নিউজ ডেস্ক: মাদক পাচার মামলায় বাংলাদেশের জনপ্রিয় নায়িকা পরীমণি (সামসুন্নাহার স্মৃতি) জামিন পেলেন। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জামিন মঞ্জুর করেন।
গত ৪ আগস্ট বাংলাদেশের সমকালীন সর্বাধিক জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণিকে মাদক পাচার মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। ঢাকার অভিজাত বনানী এলাকায় পরীমণির ফ্ল্যাটে নাটকীয় অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পরীমণির ফ্ল্যাটের থেকে ইয়াবা সহ বিভিন্ন মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই মামলায় আদালতের নির্দেশে পরীমণিকে জেলে পাঠানো হয়। তবে পরীমণি মাদক মামলায় জড়ানোর আগে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির
প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিরউদ্দিন মাহমুদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ করেন। তাঁর সেই সাংবাদিক সম্মেলন ঘিরে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র মহলে শোরগোল পড়ে যায়। পরীমণির অভিযোগ ছিল, তাঁকে ঢাকা বোট ক্লাবে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে নাসিরউদ্দিনের উপস্থিতিতে। অভিযোগের পরেই পুলিশ অভিযুক্ত রাজনীতিক নাসিরউদ্দিনকে গ্রেফতার করে। পরে তিনি জামিন পান। জেল থেকে বেরিয়ে পরীমণিকে হুঁশিয়ারি দেন মানহানির মামলার।
পরীমণিকে ঘিরে তৈরি হয় পরপর নাটক। আচমকা তিনি মাদক পাচার মামলায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁর ফ্ল্যাটে বিপুল পরিমাণ মাদক, বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার হয়। তদন্তে উঠে আসে পরীমণি বিকৃত যৌন ব্যবসা করাতেন। এই কাজে ঢালিউডের বেশকয়েকজন উঠতি মডেল ও নায়িকা যুক্ত। তাদেরও চিহ্নিত করা হয়।
এদিকে পরীমণির জেলে যাওয়া, মাদক মামলায় জড়ানোর ধাক্কা এসে লাগে টলিউডে। কারণ, বাংলাদেশের এই অভিনেত্রী পশ্চিমবঙ্গে প্রবল জনপ্রিয়। তদন্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের ইঙ্গিত, কলকাতার চলচ্চিত্র মহলেও পরীমণির মাদক ব্যবসা ছড়িয়েছে। তবে টলিউডের কারা জড়িত সে বিষয়ে নীরব বাংলাদেশ সরকার।
পরীমণির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মাদক পাচার, যৌন ব্যবসা চালানো, ব্ল্যাকমেলিং বিজনেস করার মতো অভিযোগ রয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে বাংলাদেশের বহু প্রভাবশালী এতে জড়িত।