সেই সময়ও চিনের তরফে জানানো হয়েছিল, তালিবানদের তাদের সরকার গঠনের প্রক্রিয়ায় সাহায্য করা হোক।

আমেরিকার ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ৯/১১ হামলার পরই তাদের ন্যাটো বাহিনী দখল নেয় আফগানিস্তানের। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় আফগান সেনাদের, জেলবন্দি করা হয় তালিবানদের। বিশ্বজুড়ে আল কায়েদার যে দাপট ছিল, তাও নিয়ন্ত্রণে আনে মার্কিন সেনা। লক্ষ্য ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সন্ত্রাসমুক্ত করা। কিন্তু ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তালিবানদের সঙ্গে দোহায় চুক্তি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই চুক্তিতে বলা হয়, আফগানিস্তান থেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে মার্কিন সেনা, কিন্তু আমেরিকায় সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বন্ধ রাখবে তারা। অন্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে আমেরিকায় হামলা করা থেকে বিরত রাখারও চেষ্টা করবে তালিবানরা।

এই চুক্তির পরেই নির্বাচনে হেরে যান ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে ক্ষমতায় বসেন জো বাইডেন। কিন্তু, ক্ষমতায় এসেও তিনি ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকেই পূনর্বহাল রাখেন। উল্টে জানান, এই বছরের সেপ্টেম্বরের আগেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। আমেরিকার ভবিষ্যতবানী ছিল, আগামী তিন মাসের মধ্যে আফগানিস্তান দখল করবে তালিবানরা। যদিও সে হিসেব উল্টে তিনদিনের মধ্যে কাবুল দখল করেছে তালিবানরা।

অনেক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞই ভেবেছিলেন, তালিবানদের বাড়বাড়ন্ত দেখে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখবেন বাইডেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত না বদলে বাইডেন জানান, “আফগান নেতাদের একজোট হতেই হবে। আফগানিস্তানের সেনার সংখ্যা তালিবানদের তুলনায় অনেক বেশি। তাদের দেশের জন্য লড়াই চালাতেই হবে।” এরপরেই বাইডেনকে কটাক্ষ করে আমেরিকানদের উদ্দেশ্য করে টুইট করেন ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমায় মিস করছেন কি?” শুধু তাই নয়, আমেরিকায় করোনা পরিস্থিতি, অর্থনীতি সহ নানা বিষয়েও বাইডেনের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।