News Desk: প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়েগো মারাদোনার কয়েক কোটি টাকার হুব্লুট সংস্থার হাত ঘড়ি উদ্ধার করল অসম (Asasm) পুলিশ। দুবাইতে খোয়া গিয়েছিল প্রয়াত মারাদোনার দুর্মূল্য ঘড়ি। দুবাই পুলিশের সহযোগিতায় অসম পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘড়ি উদ্ধার করে।
২০১১ সালে দুবাইয়ের (dubai) একটি ক্লাবে প্রশিক্ষণ দিতে এসেছিলেন ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনা (maradona)। নির্দিষ্ট সময় পর মারাদনা দুবাই থেকে তাঁর দেশে ফিরে যান। দেশে ফিরে যাওয়ার আগে মারাদোনার ব্যবহার করা বেশ কিছু জিনিস স্মারক হিসেবে রেখে দেয় দুবাইয়ের একটি সংস্থা। মারাদোনার ব্যবহার করা জিনিসগুলি তাদের সংগ্রহশালায় রেখেছিল ওই সংস্থা। সেখান থেকেই একটি দামি ‘হুবলট’ ঘড়ি (watch) খোয়া গিয়েছিল। কিছু দিন ধরেই ওই ঘড়িটির খোঁজ চলছিল। শেষ পর্যন্ত তার খোঁজ পাওয়া গেল অসমের শিবসাগরে (shibsagar in assam)। ঘড়ি চুরির এই ঘটনায় ওয়াজিদ হুসেন নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি দুবাইয়ে নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন। ফুটবলের রাজপুত্র প্রয়াত মারাদোনার ঘড়ি চুরি নিয়ে ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে হইচই শুরু হয়েছে।
গত মাসেই ফুটবলের রাজপুত্রর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। ২০১০ সালে বিশ্বকাপ ফুটবলের ঠিক পরেই অর্থাৎ ২০১১ সালে দুবাইয়ের একটি ক্লাবে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে এসেছিলেন মারাদোনা। সে সময় মারাদোনার ব্যবহার করা বেশ কিছু জিনিস দুবাইয়ের একটি সংস্থার কাছে স্মারক হিসেবে থেকে যায়। সেই সমস্ত জিনিসের মধ্যেই কিছুদিন আগে একটি দামি হুবলট ঘড়ি খোয়া যায়। যার দাম ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় কুড়ি লাখ টাকা। ঘড়ি চুরির তদন্ত করছিল দুবাই পুলিশ। সম্প্রতি দুবাই পুলিশ বিষয়টি জানায় অসম পুলিশকে। দুবাই পুলিশের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই অসমের শিব সাগর থেকে ওয়াজিদ নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় মারাদোনার ঘড়িটি। ধৃত ব্যক্তি দুবাইয়ের একটি সংস্থায় নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করতেন। ওই সংস্থার সংগ্রহেই ছিল মারাদোনার ঘড়িটি। যা পরবর্তী ক্ষেত্রে চুরি হয়ে যায়।
বিষয়টি জানার পর প্রথম থেকেই অসমের শিবসাগরের ওই বাসিন্দার উপর সন্দেহ ছিল দুবাই পুলিশের। কারণ চুরির ঘটনার পর ওই নিরাপত্তারক্ষী দুবাই থেকে হঠাৎই শিবসাগর ফিরে আসেন। কিছুদিন আগে দুবাই পুলিশ বিষয়টি জানায় অসম সরকারকে। শেষ পর্যন্ত দুবাই ও অসম পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শনিবার ভোর চারটে নাগাদ ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে। তার বাড়ি থেকেই মিলেছে মারাদোনার ওই ঘড়ি।
অসম পুলিশের ডিজি ভাস্করজ্যোতি মহান্তি ঘড়ি চুরির ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন। জেলার পুলিশ সুপার রাকেশ রোশন জানিয়েছেন, ওয়াজিদ নামে ওই ব্যক্তি ২০১৬ সাল থেকে দুবাইয়ের একটি সংস্থায় নিরাপত্তা রক্ষীর কাজ করতেন। তিন দিন আগে তিনি দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। সম্ভবত ঘড়ি চুরি করার কারণেই তিনি তড়িঘড়ি দেশে ফিরে আসেন। বিষয়টি আমাদের জানিয়েছিল দুবাই পুলিশ। দুবাই পুলিশের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে আমরা ওয়াজিদকে গ্রেফতার করেছি। পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁরা ওয়াজিদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তবে ধৃতকে দুবাই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
উল্লেখ্য, বেঁচে থাকাকালীন মারাদোনা তিনবার ভারতে এসেছেন। যার মধ্যে দু’বার এসেছেন কলকাতায় এবং একবার কেরলে। তিনি কখনও অসমে যাননি। কিন্তু ঘড়ির সুবাদে মারাদোনা পৌঁছে গেলেন অসমেও।