খিলাড়ি, খিলাড়ি বটে। বলিউডের প্রথম সারির সুপারস্টারদের মধ্যে তিনি অন্যতম। কখনও রোম্যান্টিক হিরো, কখনও অ্যাকশান আবার কখনো কমেডি সব অবতারেই দর্শকদেরকে মাতিয়ে রেখেছেন তিনি। অক্ষয় তাঁর ৩০ বছরের বলিউড সফরে একশোরও বেশি সিনেমায় কাজ করেছেন। তবে সুপারস্টার হয়ে ওঠার পিছনে ছিল অনেক বড় সংগ্রাম। অক্ষয় সিনেমায় কাজ করার আগে এমন অনেক কাজ করেছেন যা শুনলে আপনারা অবাক হবেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক খিলাড়ি অক্ষয়ের জীবনের অজানা কিছু ইতিহাস।
১) অনেকেই হয়তো জানেন না অক্ষয় কুমারের আসল নাম রাজিব হারিওম ভাটিয়ার। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে আসার আগে তিনি নাম বদলে অক্ষয় কুমার করুন।
২) অক্ষয় তাঁর পোর্ট ফলিও বানানোর জন্য নাম করা ফটোগ্রাফার জায়েত সেতের কাছে যান। তবে তাঁর কাছে পোর্ট ফলিও বানানোর মতো টাকা ছিল না। তাই অক্ষয় সেই ফটোগ্রাফারের সঙ্গে প্রায় দের বছর বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেন এবং তাঁর পর নিজের পোর্ট ফলিও বানান।
৩) সবাই জানেন যে অক্ষয়ের প্রথম সিনেমা সগাদ। তবে এর আগে মহেস ভাটের আজ সিনেমাতে অক্ষয় ১০ সেকেন্ডের একটি চরিত্রে অভিনয় করেন।
৪) ১৯৯৪ সালে অক্ষয়ের ১১ টি সিনেমা রিলিজ করে। যা রেকর্ড তৈরি করে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই ছিল বাস্তব। তবে ওই ১১ টি সিনেমার মধ্যে ৯ টি সিনেমাই ফ্লপ হয়।
৫) অভিনয় কেরিয়ারে একাধিক সিনেমা ফ্লপ হওয়ার কারণে ২০১১ সালে অক্ষয় ঠিক করেন অভিনয় ছেড়ে দিয়ে তিনি কানাডায় চলে যাবেন। যার জন্য অক্ষয় কানাডার নাগরিকত্বও নিয়েছিলেন।
৬) অক্ষয় তাঁর স্কুলের লেখাপড়া শেষ করে, মার্শালআর্ট শেখার জন্য থাইল্যান্ড যান। সেখানে নিজের হাত খরচ চালানোর জন্য তিনি একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন।
৭) একটা সময় অক্ষয় বাংলাদেশের একটি রেস্টুরেন্টে রান্নার কাজও করতেন। থাইল্যান্ডে থাকা কালীন তিনি যে রেস্টুরেন্টে কাজ করতেন সেখান থেকেই অক্ষয় রান্না শেখেন।
৮) অক্ষয়কে তাঁর একজন মার্শালআর্ট স্টুডেন্টের বাবা প্রথম একটি ফার্নিচারের বিজ্ঞাপনে মডেলিং-এর সুযোগ করে দেন। সেই বিজ্ঞাপন থেকে অক্ষয় ৫০০০ টাকা পারিশ্রমিক পান।