আজ মঙ্গলবার দিল্লি থেকে ফিরে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দেন। গতকাল তিনি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। আজ কলকাতা ফিরে আসেন। আজ কলকাতায় ফিরেই গ্রাউন্ড জিরোয় রাজ্যপাল।
মঙ্গলবার কলকাতা বিমানবন্দর থেকে রাজ্যপাল সোজা ভাঙড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সেখানি গিয়ে গণনা কেন্দ্র ঘুরে দেখলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘুরে দেখলেন ভাঙড় এলাকা। স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে ভোট গণনা কেন্দ্রে বিডিও-দের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। গণনা শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে কি না জানতে চান রাজ্যপাল। রাজ্যপাল বিজয়গঞ্জ বাজারের মাঠ, ঘটকপুকুর মোড়ে গিয়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
রাজ্যপালের সফরের মাঝে ভাঙড়ে গতকাল রাতে উদ্ধার হয় বোমা। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ভাঙরের কাশিপুর থানার পোলেরহাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের টোনা এলাকা। সেখানে শৌচালয়ের ঘরের ছাদের উপর বোমা পড়ে থাকতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা। দ্রুত খবর পৌঁছয় কাশিপুর থানায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশিপুর থানার পুলিশ। এর জেরে চাঞ্চল্য ছড়েয়েছে এলাকায়।
আজ কলকাতা ফিরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস বলেন, “আজকে দস্যুরাই একদিন ত্রাতা হয়ে উঠতে পারে। যেভাবে রত্নাকর একদিন বাল্মিকী হয়ে উঠেছিলেন। রাজনৈতিক কন্ট্রোলরুম তৈরি করে দুষ্কৃতীদের নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে হিংসা আজ হচ্ছে, তার ফল ভোগ করতে হবে বাংলার ভবিষ্যতকে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বাংলাকে সুরক্ষিত করতে হবে।”
গতকাল তিনি দিল্লিতে মন্তব্য করেছিলেন, “অন্ধকারের পরেই ভোর আসে। সুড়ঙ্গের শেষে আলোর দেখা মিলবে। আজকের বৈঠক থেকে আমি যে বার্তা পেয়েছি তা হল, যদি শীত আসে, বসন্ত কি দূরে থাকতে পারে? আগামী দিনে ভাল হবে।’’
পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা, নির্বাচন, পুনর্নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে গোটা রাজ্য। দিকে দিকে সন্ত্রাস এবং মৃত্যুমিছিল। ভোট পর্বে রাজ্য মৃতের সংখ্যা ৪১।
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই সকাল ৮ টায় শুরু হয়েছে ভোট গণনা। গণনাকেন্দ্রের ধারেকাছে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রথমে হবে গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং শেষে জেলাই পরিষদের। ৩৩৯ টি কেন্দ্রে গণনা চলছে।