Panchayat Counting: আষাঢ় মাসে বোমা-বৃষ্টি বাংলায়।

গত ৮ জুলাই শনিবার ছিল পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচন। তবে সেদিন নির্বাচনের বদলে বোমা বৃষ্টি, খুন, সন্ত্রাস, রক্তবন্যা দেখেছে গোটা বাংলার মানুষ। আষাঢ় মাসে জল বৃষ্টির…

গত ৮ জুলাই শনিবার ছিল পঞ্চায়েত ভোটের নির্বাচন। তবে সেদিন নির্বাচনের বদলে বোমা বৃষ্টি, খুন, সন্ত্রাস, রক্তবন্যা দেখেছে গোটা বাংলার মানুষ। আষাঢ় মাসে জল বৃষ্টির বদলে চারিদিকে পড়েছে বোমার বৃষ্টি। এরপরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে গতকাল অর্থাৎ ১০ জুলাই পঞ্চায়েত ভোটের পুনর্নির্বাচন হয়, সেখানেও মুড়ি মুড়কির মত বোমা খুন অব্যাহত। আজ এই রক্ত পঞ্চায়েত ভোটের গণনা পর্ব।

এ যেন পঞ্চায়েত ভোট নয় বরং নির্বাচনের উৎ’শব’। যেখানে একের পর এক পরছে মানুষের লাশ। কোথাও বোমা ফেটে, আবার কোথাও গুলিবিদ্ধ হয়ে। চারিদিকে শুধু হাহাকার। আর স্বজন হারার কান্না। খালি হয়েছে বহু মায়ের কোল স্বামীহারা হয়েছে ঘরের বউ। আবার বাবা হারা হয়েছে বহু সন্তান।

গত ৮ জুলাই পঞ্চায়ে নির্বাচন চলাকালীন সময় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল গোটা বাংলা। একের পর এক মানুষ খুন হয়েছে। চারিদিকে শুধু রক্ত আর বোমা বৃষ্টি। সাধারণত আষাঢ় মাসে আমরা বৃষ্টি দেখতে পাই যেখানে আকাশ থেকে জল বিন্দু পড়ে বসুমাতা ঠান্ডা হয়। তবে ২০২৩ এর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজরে এসেছে শুধু মানুষের রক্ত আর বোমা বৃষ্টি।

এর সঙ্গেই চলেছে দেদার ভোট লুট, সঙ্গে ছাপ্পা। ভোট দিতে এসো প্রাণ হারিয়েছিল বহু মানুষ। উত্তর থেকে শুরু করে দক্ষিণ গোটা বাংলা রণক্ষেত্রের রূপ নিয়েছিল। এরপরেই বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়ে ১০ জুলাই নির্বাচন কমিশন পুনর্নির্বাচন করার নির্দেশ দেয়। গতকালও ফের একই অবস্থা ভোট লুট বোমাবাজি মারামারি সন্ত্রাস এ যেন এখন নিত্য দিনের ব্যাপার।

আজ এই ভোট উৎ’শবের’ গণনার দিন। পঞ্চায়েত এবার কার দখলে শাসক দল নাকি তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সে বিষয়ে জানতে পারবে গোটা বাংলা। তবে এই গণনার দিনের সকাল থেকেও শুরু হয়েছে একই দৃশ্য তাই জায়গায় বোমাবাজি মারামারি সন্ত্রাস বুথে বুথে প্রার্থীদের খুন করার হুমকি। এখনো ব্যালট লুটের চেষ্টা অব্যাহত।

তবে এই সন্ত্রাস কাটিয়ে কার দখলে আসবে বাংলার গ্রাম পঞ্চায়েত। রাজত্ব করবে বাংলার গ্রামে নাকি আসতে চলেছে নতুন শাসন। রাজ্যজুড়ে নির্মম সন্ত্রাসের পরে কি তবে স্বস্তি ফিরতে চলেছে? এমনই প্রশ্ন থাকছে গোটা বাংলার মানুষের মনে।