News Desk: লক্ষ্য ৪-০ গোলে জয়ী হওয়া। তাতেই মশগুল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধী বিজেপি চিন্তিত ভোট লুঠের আশঙ্কায়। শূন্য হয়ে যাওয়া বামেরা টার্গেট করছে ভোট শতাংশ বাড়িয়ে নেওয়ার। এরই মাঝে উদ্বেগহীন তৃণমূল নেত্রী ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপনির্বাচন ফেলে রেখে গোয়ার ভোট নিয়ে মেতে আছেন।
মুখ্যমন্ত্রীর গোয়া সফর ইঙ্গিত দিচ্ছে রাজ্যে যে চারটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন- দিনহাটা (কোচবিহার), খড়দহ (উ: ২৪ পরগনা), গোসাবা (দ:২৪ পরগনা).ও শান্তিপুর (নদিয়া) সেখানে একতরফা জয় আশা করছে টিএমসি।
সাম্প্রতিক যে তিনটি আসনে (ভবানীপুর, সামসেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুর) উপনির্বাচন হয়েছে তাতে ৩-০ গোলে জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস। এতে লাভের লাভ ‘হেরো মুখ্যমন্ত্রী’র তকমা ঘুচিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের বিধায়ক হয়েছেন।
শনিবার আরও চারটি আসনের উপনির্বাচনে সেই জয় ধরে রাখতে আদাজল খেয়ে নেমেছে টিএমসি। প্রচার করেছে বিজেপি ও সিপিআইএম। তবে উপনির্বাচনে বিরোধীদের আশঙ্কা ভোট লুঠের। শাসক টিএমসির দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন নীতি দলকে জিতিয়ে দেবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, চারটি কেন্দ্রেই ভোট নির্বিঘ্নে করতে পর্যাপ্ত ১০০ কেম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সমস্ত বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ৫০ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিং চালানো হবে।
দিনহাটা ও শান্তিপুরে জয় ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। খড়দহ ও গোসাবা তৃণমূল গত বিধানসভায় জয়ী হয় টিএমসি। একমাত্র শান্তিপুরে বামেরা কড়া প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতা করতে পারে বলে পরিসংখ্যান বলছে। যদিও রাজ্যে এখন বামেদের অবস্থা দেখে কে বলবে সিপিআইএম টানা ৩৪ বছর সরকারে ছিল।