News Desk: দেশ অর্থাৎ বাংলাদেশে (Bangladesh) নেই। আছেন মার্কিন মুলুকের ডালাস শহরে। বাংলাদেশি অভিনেত্রী ও গায়িকা মিথিলার বিস্ফোরক দাবি, চাঞ্চল্যকর ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার মামলায় এমন সব ব্যক্তির নাম উঠে আসতে পারে যাদের কথা আমি বলতে পারব না। বললে দেশে থাকা মুশকিল হয়ে যাবে। ওরা প্রবল ক্ষমতাধর।
বাংলাদেশি শিল্পী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার স্বামী ভারতীয় তথা পশ্চিমবঙ্গের চিত্র পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। ফলে তিনিও বিতর্কের মুখে পড়ছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে তিনি নীরব।
মিথিলা জানিয়েছেন, ইভ্যালি আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় তিনি এখনও শমন (নোটিশ) পাননি। ইভ্যালির কারণে উল্টো তিনি নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
তিনি বলেছেন, যাদের নাম দেখে ইভ্যালিতে যুক্ত হয়েছিলাম, তাদের নাম বলতে পারব না। তাদের নাম বললে তো বাংলাদেশেই থাকতে পারব না। তারা অসম্ভব ক্ষমতাধর মানুষ। আমি একজন সংস্কৃতিকর্মী। আমার কোনো ক্ষমতা নেই। আমি বেশি কিছু বলতে পারব না। মামলা যেহেতু হয়েছে, এখন আমাকে আমার মতো আইনি লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
বাংলাদেশের সংস্থা ইভ্যালির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে হওয়া মামলায় ঢালিউডের অভিনেতা ও গায়ক তাহসান খান, অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ও শবনম ফারিয়া সহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের গ্রেফতার করা হতে পারে বলে জল্পনা।
মিথিলার নাম মামলায় উঠে আসায় চাঞ্চল্য পশ্চিমবঙ্গে। টলিউডে কানাঘুষো চলছে। পরিচালক সৃজিতের সঙ্গে ২০১৯ সালে দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন মিথিলা।
অভিযোগ, বাংলাদেশের ই কমার্স সংস্থা ইভ্যালির সঙ্গে ঢালিউডের বেশ কয়েকজন কলাকুশলী জড়িত। গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার ধানমণ্ডি থানায় প্রতারণা মামলাটি করেন সাদ স্যাম রহমান নামে ইভ্যালির এক গ্রাহক। অভিযুক্তরা যে কোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন। শুক্রবার এমনই জানান ঢাকা মহানগর পুলিশ(ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান। এই সংবাদে ঢাকা ও কলকাতায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। মূলত সৃজিত পত্লী মিথিলার কারণেই আলোচনা তুঙ্গে টলিউডে।
ইভ্যালির সঙ্গে তিনি নেই নিশ্চিত করেছেন মিথিলা। তিনি জানিয়েছেন, আমি ওই সমস্থায় যোগদানের পর দুই মাসের মধ্যে দেখি প্রতিষ্ঠানটিতে নানা জটিলতা চলছে। আগে তো এত কিছু টের পাইনি। তবে আমি চাই না এই সময়ে ইভ্যালি সংশ্লিষ্ট কোনো খবরে আসতে। আমার আরও অনেক কাজ আছে, সেগুলো নিয়েই এখন ব্যস্ত।