বায়োস্কোপ ডেস্ক: আরিয়ান খান গ্রেপ্তার হওয়ার পর রবিবার রাতে মুম্বাইয়ে শাহরুখের বাড়িতে দেখা করতে গেলেন সলমন খান। একদিন আগেই মাদকাসক্তির অভিযোগে মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল ক্রুজ থেকে আটক করা হয় শাহরুখ পুত্র আরিয়ানকে।
১২ ঘণ্টারও বেশি সময় জুড়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেপ্তার করা হয় শাহরুখ খানের বড় ছেলেকে। আরিয়ান ছাড়াও এই ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছে আরো বড় বড় কয়েকটি নাম। ৪ঠা অক্টোবর পর্যন্ত আরিয়ান ও অন্যান্যকে জেল হেফাজতে নেয় এনসিবি কর্তপক্ষ।
রবিবার রাতে মান্নতের বাইরে একটি বিলাসবহুল গাড়িতে সলমন খানকে দেখা যায়। সূত্রের খবর, আরিয়ান খানের গ্রেফতারির বিষয়েই শাহরুখের সাথে আলোচনা করতে মান্নতে এসেছিলেন তিনি। রেঞ্জ রোভার গাড়ির সামনের সিটে বসে থাকতে দেখা যায় ভাইজানকে। আপাতত মুম্বাইয়ের এসপ্লানেড কোর্টে মুম্বাই ক্রুজ কাণ্ডের মামলা চলছে বলে জানা যায়।
সোমবার দুপুরে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এনসিবি কর্তপক্ষ আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের মাধ্যমে উদ্ধার করেছে মাদক সরবরাহ সংক্রান্ত খবর। জানা গিয়েছে, আরিয়ান আগেও বহুবার মাদক অর্ডার করেছেন ও নিয়মিত মাদকের সেবন করেন।
বাজেয়াপ্ত ফোনের রেকর্ড ও অন্যান্য সূত্র ধরে এনসিবি কর্তপক্ষ গ্রেপ্তার করেছে এক মাদক সরবরাহকারীকেও। তাকে আজ কোর্টে হাজির করতে পারে এনসিবি অফিসাররা। অন্যান্য অভিযুক্ত নূপুর সতিজা, ইশমিত সিং চাড্ডা, মোহক জয়সওয়াল, গোমিত চোপড়া এবং বিক্রান্ত ছোটকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তাদের মেডিকেল পরীক্ষার পর আজ আদালতে হাজির করা হবে।
অ্যাডভোকেট সতীশ মানেশিন্দে আরিয়ানের হয়ে কোর্টে মামলা করছেন। তিনি জানিয়েছেন, “আরিয়ান খান ক্রুজ পার্টিতে আমন্ত্রিত ছিলেন কিন্তু তার কাছে বোর্ডিং পাস ছিলনা। তার নামে কোনো সিট বা কেবিনেরও বুকিং ছিলনা। তার থেকে কোনো মাদক সামগ্রীও উদ্ধার করা যায়নি।” তিনি এও দাবি করেছেন যে আরিয়ানকে কেবল হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের ওপর ভিত্তি করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।