freedom – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 12 Nov 2021 19:17:05 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png freedom – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 স্বাধীনতা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে কঙ্গনার পদ্ম সম্মান প্রত্যাহারের দাবি উঠল https://ekolkata24.com/uncategorized/withdraw-padma-shri-chorus-grows-after-kangana-ranaut-freedom-was-bheek-remark Thu, 11 Nov 2021 20:30:54 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11116 নিউজ ডেস্ক: দুদিন আগে দেশের স্বাধীনতা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut)। সদ্য পদ্ম পুরস্কার পেয়েছেন কঙ্গনা। ওই মন্তব্যের জেরে অভিনেত্রীর পদ্ম সম্মান প্রত্যাহারের দাবি উঠল।

কংগ্রেস, এনসিপি, শিবসেনা, আম আদমি পার্টির মত একাধিক দল কঙ্গনার পদ্মশ্রী সম্মান প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। তবে শুধু বিরোধীরাই নয়, বিজেপির অন্যতম সহযোগী হিন্দুস্থান আওয়াম মোর্চাও এক্ষেত্রে বিরোধীদের সঙ্গে গলা মিলিয়েছে। গতকালই কঙ্গনার স্বাধীনতা সংক্রান্ত ওই মন্তব্য নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছিলেন গেরুয়া দলের তরুণ সাংসদ বরুণ (Varun Gandhi) গান্ধী।

উল্লেখ্য পদ্ম সম্মান পাওয়ার পর কঙ্গনা টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ভারত ১৯৪৭ সালে স্বাধীন হয়নি স্বাধীনতার নামে আমরা যেটা বলে থাকি সেটা ছিল একটা ভিক্ষা। দেশ প্রকৃত স্বাধীন হয়েছে ২০১৪ সালে। কঙ্গনা বরাবরই বিজেপির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই ২০১৪ সালে দেশের স্বাধীনতা প্রাপ্তির কথা বলতে গিয়ে তিনি দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদির পথ চলার সূচনাকেই উল্লেখ করতে চেয়েছিলেন। এর আগেও একাধিকবার বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এসেছেন অভিনেত্রী। এবার দেশের স্বাধীনতা নিয়ে মন্তব্য করে নতুন এক বিতর্কে জড়ালেন তিনি।

ওই মন্তব্যের জেরে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা কেন্দ্রকে কড়া ভাষায় তোপ দেগেছেন। শুক্রবার আনন্দ বলেন, এ ধরনের সম্মান দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মনস্তাত্ত্বিক মূল্যায়ন করা উচিত কেন্দ্রের। যাকে পদ্মের মত এক অত্যন্ত দামি সম্মান দেওয়া হবে তাঁরা যাতে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অসম্মানিত না করেন সে বিষয়টি নিশ্চিত করা দরকার। অন্যদিকে কঙ্গনাকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন এনসিপি নেতা নবাব মালিক (nabab malik)। নবাব বলেছেন, তার মনে হয় কঙ্গনা এই মন্তব্য করার আগে হিমাচল প্রদেশের বাড়িতে বসে মালানা ক্রিম (malana creem) সেবন করেছিলেন। উল্লেখ্য মালানা ক্রিম হল হিমাচলের এক ধরনের গ্রামে তৈরি মাদক।

]]>
Religious Freedom: ভারত-রাশিয়াকে লাল তালিকাভুক্ত করার সুপারিশ মার্কিন মানবাধিকার সংগঠনের https://ekolkata24.com/uncategorized/us-human-rights-group-recommends-red-listing-india-for-religious-freedom Sun, 07 Nov 2021 12:42:08 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=10642 News Desk: প্রতি বছর ডিসেম্বর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার (Religious Freedom) সংক্রান্ত একটি তালিকা প্রকাশ হয়। সেই তালিকায় ভারতকে (India) ‘লাল তালিকা’ ভুক্ত করার সুপারিশ করল মার্কিন মানবাধিকার সংগঠন ইউএসসিআইআরএফ।

তবে শুধু ভারত নয়, আরও চারটি দেশকে লাল তালিকায় পাঠানোর কথা বলা হয়েছে। যথারীতি ভারত সরকার ওই মার্কিন মানবাধিকার সংগঠনের প্রস্তাবের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। নয়াদিল্লির (Delhi) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ভারতের সংবিধান ও অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি সম্পর্কে মার্কিন সংস্থাটি ইউএসসিআইআরএফ-এর আদৌ কোনও ধারণা নেই।

মার্কিন মানবাধিকার সংগঠনটি সেদেশের বিদেশমন্ত্রকের কাছে সুপারিশ করে, ভারত, রাশিয়া-সহ পাঁচটি দেশকে ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার রক্ষার সংক্রান্ত বিষয়ে লাল তালিকাভুক্ত করা উচিত। কারণ এই সমস্ত দেশের সরকার ধর্মীয় ক্ষেত্রে যথেষ্ট অসহিষ্ণু। ওই পাঁচ দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা যথেষ্টই বিপন্ন। তাই তাদের লাল তালিকাভুক্ত করা হোক।

মার্কিন মানবাধিকার সংগঠনের এই সুপারিশের কথা জানতে পেরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যেই দেশের বিদেশমন্ত্রক আমেরিকান কমিশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডমের কাছে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিদেশমন্ত্রক পাল্টা বলেছে, মার্কিন মানবাধিকার সংগঠনটির ভারতের সংবিধান ও দেশের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে কোনও ধারণা নেই। ভারতে সব ধর্মের মানুষই অবাধে তাঁদের মতামত প্রকাশ করতে পারেন। ভারতে বহু ধর্মের মানুষের বাস। যেটা বিশ্বে আর কোথাও নেই।

ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের এই বক্তব্যের কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি মার্কিন মানবাধিকার সংগঠন ইউএসসিআইআরএফ। উল্লেখ্য, ২০২০ সালেও ইউএসসিআইআরএফ ধর্মীয় স্বাধীনতার নিরিখে ভারতকে লাল তালিকাভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিল। যদিও সেই প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও (pompeo)। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, এই মুহূর্তে দিল্লির মোদি সরকারের সঙ্গে জো বাইডেন (joe biden) সরকারের সম্পর্কের রসায়ন এতটাই ঘনিষ্ঠ যে কোনওভাবেই মানবাধিকার সংগঠনের ওই প্রস্তাব মানা হবে না। পাশাপাশি ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এখনও এতটা অসংবেদনশীল হয়নি যে ভারতকে লাল তালিকাভুক্ত করতে হবে।

]]>
Special Story: ৪৭-এর আগেই স্বাধীন হয়েছিল ‘বাগী বালিয়া’ https://ekolkata24.com/offbeat-news/this-village-gets-freedom-in-1942 Thu, 28 Oct 2021 13:42:07 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9503 Special Correspondent, Kolkata: ১৯৪২ সালে মহাত্মা গান্ধী বোম্বাই অধিবেশন থেকে ডাক দিলেন “করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে”! দেশব্যাপী শুরু হলো অসহযোগ আন্দোলন। আন্দোলন সব জায়গায় একেবারে নিরামিষ ছিল না।

উত্তরপ্রদেশে বালিয়া, গঙ্গার ধারে সম্বৃদ্ধ এই জনপদটির লোকজন প্রথম থেকেই একটু স্বাধীনচেতা। ইংরেজ আমল থেকে আজও ‘বাগী বালিয়া’ কথাটার চল আছে। বাগী মানে এখানে বিদ্রোহী। ৪২ এর আন্দোলন শুরু হতেই এখানকার বহু থানা এবং মহকুমাতে বাসিন্দারা সরকারি খাজনা দেয়া বন্ধ করে দেয়। বাধ্য হয়ে প্রশাসন স্থানীয় কংগ্রেস নেতাদের গ্রেপ্তার করা শুরু করে। এদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা ছিলেন চিত্তু পানডে নামে বালিয়ার এক ব্রাহ্মণ।

১৯ আগষ্ট ১৯৪২, বালিয়া জেলের বাইরে জড়ো হলো প্রায় হাজার পঞ্চাশেক মানুষ। তাদের হাতে দা কুড়ুল থেকে লাঙলের হাল। দাবী একটাই চিত্তু সহ সব নেতাদের মুক্তি চাই। আন্দোলনকারীদের জঙ্গী মেজাজ দেখে জেলাশাসক তাঁদের মুক্তি দিতে বাধ্য হন। সেই রাতেই বালিয়ার মানুষ স্বাধীন বালিয়া প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। ইউনিয়ন জ্যাক নামিয়ে বালিয়ার বেশ কিছু এলাকার সরকারি দপ্তরে ওড়ে তিরঙ্গা পতাকা। সরকারের প্রধান রূপে ঘোষিত হয় চিত্তু পানডের নাম। চিত্রটি বদলে যায় ২২শে আগষ্ট রাত থেকেই। পাঁচ কোম্পানি বালুচ সেনা নিয়ে শহরে প্রবেশ করেন বারাণসীর কমিশনার নেদার সোল। সঙ্গী ছিলেন এলাহাবাদ ছাউনির সেনাধ্যক্ষ মার্শ স্মিথ।

ভোর থেকেই শুরু হয় সেনা অভিযান। আধুনিক অস্ত্রের সামনে পেছু হঠে আন্দোলনকারীরা। সাতদিনের সেনা অভিযানে শহীদ হয় ৮৪ জন। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই আবার সেখানে কায়েম হয় বৃটিশ রাজ। অর্থাৎ এই স্বাধীন সরকারের আয়ু ছিলো মোটামুটি দশদিন। যদিও পোস্ট দেখে ধারনা হয় ‘৪২ এর আগষ্ট থেকেই বালিয়া স্বাধীন! আশ্চর্যের কথা ঘরের কাছে পরাধীন আমলের সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সরকার নিয়ে নীরব হোয়া ইউনিভার্সিটির স্নাতক বৃন্দ!

১৯৪২ সালে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় সবচেয়ে বেশি দিন স্থায়ী ও সফল হয়েছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। তাম্রলিপ্ত সরকার বাদে বাকি সরকারগুলি বিশেষ সাফল্য পায়নি। ইংরেজরা বহু চেষ্টা করেও তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারকে উচ্ছেদ করতে পারছিল না। এই সরকারের একজন সর্বাধিনায়ক ছিলেন। প্রতিটি বিভাগের দায়িত্বে একজন সচিব। সেগুলি হল, আইনশৃঙ্খলা, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিচার, কৃষি, প্রতিরক্ষা ও অর্থ। মেদিনীপুরের বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা সতীশ সামন্ত তাম্রলিপ্ত সরকারের সর্বাধিনায়ক হন। অর্থ সচিব নিয়োগ করা হয় পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অজয় মুখোপাধ্যায়কে। প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র সচিবর দায়িত্বে ছিলেন সুশীল ধাড়া।

আইনশঙ্খলার বিষয়ে যথেষ্ট কড়া ছিল তাম্রলিপ্ত সরকার। ইংরেজরা একে ফেলে দেওয়ার জন্য নানা দুষ্কৃতীকে প্ররোচনা দিত। কিন্তু কঠোর আইনশৃঙ্খলার জেরে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের প্রশাসন এই দুষ্কৃতীদের ধরে কঠোর সাজা দিত।

শিক্ষার দিকেও তাম্রলিপ্ত সরকার বিশেষ জোর দিত। জাতীয় বিদ্যালয়গুলিকে অনুদান দিত। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও ছাত্রদের অভাব অভিযোগ শুনে তা সমাধানের ব্যবস্থা করা হত।

তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকারের স্থায়ীত্ব ছিল ১৯৪২ সালের ১৭ই ডিসেম্বর থেকে ১৯৪৪ সালের ৩০শ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ১৯৪৩ সালের জুন মাসে ব্রিটিশদের হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত সতীশ সামন্ত এই সরকার পরিচালনা করেছিলেন। ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত সফলভাবে কাজ করেছিল তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার। ঘূর্ণিঝড়-বিধ্বস্ত এলাকায় ত্রাণকার্যও চালায় এই জাতীয় সরকার। এসবই আজ হারিয়ে গেছে বিস্মৃতির অন্তরালে। সেই সাথে হারিয়ে গেছে স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালির এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় ‌

]]>