নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক-পুত্র যোগের তথ্য ফাঁস করলেন তাপস মণ্ডল

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সঙ্গে দুর্নীতি যোগের খোঁজ পেয়েছিল ইডি। মানিক পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে। এমনটাই অনুমান করেছিল ইডি। এরপর মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের আরও এক বিস্ফোরক বয়ানে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিয়োগ দুনীতিতে যুক্ত মানিক পুত্র। বিস্ফোরক দাবি […]

সংবাদটি বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক-পুত্র যোগের তথ্য ফাঁস করলেন তাপস মণ্ডল

Tapas Mondal leaked information on recruitment corruption

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্তে নেমে মানিক ভট্টাচার্যের পরিবারের সঙ্গে দুর্নীতি যোগের খোঁজ পেয়েছিল ইডি। মানিক পুত্র সৌভিক ভট্টাচার্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে থাকা ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে। এমনটাই অনুমান করেছিল ইডি। এরপর মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলের আরও এক বিস্ফোরক বয়ানে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। নিয়োগ দুনীতিতে যুক্ত মানিক পুত্র। বিস্ফোরক দাবি করলেন তাপস মণ্ডল।

এক সংবাদ্মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাপস মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের পাঁচ তলার অফিসে একটি এজেন্সি কাজ চালাত। ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তির বিষুয় খতিয়ে দেখতে তাঁরাই। এমনকি নিজের পদ ও পরভাবকে কাজে লাগিয়ে মানিক ভট্টাচার্য ছেলের আয়ের ব্যবস্থা করেছিলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

এরপরেই তাপস বলেন, বিএড কলেজগুলির উন্নয়নের জন্য একুয়ার্স সলিউশন কনসালটেন্সি প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি কোম্পানিকে কাজের বরাতে দেওয়া হয়েছিল। সেই বাবদ টাকা চেকে মেটানো হয়েছিল। পরে জানতে পারা গেছে ওই সংস্থা মানিক পুত্র সৌভিকের। এমনকি এডু প্লাসের সঙ্গে যুক্ত ছিল ওই সংস্থা দাবি করেছেন তিনি।

তাপসে বক্তব্য, পর্ষদ সভাপতি পদে ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। যে ৫ হাজার টাকা করে নেওয়া হত সেখানে ৩০০ টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ নেওয়া হত। বাকি ৪ হাজার ৭০০ টাকা কী কারণে নেওয়া হত? তিন বছর ধরে অফলাইনে ভর্তি হয়েছিল। সেটা মানিক বাবু বলতে পারবেন। তিনি কোন খাতে খরচ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, প্রথমে বুঝতে পারিনি, পরে বুঝতে পারিনি বাপ ব্যাটা মিলে লুটে পুটে খাওয়ার ফাঁদ পেতেছিল। লেট ফাইনের নামে ৪৭০০ টাকা করে কী কারণে নেওয়া হত? সেটা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।

এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাপস মণ্ডলের বাড়িতে হানা দিয়েছিল ইডি। এরপর একাধিকবার ইডি দফতরে হাজিরা দিতে হয়েছে তাঁকে। সেখানেই মানিক সম্পর্কে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা গেছে তাপস মণ্ডলকে। কখনও তিনি বলেছেন অফলাইনে ভর্তির জন্য ৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিলেন মানিক। আবার কখনও জড়িয়ে ফেলেছেন পর্ষদকে। সেই টাকার পরিমাণ ২০ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা।

সংবাদটি বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন নিয়োগ দুর্নীতিতে মানিক-পুত্র যোগের তথ্য ফাঁস করলেন তাপস মণ্ডল