এমন এক ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের মুহুর্তে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটের ভগবান সচিন তেন্ডুলকরের টুইট পোস্ট, “এমন আক্রমণে দুর্দান্ত বোলিং যা বিশ্বের যে কোনও জায়গায় টেস্ট ম্যাচে ২০ উইকেট নিতে পারে।
একটি নিশ্চিত জয়ের জন্য #TeamIndia কে অভিনন্দন!
#SAvIND”।
ভারতের প্রাক্তন হেডকোচ রবি শাস্ত্রী প্রোটিয়াদের বিরুদ্ধে ঐতিহাসিক টেস্ট ম্যাচ জয়ের আনন্দে টুইট পোস্ট, “উহু ব্রিসবেন, ওভাল, লর্ডস এবং এখন সেঞ্চুরিয়ন… অভিনন্দন @imVkohli, রাহুল দ্রাবিড় এবং সমগ্র দলকে সেঞ্চুরিয়নে জয়ী প্রথম এশিয়ান দেশ হওয়ার জন্য #BoxingDayTest #TeamIndia “।
ঐতিহাসিক ‘বক্সিং ডে’ টেস্ট জয়ের মুহুর্তে নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি ভারতের আর এক কিংবদন্তী ব্যাটসম্যান ভিভিএস লক্ষণ। এই জয় নিয়ে লক্ষণের টুইট পোস্ট, “সিডনিতে দুর্দান্ত স্থিতিস্থাপকতার সাথে বছরটি শুরু হয়েছিল, তারপরে গাব্বাতে একটি অবিশ্বাস্য জয় ছিল, লর্ডসের জয়টি বিশেষ ছিল এবং সেঞ্চুরিয়নে একটি দুর্দান্ত জয় দিয়ে বছরের শেষ হয়েছে। টিম ইন্ডিয়ার জন্য একটি দুর্দান্ত টেস্ট ম্যাচের বছর। একটি দুর্দান্ত জয়ের জন্য অভিনন্দন #INDvsSA “।
বস্তুত, পঞ্চম দিনে খেলার শেষ মুহুর্তে ৬৬.৫ ওভারে সামির বলে মার্কো জ্যানসনের ক্যাচ পহ্নের গ্লাভসে ধরা পড়ে, পরের ওভারে পঞ্চম ডেলিভারিতে রাবাদা অশ্বিনের বলে ক্যাচ তুলে সামির হাতে বন্দি আর ৬৭.৬ ওভারে অর্থাৎ পরের বলেই এনগিদি অশ্বিনের বলে পূজারার হাতে ক্যাচ দিতেই, সেঞ্চুরিয়নে প্রথম টেস্ট ভারত পকেটে পুড়ে ফেলে।
]]>রেড এবং গোল্ড ব্রিগেড চলতি ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তাদের দ্বিতীয় মরসুমে এখনও একটি ম্যাচও জিততে পারেনি এবং লিগ টেবিলে লাস্ট বয়,১১ তম স্থানে,৮ ম্যাচ খেলে।
এসসি ইস্টবেঙ্গল ক্লাব এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “হোসে মানুয়েল দিয়াজ এবং তার ডেপুটি অ্যাঞ্জেল পুয়েব্লা গার্সিয়া ব্যক্তিগত কারণে আলাদা হতে পারস্পরিকভাবে সম্মত হয়েছেন”।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে,”প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক এবং এসসি ইস্ট বেঙ্গল সহকারী কোচ রেনেডি সিং অন্তর্বর্তী প্রধান কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন”।
এসসি ইস্টবেঙ্গল সিইও কর্নেল শিবাজি সমাদ্দার বলেন, “চলতি মরসুমে দলকে তাদের অবদান এবং সমর্থনের জন্য আমরা হোস এবং অ্যাঞ্জেলকে ধন্যবাদ জানাই। আমি তাদের উভয়ের ভবিষ্যতের প্রচেষ্টার জন্য শুভ কামনা করি”।
𝐂𝐥𝐮𝐛 𝐬𝐭𝐚𝐭𝐞𝐦𝐞𝐧𝐭
SC East Bengal confirms that Jose Manuel Diaz and his deputy Angel Puebla Garcia have mutually agreed to part ways due to personal reasons.
Former India captain and our assistant coach Renedy Singh has taken over charge as interim head coach. pic.twitter.com/umt5MrJSDt
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) December 28, 2021
এসসি ইস্টবেঙ্গল চলতি আইএসএল ২০২১-২২ মরসুমে চারটি ড্র করেছে এবং চারটি ম্যাচ হেরেছে। হায়দ্রাবাদ এফসির বিরুদ্ধে তাদের শেষ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র শেষ হয়েছে।
লাল হলুদ শিবিরের পরের ম্যাচ ৪ জানুয়ারী, ২০২২ বেঙ্গালুরু এফসি’র বিরুদ্ধে। এখন অন্তর্বর্তীকালীন হেডকোচের দায়িত্বতে থাকা রেনেডি সিং’র কাছে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ এসসি ইস্টবেঙ্গলকে চলতি আইএসএলে প্রথম জয়ের মুখ দেখানো।
]]>প্রতিবেশী দেশের প্রাক্তন অধিনায়ক নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বিতর্কিত বয়ানে বলেন, “ভারতীয় ক্রিকেটের উন্নতির জন্য, গাঙ্গুলিকে এগিয়ে আসা উচিত এবং তাদের উত্তর দিয়ে এই জন্মগত বিতর্কের অবসান ঘটানো উচিত”।
৩৭ বছর বয়সী প্রাক্তন পাক অধিনায়ক সলমান বাটের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া বয়ানের মূল বক্তব্য যা এখন বিতর্কিত এবং ওই বিতর্কিত বয়ানে বাটের অযাচিতভাবে হস্তক্ষেপ হল এরকম,” বিরাট কোহলি সবার সামনে যা বলেছেন তা ছোট কথা নয়। একদিকে গাঙ্গুলি বলছেন যে তিনি বিরাটকে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাট থেকে অধিনায়কত্ব ছাড়তে নিষেধ করেছিলেন, অন্যদিকে কোহলি বলেছেন যে বিসিসিআই পক্ষের কোনও কর্মকর্তা এই বিষয়ে তাঁর সাথে কখনও কথা বলেননি। এই গুরুতর বিষয়ে উভয় খেলোয়াড়েরই ভিন্ন বক্তব্য রয়েছে। এই সমস্যা উপেক্ষা করা যাবে না”। প্রাক্তন পাক অধিনায়ককের এমন বিতর্কিত বয়ানকে ভারতের ক্রিকেট মহল মোটেও পচ্ছন্দ করছে না।
এখানেই থেমে না থেকে ইউটিউব চ্যানেলে সলমান বাট স্টেপ আউট করে বিতর্কে আরও বেশি করে ঘি ঢেলে দিয়ে বয়ানে বলতে থাকেন, “বিষয়টি শুধু অধিনায়কত্বের নয়। অবশ্যই, অধিনায়ক হিসাবে রোহিতের আরও ভাল রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু যেভাবে একজন সিনিয়র খেলোয়াড়কে হঠাৎ করেই অন্য একজন খেলোয়াড়ের হাতে অধিনায়কত্ব দেওয়া হয়, সে মনোভাব ঠিক নয়। সৌরভকে এই বিষয়ে আলোচনা করে সমাধান বের করতে হবে। নইলে তার ও কোহলির মধ্যে আস্থা ভেঙে যেতে পারে”। ভারতীয় ক্রিকেটে এখন “ফিল গুড ফ্যাক্টর” মানে মুক্ত ফুরফুরে বাতাস বয়ে চলেছে, টিম ইন্ডিয়া দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তিন টেস্ট এবং তিন ওডিআই ম্যাচের সিরিজ খেলতে উড়ে গিয়েছে,বৃ্হস্পতিবার সকালে।
এমন আবহে ‘রুটি করার চাটু গরম’ করতে উদ্দ্যেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বিতর্কিত বয়ান করেছে প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক সলমান বাট।
]]>এমনই এক আলোচনা চক্রে গগৈ তৃণমূল (trinamul congress) কংগ্রেস-সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন, এমনই অভিযোগ করল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে শুধু অভিযোগ করাই নয়, বিতর্কিত ওই মন্তব্যের জেরে সোমবার (monday) গগৈয়ের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিস দিল তৃণমূল। একই সঙ্গে দুই তৃণমূল সাংসদ জহর সরকার ও মৌসম বেনজির নূর সংসদের এপিক কমিটির কাছে গগৈয়ের বিরুদ্ধে একটি চিঠিও দিয়েছেন।
সোমবার সংসদের অধিবেশন শুরু হলে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এই স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগটি আনা হয়। জানা গিয়েছে, গগৈয়ের এই আপত্তিকর মন্তব্যের বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সহমত হয়েছে কংগ্রেস এবং আরও বেশ কয়েকটি বিরোধীদল। আপাতত তৃণমূল কংগ্রেস গগৈয়ের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনলেও আগামী দিনে সব বিরোধী দল একযোগে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনতে পারে এমনটাই খবর।
তবে গগৈয়ের আত্মজীবনী নিয়ে এর আগেই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বইয়ের একটি ছবি ও ক্যাপশন নিয়ে। অযোধ্যা মামলায় পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেছিল। সেই বেঞ্চের সদস্যদের একটি ছবি আছে গগৈয়ের বইয়ে। ওই ছবির ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, অযোধ্যা রায়ের পরে একটু আনন্দ। একই সঙ্গে ওই ঘটনা নিয়ে লিখতে গিয়ে গগৈ জানিয়েছেন, অযোধ্যা মামলার রায় যেদিন দিয়েছিলেন সেদিন সন্ধ্যায় তাঁরা দিল্লির এক হোটেলে গিয়ে চিনা খাবার খেয়েছিলেন এবং মদ পান করেছিলেন।
বিতর্কিত ও ঐতিহাসিক ওই রায় ঘোষণার পর প্রধান বিচারপতির এই উৎসব পালন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই বলেছেন, এত বড় একটা ঘটনার পর বিচারপতি মদ খাচ্ছেন সেটা ফলাও করে লেখা কি খুব গর্বের? এই অভিযোগের উত্তরে গগৈ পাল্টা বলেছেন, কোন উৎসব পালনের জন্য তাঁরা সেদিন হোটেলে গিয়ে নৈশভোজ করেননি। বেঞ্চের প্রত্যেক সদস্য কয়েক মাস ধরে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন। তাই চূড়ান্ত রায় ঘোষণার পর তাঁদের মনে হয়েছিল বুক থেকে একটা ভারি বোঝা নেমে গিয়েছে। এবার একটু বিশ্রাম নেওয়া দরকার। সে কারণেই তাঁরা হোটেলে গিয়ে খাবার খেয়েছিলেন। যারা সমালোচনা করছেন তাঁরা কি কেউ কখনও বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে গিয়ে হোটেলে খাবার খান না, বলে পাল্টা প্রশ্ন তুলেছেন গগৈ। গগৈয়ের এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে অনেকেই বলেছেন, যে পক্ষ হেরে গিয়েছে তাদের কাছে এই ঘটনাটি কেমন লাগবে সেটা কি গগৈ কখনও ভেবে দেখেছেন?
]]>বুধবার ভারতের সীমিত ওভারের ফুলটাইম অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন রোহিত শর্মা। আগামী বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে বিরাট কোহলির কাছ থেকে দায়িত্ব নেবেন এই ডানহাতি ওপেনিং ব্যাটসম্যান। এই নিয়ে শাস্ত্রী বলেছেন, “রোহিত আতঙ্কিত নন; তিনি সর্বদা দলের জন্য যা সেরা তা করেন। তিনি দলের সমস্ত সংস্থান মার্শাল করেন ভিন্ন, ফুটবলে।” বিসিসিআই রোহিতের নিয়োগের ঘোষণা দেওয়ার আগে প্রাক্তন অলরাউন্ডারের মন্তব্য এসেছিল।
আইপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক রোহিত শর্মার আন্তর্জাতিক অধিনায়ক হিসেবেও একটি দুর্দান্ত রেকর্ড রয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৩২টি সীমিত ওভারের ম্যাচে ভারতের অধিনায়কত্ব করেছেন যার মধ্যে রোহিত ২৬ টি জিতেছেন৷ রোহিতের নেতৃত্বে ভারত ২০১৮’র নিদাহাস ট্রফি এবং এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট জিতেছে৷
রোহিতকে পূর্ণ-সময়ের জন্য ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসাবে নিয়োগ এবং আজিঙ্কা রাহানের বদলে টেস্ট দলে সহ-অধিনায়ক হিসেবে রোহিত শর্মাকে তুলে আনা, ইঙ্গিত দেয় যে ভারতীয় ক্রিকেট নেতৃত্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
ভারতীয় নির্বাচকরা অস্ট্রেলিয়ায় আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর, ২০২৩’এ ভারতে হতে চলা ওডিআই বিশ্বকাপের জন্য একটি স্কোয়াড তৈরি করার লক্ষ্যে রোহিতকে সময় দিতে চেয়েছিলেন।
রোহিতকে ভারতের নতুন হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে। দ্রাবিড় ইতিমধ্যেই টিম ইন্ডিয়ার কম্যান্ড কাঁধে নিয়ে কোচিং অভিযান শুরু করেছেন। হোম সিরিজে টি টোয়েন্টি এবং টেস্ট ক্রিকেটের উভয় ফর্ম্যাটে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ জয় হেডকোচ রাহুল দ্রাবিড়ের কোচিং অভিযানকে নিখুঁতভাবে শুরু করেছে।
কোহলির অধিনায়কত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে, শাস্ত্রী বলেছেন, তিনি (বিরাট কোহলি) “কৌশলগতভাবে দক্ষ অধিনায়ক।” এই প্রসঙ্গে ভারতের প্রাক্তন হেডকোচ শাস্ত্রী বলেছেন,”দিনের শেষে, তিনি একজন কৌশলগতভাবে শক্তিশালী অধিনায়ক। দক্ষ। লোকেরা সবসময় ফলাফলের ভিত্তিতে আপনাকে বিচার করবে, আপনি কিভাবে রান পেলেন তা নয়, আপনি কত রান করেছেন তা দিয়ে। সে ভালভাবে বিকশিত হয়েছে; সে পরিণত হয়েছে। একজন খেলোয়াড় হিসেবে। ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়া সহজ নয়। সে যা অর্জন করেছে তার জন্য তার গর্ববোধ করা উচিত।”
সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ভারতের সাফল্যের ক্ষেত্রে কোহলি কীভাবে সাদা বলের ফর্ম্যাটে তার আধিপত্য পুনরুদ্ধার করবেন তাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে চলেছে।
]]>কার্তিক দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং আক্রমণেরও প্রশংসা করে বলেছেন, তাদের ব্যাটিং লাইনআপ “অরক্ষিত” এবং তারা কিছু খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভরশীল।
প্রসঙ্গত, শেষবার যখন ভারত ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করেছিল, তারা প্রতিটি খেলায় কঠিন লড়াই করেছিল। কিন্তু তিন টেস্টে মাত্র একটি খেলায় জিতেছিল।ভারত কখনও দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট সিরিজ জিততে পারেনি।
দীনেশ কার্তিক চ্যাটারে বলেছেন “অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার খুব ভালো বোলিং লাইন আপ রয়েছে, বিশেষ করে ফাস্ট বোলাররা- (কাগিডো) রাবাদা, (অ্যানরিচ) নর্টজে, (ডোয়াইন) প্রিটোরিয়াস এবং তাদের পছন্দ। তবে যখন তাদের ব্যাটিংয়ের কথা আসে তখন এটি বেশ দুর্বল, তারা ফায়ার করার জন্য এক বা দুইজন খেলোয়াড়ের উপর নির্ভরশীল। তাদের বাকিদের কাছে ভারতের মতো উচ্চমানের বোলিং লাইন আপ পরিচালনা করার মতো অভিজ্ঞতা বা উপায় নেই। সুতরাং, অবশ্যই, এই পর্যায়ে আমার অর্থ ভারতে থাকবে।”
প্রাক্তন কলকাতা নাইট রাইডার্স অধিনায়ক আরও বলেছেন, বিরাট কোহলির নেতৃত্বাধীন দলের ব্যাটসম্যানরা কীভাবে শীর্ষ শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান বোলিং’র বিরুদ্ধে যাবে তা দেখা আকর্ষণীয় হবে।
ওই চ্যাটারে দীনেশ কার্তিক প্রোটিয়ার্সদের বোলিং লাইন আপ নিয়ে নিজের মত রেখে বলেছেন, “আমি মনে করি যে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার সময় চ্যালেঞ্জ ধরে কারণ তাদের আত্মবিশ্বাস বেশি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটিং কীভাবে রূপ নেয় তা দেখা সত্যিই আকর্ষণীয় হবে, এটি একটি বড় বিষয়। ভারত যদি পার্টনারশিপ সেলাই করার উপায় খুঁজে পায়(ব্যাটিং জুটি গঠন ম্যাচে) এবং প্রতিবার যখন কেউ ব্যাট করতে যায় তখন দুয়েকটি শতরান করে, তবে আমি মনে করি ভারত অস্ট্রেলিয়ায় যা অসাধারণভাবে করেছে, তা করার পথে ভাল হবে।”
ক্রিকেটের ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যাবে, দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে টেস্ট সিরিজে কেবলমাত্র তিনটে দল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড এবং শ্রীলঙ্কা প্রোটিয়ার্সদের হারাতে পেরেছে।
]]>সোমবার অনিলকে আদালতে তোলা হলে আদালত অনিলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। উল্লেখ্য , ৬ নভেম্বর ৭১ বছর বয়সি অনিলকে অবকাশকালীন আদালতে ইডি নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে অনিলকে সাত দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছিল। সোমবার তাঁকে ফের আদালতে (court) তোলা হয়।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার পরমবীর সিং অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল অর্থ তছরুপ ও তোলাবাজির ঘটনায় জড়িত। বর্তমানে সাসপেন্ড হওয়া পুলিশকর্তা শচীন (sachin) ওয়াজেকে মুম্বইয়ের বিভিন্ন রেস্তোঁরা ও ব্যবসায়ীদের থেকে ১০০ কোটি টাকা সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশমুখ।

ঘুষ নেওয়া ও আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে চলতি বছরের শুরুতেই অনিলকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল। ইডির তদন্তের হাত থেকে রক্ষা পেতে অনিল বম্বে (bombay) হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু হাইকোর্টে তাঁর সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়। যদিও অনিলের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার চরিতার্থ করতেই তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে।
<
p style=”text-align: justify;”>উল্লেখ্য, অনিলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার পরই নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন পরমবীর (parambeer)। তাঁর নামের জারি হয়েছে লুক আঙট নোটিস look-out । পরমবীরের বিরুদ্ধেও একাধিক তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ প্রসঙ্গে দেশমুখ অবশ্য গত সপ্তাহে বলেছিলেন, যিনি আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন এখন তাঁরই কোন পাত্তা পাওয়া যাচ্ছে না। বরং ওই অফিসারের বিরুদ্ধেই তাঁর দফতর থেকে একাধিক মামলা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনারকে পলাতক ঘোষণার প্রস্তাব দিয়েছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর। পরমবীর সিংকে পলাতক ঘোষণা করার আইনি প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। চলতি বছরের মে মাস থেকে পরমবীর নিখোঁজ। রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পরমবীরকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি মুকেশ আম্বানির বাড়ির সামনে বোমাতঙ্কের মামলায় যথাযথ তদন্ত না করার জন্য পরমবীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে স্বরাষ্ট্র দফতর। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে এনসিপির তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
]]>আর কয়েক মাস পরেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। সমাজবাদী পার্টির একজন ডাকাবুকো নেতা হিসাবেই পরিচিত ছিলেন গায়ত্রী। তাই আদালতের এই নির্দেশ সমাজবাদী পার্টির (sp) পক্ষে ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে অখিলেশ যাদব মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য গায়ত্রীর বিরুদ্ধে চিত্রকূটের এক মহিলা গণধর্ষণের (gang rape) অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। নির্যাতিতা মহিলা অভিযোগে বলেছিলেন, গায়ত্রী দুই সঙ্গীকে নিয়ে তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করেছেন। যদিও সে সময় গায়ত্রী এবং সমাজবাদী পার্টি এটাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার বলে মন্তব্য করেছিল। দীর্ঘ টালবাহানার পর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শেষ পর্যন্ত গায়ত্রীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। উল্লেখ্য, এই মামলায় বুধবার গায়ত্রী ও তার দুই সঙ্গীকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন বিচারক। শুক্রবার তাদের সাজা শোনানো হল
অন্যদিকে গোরক্ষপুরের হোটেলে পুলিশি অভিযানের সময় মৃত্যু হয়েছিল মণীশ গুপ্তা (manish gupta) নামে এক ব্যবসায়ীর। মণীশকে পিটিয়ে খুন করেছে পুলিশ, এমনই অভিযোগ করেছিল তাঁর পরিবার। ওই ঘটনায় ৬ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছিল যোগী আদিত্যনাথ (yogi adityanath) সরকার। কিন্তু ছয় পুলিশকে সাসপেন্ড করেও রেহাই পেল না যোগী সরকার।
এদিন মণীশ গুপ্ত খুনের মামলার তদন্তভার রাজ্য পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইয়ের (cbi) কাছে হস্তান্তর করার নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ যোগী সরকারকে বিপাকে ফেলবে। কারণ বিরোধীরা অভিযোগ করেছিল, মণীশ গুপ্তা হত্যা মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের আড়াল করছে যোগী সরকার।
]]>অ্যাশলে ম্যালেট ১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তার অভিষেক ঘটে। গোটা ক্রিকেট কেরিয়ারে ৩৮ টি টেস্ট খেলে ২৯.৮৪ গড়ে ১৩২ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৭২’র অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৯ রানে ৮ উইকেট অস্ট্রেলিয়ায় ফিঙ্গার স্পিনারের হিসেবে অ্যাশলের পারফরম্যান্স আজও প্রশংসিত।
কিন্তু ভারতের বিরুদ্ধে পারফরম্যান্সকে অ্যাশলে ম্যালেটের সর্বশ্রেষ্ঠ পরিসংখ্যান হিসেবে ধরা হয়। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া টেস্ট সিরিজে ১৯৬৯-৭০ ভারত সফরে, অ্যাশলে ২৮ উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের বিরুদ্ধে, যা আজও অস্ট্রেলিয়ার ভারত সফরে অ্যাশলে ম্যালেটের এই পারফরম্যান্সকে একটি বিরল সিরিজ জয়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে আলোচিত হয়ে আসে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান রিচার্ড ফ্রয়েডেনস্টাইন বলেছেন, “অ্যাশলে ম্যালেট একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড়, প্রশংসিত সাংবাদিক এবং অত্যন্ত প্রশংসিত লেখক ছিলেন।” “তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড় হিসেবেই নয়, একজন অসাধারণ লেখক হিসেবেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, যিনি সকল সময়ে মানুষের উপভোগ করার জন্য গেমের সেরা কিছু স্মৃতি এবং মুহূর্তগুলোকে সংরক্ষণ করেছিলেন। “অ্যাশলে একজন নম্র স্বভাবের মানুষ ছিলেন যা তার কাজগুলোকে তাঁর সংরক্ষিত ব্যক্তিত্ব জীবনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে।”
অ্যাশলে ম্যালেট তার ক্রিকেট কেরিয়ার শেষ হওয়ার পর অনেক তরুণ স্পিনারকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন, স্পিন অস্ট্রেলিয়া প্রোগ্রাম এবং শ্রীলঙ্কায় স্পিন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রয়াত অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তী ক্রিকেটার অ্যাশলে ম্যালেট ব্যাটিং গ্রেট ভিক্টর ট্রাম্পার এবং সহযোগী স্পিন উইজার্ড ক্ল্যারি গ্রিমেটের জীবনী সহ অসংখ্য বই লিখেছেন।