নিউজ ডেস্ক, মুম্বই: নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি আরিয়ান মামলার শুনানিতে আদালতে জানায়, শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ানের (Aryan Khan) কাছ থেকে মাদক পাওয়া যায়নি এটা ঠিক। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তিনি মাদক নিতেন না। তাই তাঁকে জামিন দিতে হবে। এনসিবির পক্ষে আদালতে এই কথা বলেছেন সলিসিটর জেনারেল অনিল সিং।
বৃহস্পতিবার আরিয়ানের মাদক মামলার শুনানিতে অনিল সিং মডেল রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁর ভাই সৌভিক চক্রবর্তীর মামলার কথা উল্লেখ করেন। সলিসিটর জেনারেল বলেন, এই দুইজনের কাছ থেকে মাদক পাওয়া যায়নি। কিন্তু আদালত রিয়া এবং তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল।
অনিল সিং আরও বলেন, এনসিবির কাছে প্রমাণ রয়েছে যে, গত কয়েক বছর ধরেই আরিয়ন নিয়মিত মাদক নিতেন। আরিয়ানের বন্ধু আরবাজ মার্চেন্টের কাছে যে মাদক পাওয়া গিয়েছে সেটা আরিয়ানের কাছে যাবার কথা ছিল। তদন্তে এটা জানা গিয়েছে যে, আরবাজের হাত ঘুরেই মাদক যেত আরিয়ানের কাছে। মাদকচক্রের সঙ্গে যদি কারও যোগ থাকে তবে তো তাকে শাস্তি পেতেই হবে।
সলিসিটর জেনারেল আরও বলেন, আরিয়ানের কাছে মাদক পাওয়া যায়নি এটা সত্যি। কিন্তু আরবাজের কাছে যে মাদক রয়েছে সেটা আরিয়ান জানতো। আরিয়ানের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট থেকেই এটা জানা গিয়েছে।
এরই মধ্যে আরিয়ানের পাশে এক ব্যক্তির ছবি ভাইরাল হওয়ায় রহস্য আরও বেড়েছে। সেই লোকটিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ওই লোকটিকে খুঁজে পেতে পুণে পুলিশ লুক আউট নোটিস জারি করেছে। পুলিশের দাবি, পলাতক ওই ব্যক্তির নাম কে গোসাবি। বছর তিনেক আগে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা দায়ের হয়েছিল। তিন বছর ধরে সে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
তবে লুক আউট নোটিস জারি হওয়ায় সে আর দেশ ছেড়ে পালাতে পারবে না। আরিয়ানের বিরুদ্ধে মামলায় যে সমস্ত সাক্ষীর নাম রয়েছে তাদের মধ্যে গোসাবির নামও আছে। রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক ইতিমধ্যেই এনসিবির অফিসে গোসাবির উপস্থিতি নিয়ে তীব্র আপত্তি তুলেছেন। জানা গিয়েছে, পলাতক ওই ব্যক্তি নিজেকে প্রাইভেট ডিটেকটিভ বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। বিদেশে চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে।