মধুরা আর প্রণয়ের বিয়েতে ধুন্ধুমার কাণ্ড দুই পরিবারের মধ্যে

বায়োস্কোপ ডেস্ক: মধুরা আর প্রনয়ের বিয়ে। ঠিক সেটাকে ঘিরেই বিরাট ধুন্ধুমার কান্ড দুই পরিবারের মধ্যে। কথায় বলে, বিপরীত নাকি একে অন্যকে আকর্ষণ করে। পিস মেনে…

GANGULY WED GUHAS on KLIKK

বায়োস্কোপ ডেস্ক: মধুরা আর প্রনয়ের বিয়ে। ঠিক সেটাকে ঘিরেই বিরাট ধুন্ধুমার কান্ড দুই পরিবারের মধ্যে। কথায় বলে, বিপরীত নাকি একে অন্যকে আকর্ষণ করে। পিস মেনে নেওয়ার প্রসঙ্গে এ কথা উল্লেখযোগ্য। তবে যদি দুই সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর পরিবার যদি দুজন দুজনের দিকে মনন, ভাবনায়, শিল্পে সবেতেই আলাদা হয়েও কাছাকাছি চলে আসে তবে তার পরিণতি কী হতে পারে!

নানা ঘটনা ক্রমে এক পরিবারের সদস্য আরেক পরিবারকে প্রশ্ন করতেই পারে, ‘এই নিয়মের মানে কী’ কিংবা কথায় কথায় উঠতেই পারে,’ আমাদের বাড়িতে আবার এসব হয় না’, এই পরিবারের কাছে যা সেঁকেলে তা হতেই পারে আরেক পরিবারের কাছে বংশমর্যাদা ও ঐতিহ্যের বহনকারী এক প্রথা। আবার অন্য পরিবারের কাছে যা দারুন মডার্ন তাই আরেক পরিবারের কাছে, ঘোর কলিযুগের ফল৷

ঘটনার ঘণ্টাধ্বনি বাজিয়ে এমনই দুই পরিবার একই সূত্রে নিজেদের বাঁধতে চলেছে। তাই ঘটনার মূল এই কান্ড কারখানা জমে উঠবে জমজমাট বিয়েবাড়ির আসর দিয়ে সাজানো ৭ টি পর্বের ওয়েব সিরিজ ‘গাঙ্গুলিস ওয়েড গুহস’-এ,শুধুমাত্র Klikk OTT প্ল্যাটফর্মে।

বালিগঞ্জের গুহ পরিবার শিল্পচর্চার পৃষ্ঠপোষক। সকলেই কিছু না কিছু বিষয়ে পারদর্শী যা শিল্পকলার সঙ্গে যুক্ত। কেউ রবীন্দ্র সঙ্গীত বিশারদ, তো কেউ জানে কত্থক। তারা সান্ধ্য আসর জমায় টলি ক্লাবে, সুরার সমুদ্রে আর চিজের পাহাড়ে।  অন্যদিকে নীলমনি মিত্র লেনের একান্নবর্তী গাঙ্গুলি পরিবার উত্তর কলকাতার বনেদি পরিবার। যারা এখনো পুরনো ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চায়। এই পরিবারের শিল্প কম বরং পড়াশোনা মানে যাকে বলে অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রেই তাদের অবাধ বিচরণ।

কেউ নামকরা উকিল, ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার। তারা এখনও পুরনো আসবাব আর কোচবিহার রাজ পরিবারের সাথে এক সম্পর্ক নিয়ে গর্ব বোধ করেন। কারণে, কারণ তাদের বাড়ির দুই ছেলে-মেয়ে বেশ কিছুদিনের ফুরফুরে কলেজ প্রেমকে ‘বিবাহের রূপ দিতে চেয়েছে। কিন্তু এই বিশাল বৈচিত্র্যময় দুই পরিবারের মধ্যে ঐক্য স্থাপন করল তাদের পরিবারের কনিষ্ঠতম দুই সদস্য। এই দুই কনিষ্ঠতম সদস্যের কলেজের প্রেম পরিণতি পেতে চলেছে বিয়েতে।
যাকে বলে মহা বিবাহ পর্ব। আর এই মহাবিবাহ পর্বে আপনাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, এই দুই পরিবারকে এক করার সিদ্ধান্ত মূলত যার হাতে ছিল অর্থাৎ পরিচালক সমদর্শী দত্ত।

এবার জেনে নেওয়া যাক এই দুই পরিবারের বিশাল সমুদ্রে থাকছে কারা? অমৃতা চট্টোপাধ্যায়,সমদর্শী দত্ত,সুদীপা বসু,সৌম্য সেনগুপ্ত,বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, কৌশিকী গুহ, সৌম্য ব্যানার্জী,ঈপ্সিতা দেবনাথ,শ্রেয়া ভট্টাচার্য্য,রানা বসু ঠাকুর ,অদ্রিজা মজুমদার,উদয় শঙ্কর পাল,রোমি চৌধুরী, জয়তী চক্রবর্তী,দেবরাজ ভট্টাচার্য,সায়ন ভট্টাচার্য,অনিরুদ্ধ গুপ্ত,অরিজিতা মুখোপাধ্যায়,কৌশিক শীল।