গণনার প্রাথমিক ট্রেন্ড আসতে শুরু করেছে। প্রাথমিক ভাবে দেখা যাচ্ছে, গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপিকে জোর টক্কর দিচ্ছে বামেরা, তার সঙ্গে রয়েছে কংগ্রেসও। এদিকে তৃণমূল ৯ হাজার আসনে জয়ী।
তবে নদিয়ার বিটহুদা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের অঙ্কটা ভিন্ন। একটাও আসনে জিততে পারেনি টিএমসি। নদিয়া চাপড়া ব্লক বিটহুদা গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল শূন্য। জোর টক্কর দিয়ে ১১ টি আসনে জয়ী সিপিআইএম।
নদিয়া চাপড়া ব্লক বিটহুদা গ্রাম পঞ্চায়েতে সিপিআইএম ১১ আসন টিএমসি ০, পঞ্চায়েত cpim জয় করল।
পঞ্চায়েতের মনোনয়ন জমা, নির্বাচন, পুনর্নির্বাচনকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠে গোটা রাজ্য। দিকে দিকে সন্ত্রাস এবং মৃত্যুমিছিল। ভোট পর্বে রাজ্য মৃতের সংখ্যা ৪১।
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে দিয়েই সকাল ৮ টায় শুরু হয়েছে ভোট গণনা। গণনাকেন্দ্রের ধারেকাছে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে মোতায়েন করা হয়েছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।
প্রথমে হবে গ্রাম পঞ্চায়েতের গণনা, তারপর পঞ্চায়েত সমিতি এবং শেষে জেলাই পরিষদের। ৩৩৯ টি কেন্দ্রে গণনা চলছে।
রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোটের গণনা শুরু। গ্রাম বাংলার রায় ব্যালটবাক্স বন্দি। সেই ব্যালট গণনার সর্বশষ ফলাফল আসতে রাত হয়ে যাবে। চূড়ান্ত ফলাফল তারও পরে। তবে এসবের মধ্যে একটি প্রশ্ন ও একটি আশঙ্কা প্রবল। প্রথমত গ্রামাঞ্চলে বিরোধী পক্ষ কারা? দ্বিতীয়ত কেন্দ্রীয় নিরাপত্তায় গণণা হলেও গণনা কেন্দ্রের বাইরে খুন হবে না তো?
কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে চলবে গণনা। জেলায় জেলায় রাজনৈতিক পারদ চড়ছে। ফলাফল ঘোষণার আগেই বিজয় উৎসবের বার্তা দিয়ে রেখেছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা নজর রেখেছেন, বিরোধীদের ভোট প্রাপ্তির দিকে। নজরে থাকছে বিধানসভায় বিরোধী দল বিজেপি নাকি বর্তমান বিধানসভায় না থাকা পূর্বতন দুই শাসক দল কংগ্রেস ও সিপিআইএম জোট-কোন পক্ষ গ্রামাঞ্চলে নিজেদের শক্তি দেখাল।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর প্রতিটি গণনাকেন্দ্রে থাকবে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তার বলয়। প্রতিটি জেলায় এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও সঙ্গে রাজ্য পুলিসের সশস্ত্র বাহিনী থাকবে।সিসিটিভির নজরদারিতে হবে গণনা। গণনা কেন্দ্রেও সংঘর্ষের আশঙ্কা থাকছে। ভোট পরবর্তী সংঘর্ষে রক্তাক্ত পরিস্থিতির তীব্র আশঙ্কা।
তিস্তা তীর থেকে রায়মঙ্গলের তীর পর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোট আগেও রক্তাক্ত হয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। গ্রাম বাংলার গরম মেজাজের ভোট। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটে একের পর এক রাজনৈতিক খুন, বোমা হামলা, গ্রাম দখলের রাজনৈতিক সংঘর্ষে সবকটি জেলা উত্তপ্ত।রক্তাক্ত ও অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস দিল্লি গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সাথে বৈঠক করেন। শাসকদল তাঁকে বিজেপির দালাল বলেছে। আর রাজ্যপালের নিশানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা। তবে কমিশনের সমালোচনা করছেন রাজ্যপালও বিতর্কে জড়িয়েছেন। কারণ, তিনিই রাজীব সিনহার নামে শিলমোহর দেন।