বায়োস্কোপ ডেস্ক: দিন বদলেছে! তাই কি ঘটনা বা চিত্রনাট্যে দেখানো কনটেন্টের এহেন পতন কিংবা উন্নয়ন? এই প্রশ্নই বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে দানা বাঁধছে বাংলা চলচ্চিত্র তথা ওয়েবপ্রেমি মানুষদের মধ্যে। অনেকেরই মতে বাংলা ওয়েব সিরিজ সাহসিকতার নাম করে এমন কিছু দৃশ্য দেখাচ্ছে যা চিত্রনাট্যে তাগিদে নয় নিছক দর্শক টানার তাগিদেই ব্যবহার করা হচ্ছে। উন্মুক্ত বক্ষ বিভাজন কিংবা শরীরের অন্যান্য কোন অংশে বস্ত্রের কোন চিহ্ন না দেখলেই কী তাহলে সেই ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলার দর্শক?
প্রশ্ন থেকেই যায়, কারণ পশ্চিমবঙ্গের বহু মানুষ ‘সো কল্ড বোল্ড’ কনটেন্ট এর ব্যাখ্যা করেছেন দ্বিচারিতার সঙ্গে। যারা নেটফ্লিক্স বা অ্যামাজনে দুর্ধর্ষ কিছু ইংরেজি কিংবা হিন্দি ওয়েব সিরিজ বা ছবি দেখে প্রশংসায় মুগ্ধ, তারাই হঠাৎ করে সমালোচনায় সোচ্চার হয়েছেন বাংলা ওয়েব সিরিজে ‘এতটা উন্মুক্ত দৃশ্য দেখানো উচিত ছিল না’ বলে।
তাহলে সমস্যাটা কি ‘বাংলা’ ওয়েব সিরিজ চলচিত্র নাকি বাংলা ওয়েব সিরিজ বাঁচানোর চিত্রে দেখানো বর্তমান প্রজন্মের পরিচালকদের গুণগতমানের যথেষ্ট দোষ আছে?
হইচই-এ দেখানো এবং নিঃসন্দেহে তুমুল জনপ্রিয় বেশ কিছু ওয়েব সিরিজ যেখানে আরবান সোসাইটির কাছে যেখানে ‘সাহসী পদক্ষেপ বাংলা চলচ্চিত্র এবার আন্তর্জাতিকমানের যাত্রা শুরু করেছে’, সেখানে দাঁড়িয়ে এই বেশ কিছু মানুষের বক্তব্য বাংলা ওয়েব সিরিজ, সত্যি দেখানোর নামে আদতে যৌনতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
পাড়ার আসা দুর্ধর্ষ লাস্যময়ী বৌদিকে নিয়ে ছেলেছোকরাদের মজা ঠাট্টা আমাদের প্রায়শই চোখে পড়লেও তাহলে তা কি বাস্তবতার অঙ্গ নয়? প্রশ্ন তুলেছিল হইচইয়ের জনপ্রিয় ওয়েব সিরিজ ‘দুপুর ঠাকুরপো’৷ যার প্রথম ভাগে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়৷ আবার প্রায় সমসাময়িক হইচইয়ের আরেক ওয়েব সিরিজ ‘ হোলি ফাক’ মজার ছলে বর্ণনা করেছিল বর্তমান সমাজের তরুণ প্রজন্মের সম্পর্ককে নিয়ে কনফিউশন এর ব্যাখ্যা। এছাড়া,’ ধানবাদ ব্লুজ’।
এছাড়া আড্ডা টাইম-এ ‘ওহ্ ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড ‘, হইচইয়ের ‘চরিত্রহীন’, ‘জাপানি টয়’,’ বন্য প্রেমের গল্প’ তো রয়েছেই৷ যেখানে উষ্ণতার সুড়সুড়ি থাকলেও তা চিত্রনাট্যে তাগিদে।