নাগরিক ব্যস্ততা থেকে মুক্তি মিলবে তাজপুরেই

শীতের ছুটি মানেই বেড়িয়ে পড়ার আনন্দ। নাগরিক ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে দুদিনের ছুটিতেই শান্ত প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে আদর্শ গন্তব্য হতে পারে তাজপুরের সমুদ্র সৈকত। তাজপুর…

Tajpur will be freed from the busyness of the citizens

শীতের ছুটি মানেই বেড়িয়ে পড়ার আনন্দ। নাগরিক ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে দুদিনের ছুটিতেই শান্ত প্রকৃতির ছোঁয়া পেতে আদর্শ গন্তব্য হতে পারে তাজপুরের সমুদ্র সৈকত। তাজপুর অবস্থিত মন্দারমণি ও শঙ্করপুরের মাঝামাঝি জায়গায়। দিঘার ভিড় বা মন্দারমণির কৃত্তিমতা ছাড়াই এখানে রয়েছে বালিয়াড়ি, ঝাউবন আর নির্জন সমুদ্রের অসীমতার অনাবিল আকর্ষণ।

কী ভাবে যাবেন:
হাওড়া থেকে ট্রেনে করে যেতে হলে রামনগর স্টেশনে নামতে হবে । রামনগর থেকে সড়ক পথে প্রায় চল্লিশ মিনিট সময় লাগে তাজপুর যেতে। রামনগর স্টেশনের বাইরে গাড়ির স্ট্যান্ড রয়েছে ।
ট্রেন ছাড়াও গাড়িতে করে যেতে চাইলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে পৌঁছতে হবে কোলাঘাট। কোলাঘাট থেকে নন্দকুমারের দিকে যেতে হবে । নন্দকুমার থেকে কাঁথি বা রামনগরের রাস্তায় গেলে চাউলখোলা। বাসে এলে এই চাউলখোলাতেই নামতে হবে । এখান থেকে তাজপুর যাওয়ার ভ্যান বা অটো পেয়ে যাবেন।

কোথায় থাকবেন:
জনসমাগম খুব বেশি না হলেও তাজপুরে থাকার জায়গার অভাব নেই । এখানে সাধারণ থেকে দামি প্রায় সব ধরনের থাকার জায়গাই পাওয়া যায়। সাধারণত থাকার জায়গাতেই মেলে খাওয়াদাওয়ার বন্দোবস্তও। আপনি চাইলে অনলাইনে আগে থেকেই পছন্দের রিসর্ট বুক করে নিতে পারেন।

কী দেখবেন:
তাজপুরে সাধারণত তাঁরাই যান যাঁরা ব্যস্ত জীবনের থেকে কিছুটা বিরতি চান। কাজেই কিছু না করে শুধু ঝাউবন আর সমুদ্র দেখেই কাটিয়ে দেওয়া যেতে পারে দু’-তিনটি দিন। তবে এখন দিঘার মতোই তাজপুরের সমুদ্রে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলার সুযোগ সুবিধা হয়েছে। চাইলে এই সুযোগে ঘুরে নিতেন পারেন দিঘা, শঙ্করপুর, মন্দারমণিও।