Indira gandhi – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com Stay updated with Ekolkata24 for the latest Hindi news, headlines, and Khabar from Kolkata, West Bengal, India, and the world. Trusted source for comprehensive updates Fri, 22 Dec 2023 13:05:30 +0000 en-US hourly 1 https://ekolkata24.com/wp-content/uploads/2024/03/cropped-ekolkata24-32x32.png Indira gandhi – Ekolkata24: Latest Hindi News Updates from Kolkata – Breaking Stories and More https://ekolkata24.com 32 32 अकेले क्रेडिट नहीं लेती थीं इंदिरा: वरुण https://ekolkata24.com/uncategorized/indira-did-not-take-credit-alone-varun Fri, 22 Dec 2023 13:05:30 +0000 https://ekolkata24.com/?p=46966 भारतीय जनता पार्टी के सांसद वरुण गांधी ने शुक्रवार को पाकिस्तान के साथ 1971 के युद्ध में जीत पर अपनी दादी और पूर्व प्रधान मंत्री इंदिरा गांधी की प्रशंसा की। 1971 के युद्ध में जीत के बाद इंदिरा गांधी द्वारा तत्कालीन भारतीय सेना प्रमुख जनरल सैम मानेकशॉ को लिखे गए एक पत्र को साझा करते हुए वरुण गांधी ने सोशल मीडिया एक्स पर अपनी दादी की सराहना करते हुए कहा कि एक सच्चा नेता जीत के लिए पूरी टीम को श्रेय देता है और एकमात्र श्रेय नहीं लेता।
इंदिरा गांधी ने भारत के पहले फील्ड मार्शल से कहा कि मैं विशेष रूप से आपके सहयोग, आपकी स्पष्ट सलाह और इस संकट के दौरान आपके निरंतर उत्साहवर्धन को महत्व देती हूं।

वरुण गांधी ने लिखा कि एक सच्चा नेता जानता है कि पूरी टीम ही जीतती है और वह जानता है कि कब बड़ा दिल रखना है और अकेले श्रेय नहीं लेना है। उन्होंने कहा कि इस दिन पूरा भारत इन दोनों महान भारतीय खजानों को सलाम करता है। 22 दिसंबर 1971 को लिखे पत्र में तत्कालीन प्रधानमंत्री ने युद्ध में जीत के लिए सशस्त्र बलों और जनरल मानेकशॉ की सराहना की थी। इंदिरा गांधी ने पत्र में लिखा कि पिछले दिनों ने हमारी क्षेत्रीय अखंडता की रक्षा और राष्ट्रीय मूल्यों को बनाए रखने में हमारे सशस्त्र बलों की शानदार उपलब्धि के लिए लोगों की प्रशंसा और प्रशंसा का प्रमाण दिया है।

]]>
‘নিয়াজি-র আত্মসমর্পণ’ সেই মন্দ্র কণ্ঠ ‘দিস ইজ অল ইন্ডিয়া রেডিও, নিউজ রেড বাই সুরজিৎ সেন…’ https://ekolkata24.com/uncategorized/50-years-ago-16-december-memory-this-is-all-india-radio-news-read-by-surajit-sen Thu, 16 Dec 2021 08:11:05 +0000 https://ekolkata24.com/?p=15088 sourav-senসৌরভ সেন: ১৯৭১। আমার কিশোরবেলা। তখন এ-বাংলায় রাজনৈতিক কারণে হানাহানি ও অস্থিরতা আমাদের দ্রুত ‘বড়’ করে তুলছে। কাগজে রাজনৈতিক খবর পড়ায় বেশ আগ্রহ। আগের বছর, মানে ১৯৭০-এ স্কুলে হাফ-ইয়ারলি, অ্যানুয়েল কোনও পরীক্ষাই হতে পারেনি। সরাসরি পরের ক্লাসে। ‘মন্থর বিকেলে শিমুল তুলোর ওড়াউড়ি’র মতন সোডার বোতল ছোড়াছুড়িও সহজ, ছন্দোময় হয়ে উঠেছে। চোখের সামনে পেটো পড়া-ও তখন দৃষ্টি বা শ্রুতিতে গ্রাহ্য। এধার-ওধার থেকে খুনের খবর আসে। পাড়ায়-পাড়ায় সিআরপি-র রুট মার্চ কিংবা কুম্বিং অপারেশনে বাড়িতে ঢুকে মাঝরাতে পুলিশের খানাতল্লাশি তখন নগরজীবনের অঙ্গ।

এহেন সময়ে স্বাধীন বাংলা-র হিল্লোল! পাক-বাহিনীর বর্বরতার ছবি কাগজে-কাগজে, হত্যালীলার বিবরণ। গুলিতে হত্যা, বেয়োনেটে খুঁচিয়ে হত্যা— কত যে প্রকার! ইয়াহিয়া খান একটা আস্ত জল্লাদ, এমন একটা ছবি মনে আঁকা হয়ে গেছে। অনেক পরে শিল্পী কামরুল হাসান-চিত্রিত জল্লাদের (জানোয়ার) ছবিটি দেখে অবাক হই। মনে-আঁকা ছবির সঙ্গে প্রায় মিলে যাচ্ছে! লক্ষ-লক্ষ শরণার্থীর স্রোত। প্লাস্টিক ছাউনিতে, কংক্রিটের পাইপে তাদের আস্তানা। ধু-ধু সল্ট লেক তখন সবে গড়ে উঠতে শুরু করেছে। সেখানেও ৭২ ইঞ্চি পাইপের মধ্যে বসতি। ইতিমধ্যে লোকসভা ভোটে জিতে ইন্দিরা গান্ধী নিজের প্রধানমন্ত্রিত্ব আরও পোক্ত করে নিয়েছেন। দেশে-দেশে তাঁর দৌত্য, ছুটোছুটি কাগজে পড়ছি। নিক্সন, কিসিঞ্জার— এসব নাম শুনলে গা রি-রি করে। অন্য দিকে মনে পড়ছে— সেনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি সীমান্তের শরণার্থী শিবিরে ঘুরলেন। কাগজে প্রথম পাতায় বিবরণ। শরণার্থীদের ত্রাণের জন্য বিপুল খরচের বোঝা ভারত সরকারের কাঁধে। খবরের কাগজ, সিনেমার টিকিট— এসবের ওপর অতিরিক্ত মাশুল চাপল। চিঠিপত্রে ডাকমাশুল বাড়ল ৫ পয়সা। একটি অতিরিক্ত স্ট্যাম্প সাঁটতে হত। প্রথম-প্রথম ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের ডাকটিকিটে ‘রিফিউজি রিলিফ’ ছাপ মারা হত, পরে নতুন টিকিট ছাপা হল।

bangladesh liberation war

মুক্তিযুদ্ধের পাশাপাশি চলেছিল আরেক যুদ্ধ, চিকিৎসাবিজ্ঞানের— যাকে অনেক পরে গোটা বিশ্ব স্বীকৃতি দিয়েছে। ‘ওআরএস’ বা ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন। তখন সীমান্ত-অঞ্চলে শরণার্থী শিবিরগুলোয় কলেরা ছড়িয়ে পড়েছিল ব্যাপক ভাবে। এপারের ডা. দিলীপ মহলানবিশ, ওপারের ডা. রফিকুল ইসলাম ওআরএস-এর সফল প্রয়োগ শুরু করলেন। এছাড়াও, নলজাতকের স্রষ্টারূপে চিরস্মরণীয় ডা. সুভাষ মুখোপাধ্যায় শরণার্থীদের অপুষ্টি-রোধে বানিয়েছেলেন ‘ফিশ প্রোটিন কনসেনট্রেট’।

মুক্তিযুদ্ধের খবর আসছে। ছবিও ছাপা হচ্ছে। ‘রাজাকার’, ‘আল বদর’ নামগুলো জানতে শুরু করেছি। এপারের অনেক সাংবাদিক ওপারে গিয়ে জীবন্ত বিবরণ আনছেন। কুষ্টিয়ার মেহেরপুরে অন্তর্বর্তী স্বাধীন বাংলাদেশ সরকার গঠিত হয়ে গেছে, মুজিবনগরে। টিভি তো তখন আসেনি। আকাশবাণী কিন্তু এক অসামান্য ভূমিকা পালন করেছিল! নিয়াজি-র আত্মসমর্পণের ছবিতে প্রথম সারিতে দিল্লির সংবাদপাঠক সুরজিৎ সেন! কানে শুনতে পাচ্ছি সেই মন্দ্র কণ্ঠ— “দিস ইজ অল ইন্ডিয়া রেডিও, নিউজ রেড বাই সুরজিৎ সেন…”। কলকাতা কেন্দ্রের প্রণবেশ সেন, উপেন তরফদার, দেবদুলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা স্মরণে থেকে গেছে। ‘সংবাদ-বিচিত্রা’য় গ্রাউন্ড লেভেলের সরাসরি রিপোর্ট। রেডিও-য় শুনে-শুনে প্রায় মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল শেখ মুজিবের সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতা— “এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম…”। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’। কলকাতারই এক ঘাঁটি থেকে চলত সম্প্রচার। বেলা সাড়ে বারোটা নাগাদ অধিবেশন শুরু হত, যদ্দূর মনে পড়ছে। ও-বাংলার সময়ানুযায়ী বেলা একটা নিশ্চয়ই। শুরুতেই বাজানো হত গান : “জয় বাংলা, বাংলার জয়…”।

তারপর তো ডিসেম্বরের তিন তারিখে পাকিস্তানের বোমাবর্ষণ, ভারতের যুদ্ধঘোষণা। পুব ও পশ্চিম রণাঙ্গন। মার্কিন সপ্তম নৌবহর আসছে! কী হয়, কী হয়! রসিকজনের রটনা কিনা জানা নেই, তবে ছড়িয়ে গেল— আমাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবনবাবু নাকি অক্লেশে বলেছেন : আমাদেরও আই এনএস বিক্রান্ত্ আছে! বিক্রান্ত্ ছিল তখন ভারতের একমাত্র এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার। তবে সপ্তম নৌবহরের কাছে নস্যি! যা হোক, বিক্রান্ত্ কিন্তু খুলনা থেকে চট্টগ্রাম অবধি নাগাড়ে পাহারা দিয়ে গেছে। সেই বিক্রান্ত্-কে বছর-আষ্টেক আগে লোহার দরে বেচে দেওয়া হল। দু’ ফোঁটা চোখের জল কেউ ফেলেছিল কি?

যুদ্ধ চলছে। ফেনি, আখাউড়া, ঝিনাইদহ, হিলি, বয়রা, ঝিকরগাছা ইত্যাদি নামগুলো ম্যাপের সঙ্গে মিলিয়ে দেখে নিচ্ছি। পালাতে গিয়ে পাক-সেনারা সেতু, রেলপথ, ভবন সব নষ্ট করে দিচ্ছে। পদ্মার ওপরে সুবিখ্যাত সারা (হার্ডিঞ্জ) ব্রিজের একটা গার্ডার ধ্বংস করা হল। বয়োজ্যেষ্ঠরা হায়-হায় করে উঠলেন। কলকাতায় ব্ল্যাক-আউট চলছে। সন্ধের পর বাইরে কুপকুপে অন্ধকার। ঘরের মধ্যে আলো না-ঠিকরানো বিশেষ ল্যাম্পশেড। একচিলতে আলোও বাইরে গেলে পুলিশে সতর্ক করে যায়। আকাশে প্লেনের আওয়াজে হামলার আশঙ্কা। টালা ট্যাঙ্ক, হাওড়া ও বালী ব্রিজ নাকি ‘দুশমনে’র পয়লা নিশানা!

অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর। বিজয়। যুদ্ধ শেষ। জন্ম নিল স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশ। সারা দেশে উচ্ছ্বাস। এ-বাংলায় অন্য এক উন্মাদনা। দেয়ালে-দেয়ালে লিখন। দু’ দেশের জাতীয় পতাকার ছবি। তবে তখন কিন্তু বাংলাদেশের পতাকা আঁকা ছিল বেশ ঝঞ্ঝাটের! কারণ মধ্যিখানে ছিল সে-দেশের মানচিত্র। সেটি নিখুঁত আঁকা বেশ কষ্টসাধ্য। প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর নামের আগে জুড়ে গেল বিশেষণ ‘এশিয়ার মুক্তিসূর্য’, যা এ-বাংলার অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে পরবর্তী কয়েক বছর ব্যবহৃত হয়েছে।

’৪৭-এ ধর্মের ভিত্তিতে রাষ্ট্র তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ভাষার জোর এতটাই যে ধর্মকে পরাভূত করে সেই রাষ্ট্রের জঠর থেকে নতুন এক রাষ্ট্র জন্ম নিল দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। পৃথিবীর ইতিহাসে এ এক অনন্য নজির।

মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয় এ-বাংলার শিল্পসাহিত্যেও দাগ রেখে গেছে। গান, কবিতা ও অন্যান্য সৃষ্টিতে মাতোয়ারা হয়েছিল মানুষ। আজ ইচ্ছে করলে সেসবের আস্বাদ নেওয়া যায়। বৈদ্যুতিন তথ্যভাণ্ডার এখন অতি সমৃদ্ধ। শুধু একটি গানের হদিশ পেতে ব্যর্থ হয়েছি। সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের কবিতা ‘পারাপার’ :
আমরা যেন বাংলা দেশের/ চোখের দুটি তারা।/ মাঝখানে নাক উঁচিয়ে আছে—/ থাকুক গে পাহারা।/ দুয়োরে খিল/ টান দিয়ে তাই/ খুলে দিলাম জানলা।/ ওপারে যে বাংলাদেশ/ এপারেও সেই বাংলা।।

<

p style=”text-align: justify;”>পঞ্চাশ বছর আগে এটি গান হিসেবে গাওয়া হত। সুরারোপ কার জানা নেই। আমি নিজে অনুপ ঘোষাল-কে অনুষ্ঠানে গাইতে শুনেছিলাম। ছোট্ট গান, জমজমাট সুর, এখনও দিব্যি মনে আছে। তবে কোনও মাধ্যমেই আর শুনি না, খোঁজ পাই না। পুনরুদ্ধার করা যায় কি?

]]>
General A S Vaidya: গুলি খেয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান, ‘অপরাশেন ব্লুস্টার’ নায়ক https://ekolkata24.com/offbeat-news/assassination-of-general-a-s-vaidya-principal-organiser-of-operation-blue-star Thu, 09 Dec 2021 15:47:44 +0000 https://ekolkata24.com/?p=14262 News Desk: সদম্ভে খালিস্তানি জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করেছিল, অপারেশন ব্লু স্টারের বিরুদ্ধে আরও একটা বদলা নেওয়া হয়েছে। ১৯৮৬ সালের ১০ অগস্ট সকাল এগারোটার কিছু পরে হামলা চালিয়েছিল খালিস্তানিরা। প্রকাশ্যে পরপর গুলি করা হয়। লুটিয়ে পড়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান জেনারেল অরুণকুমার শ্রীধর বৈদ্য (General A S Vaidya)। কয়েকদিন পরেই স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান। তার আগেই পুনে শহরে এভাবে তাঁর খুনের ঘটনায় দেশজুড়ে নেমেছিল আশঙ্কা।

‘অপারেশন ব্লু স্টার’ অভিযানের কারণে ধর্মীয় আবেগতাড়িত শিখ দেহরক্ষীদের গুলিতে জীবন খোয়াতে হয় প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। তৎকালীন সেনপ্রধান অরুণকুমার শ্রীধর বৈদ্য ছিলেন স্বর্ণমন্দির অভিযানের মূল দায়িত্বে। তাঁকেও খুন করে উগ্র শিখ ধর্মীয় খালিস্তানি জঙ্গিরা।

পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) পরিচালিত সশস্ত্র খালিস্তান আন্দোলনের চক্রীরা শিখ ধর্মের প্রধান কেন্দ্র অমৃতসরের স্বর্ণমন্দিরের দখল নিয়েছিল। ১৯৮৪ সালে সেই জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযানের নির্দেশ দেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। অপারেশন ব্লু স্টার অভিযানে খালিস্তানি জঙ্গিদের নিকেশ করা হয়।

General A S Vaidya

খালিস্তানিরা ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার পরে দেশের রাজনীতিই গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন রাজীব গান্ধী। সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন এ এস বৈদ্য। তিনি আশঙ্কা করতেন হামলার। বলেছিলেন হয়ত একটা বুলেটে আমার নাম লেখা আছে!

মেয়াদ অন্তে অবসর নিয়ে পুনে শহরে থাকতে শুরু করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনাপ্রধান। তাঁর গতিবিধি খুব নিখুঁতভাবে খতিয়ে দেখে হামলার নীল নকশা তৈরি করে খালিস্তানি জঙ্গিরা। ঘাতক দলকে নির্দেশ দেওয়া হয় গুলি করার।

<

p style=”text-align: justify;”>পুনে শহরে ভিড়ের রাস্তায় প্রাক্তন সেনা প্রধানের গাড়ির খুব কাছে আসে তিন বাইক আরোহী। পরপর গুলি করা হয়। গুলি লেগে গাড়ির মধ্যেই লুটিয়ে পড়েন প্রাক্তন সেনাপ্রধান এ এস বৈদ্য। তাঁর স্ত্রী ও দেহরক্ষী গুরুতর জখম হন। রক্তাক্ত সেনাপ্রধানকে মিলিটারি কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা বলেন, সব শেষ।

]]>
Bangladesh 50: ভুটান রাজার টেলিগ্রামে বাংলাদেশের ‘প্রথম’ স্বীকৃতি, ভারত সংসদে ‘জয় বাংলা’ https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-50-bhutan-king-historic-telegram-recognition-of-bangladesh Mon, 06 Dec 2021 08:54:26 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13782 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: আচমকা এসেছিল হিমালয়ের রহস্যময় দেশ ভুটানের রাজামশাইয়ের টেলিগ্রাম। এতে ছিল বাংলাদেশের লড়াইয়ের প্রতি ভালোবাসা। বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা। সেই টেলিগ্রামটি ঐতিহাসিক। কারণ ‘ড্রাগনভূমি’ ভুটান দিয়েছিল বাংলাদেশের (Bangladesh) সার্বভৌম স্বীকৃতি। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর তেমনই এক দিন ছিল। রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের মাঝে এই দিনটি কূটনৈতিক মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

বিতর্ক ছিল কোন দেশ প্রথম বাংলাদেশ কে সার্বভৌম স্বাধীন স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত নাকি ভুটান ? এই প্রশ্নের উত্তর মিলেছিল ২০১৪ সালে ভুটানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেরিং টোগবের ঢাকা সফরে। বাংলাদেশ সরকার তখনই জানায়, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের একেবারে অন্তিম পর্যায়ে ভুটান সরকার সর্বপ্রথম সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অস্তিত্ব স্বীকার করে টেলিগ্রাম বার্তা দেয়।

১৯৭১ সলের মুক্তিযুদ্ধের টানা ৯ মাসের ঘটনাবহুল দিনপঞ্জির মধ্যে ৬ ডিসেম্বর দিনটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনেই প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছিল বাংলাদেশ।

৫০ বছর আগে সল্টলেকের জলা জমিতে বিরাট বিরাট পাইপের ভিতর শরণার্থীদের ভিড়। ভুটানের রাজামশাই জিগমে দোরজি সেসব পরিদর্শন করছিলেন। একটু পরে তিনি কলকাতায় ‘মুজিব নগর সরকার’ (প্রবাসী বাংলাদেশ সরকার ) এর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কাছে তার বার্তা পাঠান। তাঁর টেলিগ্রাম থেকে ‘বাংলাদেশ’ নামটি সরকারিভাবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করল।

কী লিখেছিলেন ভুটান রাজা জিগমে দোরজি ওয়াংচুক? তাঁর পাঠানো সেই টেলিগ্রামটি –
“On behalf of my Government and myself, I would like to convey to Your Excellency and the Government of Bangladesh that we have great pleasure in recognizing Bangladesh as a sovereign independent country. We are confident that the great and heroic struggle of the people of Bangladesh to achieve freedom from foreign domination will be crowned with success in the close future. My people and myself pray for the safety of your great leader Sheikh Mujibur Rahman and we hope that God will deliver him safely from the present peril so that he can lead your country and people in the great task of national reconstruction and progress.
Jigme Dorji Wangchuck
King of Bhutan
6 December 1971 “

Bangladesh liberation war

তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা, ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভারত সরকারের তরফেও বাংলাদেশের স্বার্বভৌমত্ব স্বীকার করে নেওয়া হয়। তবে ভুটানের স্বীকৃতি দানের কিছু পরে ভারতের স্বীকৃতি বার্তা আসে প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের কাছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী সংসদে অধিবেশনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের লড়াই ও ভারতীয় সেনার বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধকে অভিনন্দন জানান। ভারত সংসদ তখন ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত।

ভুটান রাজার বিখ্যাত টেলিগ্রামটি যখন প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের কার্যালয়ে খুশির বাতাস বয়ে এনেছে, তার পরেই বিশ্বজোড়া ঝড়ো ‘ব্রেকিং নিউজ’ -ভারতের স্বীকৃতি দান নিয়ে প্রবল আলোচনা। সে ছিল এক কূটনৈতিক পর্ব। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর ভুটান ও ভারত একই দিনে স্বীকৃতি দেয় বাংলাদেশকে। এর দশ দিনের মাথায় ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় চূড়ান্ত পরাজিত হয় পাকিস্তানি সেনা। প্রায় তিরিশ লক্ষ মানুষের গণকবরের উপর ভিত্তি করে বিশ্ব মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। পাকিস্তান হয় দ্বিখণ্ডিত।

ভুটান সরকারের তরফে ২০১৪ সালে সেই । বিখ্যাত টেলিগ্রামটি বাংলাদেশ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পদ্মা-মেঘনার দেশ সেই প্রথম স্বীকৃতি স্বীকার করে নেয়।

]]>
Bangladesh 50: একা ইন্দিরার ‘সেই থমথমে রাঙা মুখখানি আজও চোখে ভাসছে’ https://ekolkata24.com/uncategorized/bangladesh-50-after-pakistan-attack-indian-pm-indira-gandhi-announced-war Fri, 03 Dec 2021 12:26:13 +0000 https://ekolkata24.com/?p=13369 সৌরভ সেন: ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধের ৫০ বছর। আবার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধেরও পাঁচ দশক (Bangladesh 50)। সেইসব দিনরাত্রি এখনও যেন মনে হয় এই তো গতকাল ঘটে গেল!sourav-sen
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ চলছিল। কলকাতা তখন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা শরণার্থীদের ভিড়ে ছয়লাপ। রাজনৈতিক ঘনঘটা প্রবল। পূর্ব পাকিস্তান রক্তাক্ত। আর পশ্চিমবঙ্গে চলছিল তীব্র রাজনৈতিক ঘাত প্রতিঘাত। কংগ্রেস ও বামপন্থীদের রাজনৈতিক লড়াই।অতিবামপন্থীদের সশস্ত্র রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।

আসি ৩ ডিসেম্বরের কথায়। পাকিস্তান বিমান বাহিনী হামলা শুরু করেছিল পাঞ্জাব, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশে। পরপর বোমা ফেলল আগ্রা, আম্বালা, যোধপুরে। আর পূর্বদিকে আগরতলায় বোমা পড়ল।

ইন্দিরা গান্ধী তখন কলকাতায়। খবর পেয়েই দ্রুত ফিরলেন রাজধানী। তখন ই এম বাইপাস চিন্তার বাইরে। ভিআইপি-দের যাতায়াতের রুট বলতে ভিআইপি রোড- কাঁকুড়গাছি – মানিকতলা – বিবেকানন্দ রোড- গিরিশ পার্ক -সেন্ট্রাল (চিত্তরঞ্জন) অ্যাভিনিউ- এসপ্ল্যানেড-রাজভবন।

সন্ধের দিকে আচমকা রটে গেল—কর্মসূচি বাতিল করে ইন্দিরা ফিরে যাচ্ছেন। গলির মোড়ে- বিবেকানন্দ রোডে আমি, দিদি, পাড়ার বন্ধুবান্ধব, সঙ্গে বড়রাও দাঁড়িয়ে গেলাম। একটি বড় জিপ, পিছনটা খোলা, সেখানে চেয়ারে বসে থমথমে মুখে একটা কাগজ পড়ছেন তিনি। মুখে আপতিত আলো। যাত্রা-অভিমুখের উল্টো দিক করে বসে। একদম একা। গভীর অভিনিবেশে কাগজ পড়তে-পড়তে চলে গেলেন। অভ্যাসমতো কোনও হাত নাড়া ইত্যাদি নয়। তাঁর সেই থমথমে রাঙা মুখখানি আজও চোখে ভাসছে।

তখন ওই কম বয়সে বুঝিনি, পরে সম্যক বুঝেছি যে ওই মুখ ছিল নিজের চিন্তা, নিজের বোধ-কে মথিত করে এক কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুখ, ওই মুখে ছিল বিশ্ব-রাজনীতিতে এক চিরস্মরণীয় পদক্ষেপের প্রস্তুতি।

পঞ্চাশটা বছর পেরিয়ে এলাম!

(১৯৭১ সালের ৩ ডিসেম্বর পাকিস্তান হামলার পরে ভারত শুরু করেছিল প্রত্যাঘাত। কলকাতা থেকে দিল্লি ফিরে যুদ্ধ ঘোষণা করেন ইন্দিরা গান্ধী। সে এক ঐতিহাসিক মহূর্ত। )

]]>
Kangana Ranaut: খলিস্তানি জঙ্গিদের মশার মতো পিষে মেরেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী https://ekolkata24.com/uncategorized/kangana-ranaut-indira-crushed-the-khalistani-militants-like-a-mosquito Sun, 21 Nov 2021 08:08:06 +0000 https://ekolkata24.com/?p=11931 News Desk: কঙ্গনা রানাউত এবং বিতর্ক যেন একই মুদ্রার এপিঠ আর ওপিঠ। কঙ্গনা মুখ খোলা মানেই নতুন বিতর্ক তৈরি হওয়া। আর সেই বিতর্কের জেরেই এবার কঙ্গনার (Kangana Ranaut) বিরুদ্ধে দায়ের হল আরও একটি মামলা।

কঙ্গনা ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল ফের একটি বিতর্কিত মন্তব্য পোস্ট করেছেন। ওই পোস্টে তিনি শিখ সম্প্রদায়কে খলিস্তানি (khalsthani) হিসেবে উল্লেখ করেছেন। কঙ্গনা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় ইন্দিরা গান্ধী খলিস্তানি জঙ্গিদের মশার মতো পিষে মেরেছেন। বিতর্কিত এই মন্তব্যের জন্যই কঙ্গনার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে দায়ের হয়েছে অভিযোগ।

শিরোমনি অকালি দলের নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা কঙ্গনার বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অন্যদিকে দিল্লি শিখ গুরুদ্বার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইচ্ছাকৃতভাবে এবং সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা করেই অভিনেত্রী এই মন্তব্য করেছেন। নিজের ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনা লিখেছেন, বর্তমানে খলিস্তানিরা সরকারকে অত্যন্ত বিব্রত করে চলেছে। কিন্তু আমাদের একজন মহিলার কথা ভুলে গেলে চলবে না।

Kangana Ranaut

দেশের একমাত্র মহিলা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী এই খলিস্তানি জঙ্গিদের নিজের জুতোর তলায় পিষে মেরে ছিলেন। মশাকে পায়ের তলায় পিষে মারার মতোই ইন্দিরা খলিস্তানি জঙ্গিদের পিষে দিয়েছিলেন। যদিও এর পরিবর্তে তাঁকে প্রাণ দিতে হয়েছে সেটা ঠিক। কিন্তু তিনি দেশকে ভাগ হয়ে যেতে দেননি। আজও খলিস্তানি জঙ্গিরা ইন্দিরা গান্ধীর নাম শুনলেই ভয়ে কেঁপে ওঠে।

ইন্দিরা গান্ধীর একটি ছবি দিয়ে কঙ্গনা আরও লেখেন, খালিস্তানিদের উত্থান এবং তার বিরুদ্ধে ইন্দিরা যে পদক্ষেপ করেছিলেন সেই ঘটনা খুব দ্রুত সকলের সামনে আসবে। সম্প্রতি এদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের উপর তৈরি ‘এমার্জেন্সি’ নামে একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন কঙ্গনা। ওই ছবিতে ১৯৮৪ সালের অপারেশন ব্লু স্টারের ঘটনাও রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

Kangana Ranaut

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিতই কঙ্গনা বিভিন্ন মন্তব্য পোস্ট করে থাকেন। যেগুলি বেশিরভাগই তীব্র বিতর্ক ছড়ায়। কয়েকদিন আগেই এই অভিনেত্রী বলেছিলেন, কংগ্রেস কখনও নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (shuvas chandra) ও ভগৎ সিংকে (bhagat sing) যথাযথ সম্মান দেয়নি। অন্যদিকে গান্ধীকে সম্মান দেওয়া হলেও তাঁর ও আদর্শে কখনও কোনও দেশ স্বাধীন হতে পারে না। ১৯৪৭ সালে দেশ স্বাধীনতার (independence) নামে ভিক্ষা পেয়েছিল। দেশ প্রকৃত স্বাধীন হয়েছে ২০১৪ সালে।

]]>
মৃত্যুর আঁচ টের পেয়ে তাঁকে চোখের জল ফেলতে বারণ করেছিলেন ঠাকুরমা, বললেন রাহুল https://ekolkata24.com/uncategorized/grandma-told-me-not-to-cry-if-something-happened-to-her-rahul-gandhi Sun, 31 Oct 2021 15:43:29 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=9859 News Desk, New Delhi: রবিবার ছিল দেশের প্রথম ও শেষ মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ৩৭ তম প্রয়াণ দিবস। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ দেশের একাধিক নেতা নেত্রী প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শ্রদ্ধা জানিয়েছেন গান্ধী পরিবারের তিন সদস্য। প্রয়াত প্রধানমন্ত্রীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি রাহুল এদিন এক অজানা গল্প শুনিয়েছেন। রবিবার ইউটিউবে তিনি একটি ভিডিয়ো আপলোড করেছেন।

ওই ভিডিয়োর শিরোনাম হল ‘উইথ লাভ, ইন মেমোরি অফ মাই বিলাভড মাদার, ইন্দিরাজি’। সেখানেই রাহুল বলেছেন, মৃত্যুর কিছুদিন আগেই ঠাকুরমা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন তাঁর দিন ফুরিয়ে এসেছে। তাই ওই হৃদয় বিদারক ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগেই রাহুলকে বলেছিলেন, আমার কিছু হলে চোখের জল ফেলো না।

ওই ভিডিয়োয় রাহুল বলেছেন, “১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর আমি তখন নিতান্তই ছোট। সেদিন সকালে ঠাকুরমা আমাকে হঠাৎই তাঁর কাছে ডাকেন। তারপর আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলেন, আমার কিছু হলে ভাই তুমি একদম কাঁদবে না। আমি তখন এতটাই ছোট যে ঠাকুমার ওই কথার মানে বুঝতে পারিনি। কিন্তু এর কয়েক ঘণ্টা পরেই আততায়ীর গুলিতে আমরা চিরকালের জন্য আমাদের ঠাকুমাকে হারাই।”

রাহুলের দাবি, তাঁর ঠাকুরমা বুঝতে পেরেছিলেন যে তাঁর মৃত্যু ঘনিয়ে এসেছে। এমনকী, ঠাকুরমা এটাও বুঝতে পেরেছিলেন যে, তাঁর মৃত্যু স্বাভাবিকভাবে হবে না। তবে তাঁর ঠাকুমার কেন এটা মনে হয়েছিল সেটা তিনি আজও বুঝতে পারেননি।

কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি আরও বলেন, ঠাকুরমা তাঁদের খাওয়ার টেবিলে মাঝেমধ্যেই বলতেন, জীবনের সবথেকে কষ্ট বোধহয় রোগাক্রান্ত হয়ে বিছানায় শুয়ে থাকা। পরমুখাপেক্ষী হয়ে বেঁচে থাকা যে কী জ্বালা সেটা ভুক্তভোগী মানুষ মাত্রই জানেন। কিন্তু আমার ঠাকুমার জীবনে মৃত্যু যে এভাবে নেমে আসবে সেটা আমরা কখনও বুঝিনি। ঠাকুমার এই মৃত্যু মেনে নিতে আমাদের আজও কষ্ট হয়। তবে ঠাকুমার জন্য তিনি গর্বিত। কারণ যতদিন বেঁচেছিলেন ততদিনই প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী হিসেবে তিনি দেশসেবা করে গিয়েছেন। দেশের মহিলা শক্তির প্রকৃত উদাহরণ হলেন ইন্দিরা গান্ধী। তিনি আমার ঠাকুরমা। এধরনের একজন মানুষের নাতি হিসেবে আমি গর্বিত।

]]>
Politics: নেহরু থেকে কানহাইয়া, কংগ্রেসের ‘বাম’ নেতারা বরাবর সুপারহিট https://ekolkata24.com/offbeat-news/communist-leader-kanhiya-kumar-joins-national-congress Tue, 28 Sep 2021 13:59:38 +0000 https://www.ekolkata24.com/?p=5876 প্রসেনজিৎ চৌধুরী: সুভাষবাবু কংগ্রেস ত্যাগ করে যেদিন ফরওয়ার্ড ব্লক গঠন করলেন সেদিনই ইতিহাসের কিছু নির্দেশ লেখা হয়ে ছিল। কংগ্রেসের প্রথম বড় ধাক্কা কিন্তু সুভাষচন্দ্র বসুর দলত্যাগ। ভারতীয় রাজনীতির দলত্যাগের এই নজির এখনও সমান জ্বলজ্বলে।  সুভাষবাবু বামপন্থী ছিলেন, তাঁর দলের পতাকা, নীতি আদর্শের দিকটি স্পষ্ট। কংগ্রেস তাহলে কী?

কংগ্রেস তখনও বৃহত্তম রাজনৈতিক মঞ্চ, এখনও। জাতীয় কংগ্রেস বকলমে ইন্দিরা কংগ্রেস বহুধা বিভক্ত হয়েছে, জুড়েছে। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাসের গর্ভগৃহ হিসেবে কংগ্রেসকে অস্বীকার করা যাবেনা। তবে কংগ্রেস ঘোষিত দক্ষিণপন্থী দল। আবার এই দলে বাম মনস্কদের সমাহার কম নয়। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (CPI) ত্যাগ করে জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিলেন কানহাইয়া কুমার। কংগ্রেসের আদর্শে এখন তিনি চলবেন। যে কংগ্রেস জওহরলাল নেহরুর মতো সমাজতান্ত্রিক নেতা ছিলেন, সেই কংগ্রেসে সামিল আধুনিক ভারতের সমাজতান্ত্রিক তথা কমিউনিস্ট নেতা কানহাইয়া কুমার। কানহাইয়ার দলত্যাগ ভারতের অন্যতম কমিউনিস্ট মনোভাবাপন্ন বিপ্লবী নেতা ভগত সিংয়ের জন্মদিনেই। তবে দলীয় পতাকার রং পাল্টে গেল। সিপিআই জাতীয় পরিষদ, বিহার রাজ্য পরিষদের নেতারা জানতেন কানহাইয়া যাচ্ছেন। বস্তুতপক্ষে সিপিআই কেন্দ্রীয় নেতাদের কিছুই করার ছিলনা। কানহাইয়ার মতো প্রবল জনপ্রিয়, তার্কিক নেতার কাছে দলের বাকি নেতারা তুচ্ছ তা স্পষ্ট হয়েছে মোদী জমানাতেই।

কানহাইয়া কুমারের সিপিআই ত্যাগ ইতিহাসের কয়েকটি দিক ফের দেখতে বাধ্য করছে। জাতীয় কংগ্রেসের সমাজতান্ত্রিক ও বাম মনস্ক নেতার অন্যতম নেহরু। বস্তুত নেহরু প্রায় ঘোষিত বাম ঘেঁষা নেতা ছিলেন। আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমাজতান্ত্রিক শিবিরের সঙ্গে নিবিড় সংযোগ। সেই প্রভাবে দেশের শিল্প পরিকাঠামো গড়া, কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে চলা সোভিয়েত ইউনিয়নের সাহায্যে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন।

নেহরু পরবর্তী ইন্দিরা জমানায় কংগ্রেসের মধ্যে সমাজতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত। বাবার পথেই দেশীয় শিল্প, আর্থিক কাঠামোর জাতীয়করণে ইন্দিরা পুরোপুরি সোভিয়েত অনুগামী হন।  নেহরু-ইন্দিরার পরিচিত ও বন্ধুবলয়টি আরও লাল তারকা খচিত। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা এম এন রায়, কমিউনিস্ট মার্কসবাদী নেতা জ্যোতি বসু, এস এ ডাঙ্গে, মোহন কুমারমঙ্গলম, ভূপেশ গুপ্ত, অজয় ঘোষ, পার্বতী কৃষ্ণান-কে নেই। একেবারে লাল তারার ঘেরাটোপে থেকেও নিজের মতো ছিলেন পিতা-পুত্রী।

১৯৬২ সালে ভারত-চিন সংঘর্ষের পর সিপিআই ভেঙে ১৯৬৪ সালে সিপিআইএম তৈরি হয়। নেহরু পরবর্তী জমানায় ক্ষমতা ধরে রাখতে সিপিআইএমের(CPIM) সঙ্গে ভোটের লড়াইয়ে সরাসরি সংঘর্ষে গেলেও সিপিআইয়ের(CPI) সঙ্গে কংগ্রেসের সংযোগ ছিল নিবিড়। সে কারণেই ১৯৭৫ সালে ইন্দিরা গান্ধীর সরকারের জরুরি অবস্থা ঘোষণাকে সমর্থন করে সিপিআই। পরে অবস্থান বদলেছে এই দলটি। জরুরি অবস্থার বিরোধী নেতা জয়প্রকাশ নারায়ণ কংগ্রেসের মধ্যে চরম সমাজতান্ত্রিক নেতা ছিলেন। পরে তিনিই দেশের প্রথম অ-কংগ্রেসি সরকার গঠনের রূপকার হন।

জরুরি অবস্থার সময় দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের তুখোড় ছাত্র বর্তমান সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। তিনিও কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ। আর মোদী জমানাকে ‘অঘোষিত জরুরি অবস্থা’ বলা জেএনইউ প্রাক্তনী কানহাইয়া কুমার এখন বৃহত্তর মোদী বিরোধী মঞ্চ কংগ্রেসে সামিল। কংগ্রেসের অন্যতম আলোচিত নেতা মনিশংকর আইয়ার তাঁর বাম নীতির জন্য আলোচিত। যতটা আলোচিত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাঁর মার্কসীয় অর্থনীতির জন্য। এরা সবাই কংগ্রেসের ‘বামপক্ষ’।

সেই তালিকায় আরও এক তুখোড় ছাত্র নেতা কানহাইয়া কুমার এলেন। কংগ্রেসের ভাষণ দেওয়া নেতার অভাব মিটল। ক্ষয়িষ্ণু সিপিআই-তে থেকে মোদীর মুখোমুখি হওয়া আর কংগ্রেসে গিয়ে সর্বভারতীয় স্তরে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মধ্যে বিরাট পার্থক্য। যারা ময়দানি রাজনীতি করেন তারা জানেন বড় দলে খেলার সুবিধা। জার্সি বদলে সেই সুবিধা নিলেন কংগ্রেসের কমিউনিস্ট নেতা কানহাইয়া কুমার।

]]>