Bishnupur – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Sat, 20 Nov 2021 07:47:12 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Bishnupur – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 Bankura: BJP বিধায়ক ‘নিখোঁজে’ TMC যোগের অভিযোগ https://ekolkata24.com/uncategorized/bankura-missing-poster-in-the-name-of-bjp-mla-rumor-of-tmc-addition Sat, 20 Nov 2021 07:47:12 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11813 News Desk: বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর থেকে সোনামুখীর ‘বিধায়ক দিবাকর ঘরামী নিখোঁজ’। শনিবার সকালে এমন পোস্টারে সরগরম জেলার রাজনৈতিক মহল।

‘পাত্রসায়র ব্লকের সাধারণ মানুষে’র নামে দেওয়া এই পোষ্টারে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাতের অন্ধকারে পাত্রসায়র বাসস্ট্যাণ্ড এলাকার বিভিন্ন দেওয়ালে এই পোষ্টার কে বা কারা এই পোস্টার দিল তা স্পষ্ট নয় কারোর কাছেই। শাসক টিএমসি ও বিরোধী বিজেপির রাজনৈতিক তর্জা শুরু।

স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার সকালে সাদা কাগজের উপর কালো কালিতে ছাপার হরফে ‘বিধায়ক দিবাকর ঘরামী নিখোঁজ’ বিষয়ক বেশ কিছু পোষ্টার চোখে পড়ে এলাকাবাসীর। সাতসকালে পাত্রসায়র বাসস্ট্যাণ্ডে আসা মানুষজনের নজরে বিষয়টি প্রথম আসে।

dibakar  gharami

যাঁর দোকানে পোষ্টার দেওয়া হয়েছে সেই গৌতম রুইদাস, আজশুর আলি শেখরা বলেন, সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে গেছি। সকালে এসে এই পোষ্টার দেখলাম। কারা এই সব পোষ্টার লাগিয়েছে তারা জানেননা।

বিষয়টি ‘শাসক দলের চক্রান্ত’। দাবি ‘নিখোঁজ’ বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামীর। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলে যোগ না দেওয়াতে পেরেই তৃণমূল এই সব কাণ্ড করছে। আর এই কাজে তারা সফল হবেনা বলেও তিনি জানান।
তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুব্রত দত্তের দাবি, এই পোষ্টার লাগানোর বিষয়টি তিনি জানেননা। তবে ২ মে ভোটের ফল প্রকাশের পর বিজেপি বিধায়ককে এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়নি। রাজ্য সরকারের সৌজন্যে এলাকায় উন্নয়ন বহাল আছে। বিধায়ককে এলাকায় দেখা পাওয়া যায়নি। তাই এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে পোষ্টার দিয়েছেন বলে তিনি জানান।

]]>
বৃষ্টি হলেই বিষ্ণুপুর পার্কিং জোন ডুবে যায়, পুরসভা আসলে ‘জলসভা’ https://ekolkata24.com/uncategorized/bishnupur-municipality-parking-zone-problem Wed, 22 Sep 2021 02:27:21 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5230 বাঁকুড়া: ‘মন্দির নগরী’ হিসেবেই খ্যাত বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর। মল্ল রাজাদের অসামান্য কীর্তির টানে বছরভর দেশ বিদেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক এখানে আসেন। আগত পর্যটকদের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা ভেবে বিগত ২০০৩ সালে পৌরসভার তরফে ইন্দিরা মার্কেটের নিচে একটি পার্কিং জোন তৈরী করা হয়। উদ্বোধন করেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী। বর্তমানে সেই পার্কিং জোন নিয়ে বেড়েছে বিড়ম্বনা। অল্প বৃষ্টিতেই সেই পার্কিং জোন স্যুইমিং পুলের চেহারা নেয়।

ইন্দিরা মার্কেটের পার্কিং জোনে গিয়ে দেখা গেল পুরো এরাকা জুড়ে প্রায় হাঁটু সমান জল। তার মধ্যেও যারা একান্তই নিরুপায় তারাই জলের মধ্যে গাড়ি রাখছেন, আবার অনেকেই সযত্নে এড়িয়ে চলছেন পার্কিং জোনটিকে। আর এই সুযোগে শাসক দলকে বিঁধতে ছাড়ছেন না বিরোধীরাও।

পার্কিং জোনের দায়িত্বে থাকা কর্মী প্রদীপ কর্মকার বলেন, পৌরসভাকে জানানোর পর জল বের করা হয়েছিল। ফের নতুন করে জলে ভরে যাচ্ছে পুরো পার্কিং জোন। এই অবস্থায় অনেকেই এখানে গাড়ি রাখতে চাইছেননা বলে তিনি জানান।

বিজেপির নগর মণ্ডল সভাপতি উত্তম সরকার এবিষয়ে বলেন, ‘পরিকল্পনাহীন’ কাজের জন্য সাধারণ মানুষকে ভূগতে হচ্ছে। সরকারী অর্থের অপচয় হয়েছে। ঐ জায়গায় যারা গাড়ি রাখেন তারা পৌরসভা নির্দ্ধারিত টাকা দেন। তারপরেই এই চূড়ান্ত অব্যবস্থা কেন? সে নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এই বিজেপি নেতা।

বাঁকুড়া জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দেবু চ্যাটার্জীর দাবি, সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা ভেবে বিষ্ণুপুর পৌরসভা পরিচালিত হয়না। এই পৌরসভা ‘জলসভা’তে পরিনত হয়েছে। পৌরসভার সঠিক নজরদারীর অভাবেই এই সমস্যা বলে তার দাবি।

]]>
🅾🅵🅵🅱🅴🅰🆃: মল্লভূম বিষ্ণুপুরে পটেশ্বরী ‘বড় ঠাকরুণ’ নামই তো চলে https://ekolkata24.com/offbeat-news/unique-durga-art-still-exist-in-heritage-city-bishnupur Wed, 15 Sep 2021 08:53:31 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4640 তিমিরকান্তি পতি, বাঁকুড়া: সময়ের দাবি মেনে বেড়েছে পুজোর জৌলুস। থিম পুজোয় মেতেছে আম বাঙালী। কিন্তু সে সবকিছুকে ছাপিয়ে, গড্ডলিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে প্রাচীণ ঐতিহ্য আর পরম্পরা মেনে বিষ্ণুপুর মল্ল রাজবাড়ি সহ বেশ কিছু জায়গাতে পটচিত্রেই পূজিতা হন দেবী দুর্গা।

বিশেষ পদ্ধতি অনুসরণ করে কাপড়ের তৈরী পটে সুনিপুন দক্ষতায় বংশ পরম্পরায় দেবী দুর্গার প্রতিকৃতি ফুটিয়ে তোলার কাজ করছেন বিষ্ণুপুরের ফৌজদার পরিবার। বর্তমান সদস্যরা হাতে তুলে নিয়েছেন তুলি। পুজোর আগে এই মুহূর্তে তাঁদের ব্যস্ততার শেষ নেই। নাওয়া-খাওয়া ভুলে চলছে অবিশ্রান্ত তুলির টান। মনন আর ধৈর্যের মিশেলে এঁকে চলেছেন পটের দুর্গা।

Unique durga art still exist in heritage city Bishnupur

হাতে গোনা কয়েকটা দিনের মধ্যেই যে তাঁদের এঁকে ফেলতে হবে ছ’টি পটের দুর্গা। বিষ্ণুপুর মল্ল রাজবাড়ির পাশাপাশি কয়েকটি সাবেকি পরিবারেও যাবে এখানকার পট দুর্গা। এই তালিকায় বিষ্ণুপুর রাজবাড়ির পাশাপাশি শহরের কাদাকুলি, মহাপাত্র বাড়ি, আইকাত বাড়ি, চক্রবর্ত্তী বাড়ি, ভট্টাচার্য বাড়ি ও কুচিয়াকোল রাজবাড়ির নাম রয়েছে।

চলতি বছরে অধিকাংশ পরিবারের দুর্গার পটচিত্র তৈরির বরাত পেয়েছেন বিষ্ণুপুরের ফৌজদার পরিবার। পরম্পরা মেনে মল্ল রাজবাড়ির জন্যই তিনটি পটের দুর্গা তৈরি করবেন তাঁরা। যেমন ‘বড় ঠাকুরুনে’র পটচিত্র যাবে জিতাষ্টমীতে। তারপর নিয়ম মেনে ‘মেজো ঠাকুরণ’ ও ‘ছোট ঠাকুরণে’র পট আঁকা শুরু হবে।

পট চিত্র আঁকার এই পারিবারিক ঐতিহ্য কতো দিন টিকে থাকবে, জানেননা শিল্পী শীতল ফৌজদার। এবিষয়ে কথা বলতে গিয়ে আক্ষেপের সূর ঝরে পড়ে তাঁর গলায়। তিনি বলেন, এই কাজে তেমন রোজগার নেই, ফলে বর্তমান প্রজন্মের কেউই আর এই কাজে আগ্রহী নয়। একমাত্র ভাইপোকে তিনি নিজে এই পটচিত্র আঁকার কাজ শিখিয়েছিলেন কিন্তু সেও ‘পেটের দায়ে’ অন্যকাজে ব্যস্ত। ফলে হয়তো একদিন ইতিহাস হয়ে যাবে ফৌজদারির পরিবারের পটচিত্র তৈরীর বিষয়টিও বলে তিনি জানান।

]]>
এ এক তাসের দেশ ! দশাবতারের তাস দুনিয়া বাঁকুড়া https://ekolkata24.com/offbeat-news/unique-dashabatar-cards-of-bankura Sun, 12 Sep 2021 08:46:56 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=4424 তিমিরকান্তি পতি বাঁকুড়া: এ এক তাসের দেশ। তবে অন্য তাসের দেশ। আসলে ‘মন্দির-নগরী’ হিসেবেই খ্যাত বাঁকুড়ার (Bankura) বিষ্ণুপুর (Bishnupur)। এক সময়ের মল্ল রাজাদের রাজধানী প্রাচীন এই পৌর শহরের টেরাকোটার মন্দিরগুলি যেমন পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ, তেমনি বাংলার সুপ্রাচীন শিল্পকলার টানে এখানে ছুটে আসেন অসংখ্য মানুষ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য আর পরম্পরা মেনে শহরের আজও বংশপরম্পরায় ‘দশাবতার’  (Dashabatar) তাস তৈরি করে আসছেন শহরের ফৌজদার পরিবার। মাঝে এই শিল্পে কিছুটা ভাটা দেখা গেলেও বর্তমান প্রজন্মের মধ্যে এবিষয়ে আগ্রহ বাড়ছে। সাধারণ তাসের সঙ্গে এই তাসের পার্থক্য অনেক। ৫২ নয়, এখানে দশাবতার তাসের সংখ্যা ১২০। আর এখানে মৎস্য, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন, পরশুরাম, রাম, বলরাম, জগন্নাথ এবং কল্কি। বিষ্ণুর এই দশ অবতারের মূর্তি আঁকা থাকে তাসে। প্রত্যেক অবতারের জন্য নির্ধারিত ১২টি করে তাস। তার মধ্যে একটা রাজা ও একটি মন্ত্রী।

দশাবতারের বাকি দশটিতে থাকে অবতারের প্রহরণ বা জ্ঞাপক চিহ্ন। যেমন মৎস্য অবতারের মাছ, কূর্মর কচ্ছপ, বরাহের শঙ্খ, নৃসিংহের চক্র, বামনের হাঁড়ি, পরশুরামের টাঙ্গি, রামের বাণ, বলরামের গদা, জগন্নাথের পদ্ম এবং কল্কির তরবারি। প্রথম পাঁচ অবতার, অর্থাৎ মীন, কূর্ম, বরাহ, নৃসিংহ, বামন— এই পাঁচটি তাসের ক্রমপর্যায় হলো রাজা, মন্ত্রী, তার পর দশ, নয়, আটি অর্থাৎ আট, সাতি অর্থাৎ সাত ইত্যাদি। এক্কা (এক) সব চেয়ে ছোট। দশাবতার তাস পাঁচ জন মিলে খেলা যায়। তবে বর্তমান সময়ে এই তাস খেলার চেয়ে ঘর সাজানোর কাজেই মানুষ বেশি ব্যবহার করছেন।

এই দশাবতার তাস তৈরির সঙ্গে যুক্ত শিল্পী বাঁশরী ফৌজদার বলেন, তাঁদের পূর্বপুরুষরা মল্ল রাজার সেনাপ্রধান হিসেবে দক্ষতা অর্জন করায় ফৌজদার পদবী পান। সেই থেকেই তাঁর পরিবারের পদবী ফৌজদার। একই সঙ্গে রাজার নির্দেশেই এই তাস তাঁরা তৈরির কাজ শুরু করেন। সেই ধারাবাহিকতা এখনো চলছে।

বাঁশরী ফৌজদারের মেয়ে সুইটি ফৌজদার ইতিমধ্যে রাজ্যস্তরের কারুশিল্প প্রতিযোগিতায় শিল্প বিভাগে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছেন। পড়াশুনা করেও চাকরী সন্ধান না মেলায় তিনি পারিবারিক এই পেশাতেই যোগ দিয়েছেন বলে জানান।

]]>