Bengaluru: হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অসত্য বলায় ১৭ মাস ধরে মর্গে পচছে কোভিডে মৃতের দেহ

News Desk, Bengaluru: করোনা ভাইরাস বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দেশের একাধিক পরিবারকে নিদারুণ আঘাত দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। কিন্তু বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) দুই পরিবারকে করোনা…

Durga Sumithra, 40, and Muniraju, in his 50s, died on July 2 last year

News Desk, Bengaluru: করোনা ভাইরাস বহু মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। দেশের একাধিক পরিবারকে নিদারুণ আঘাত দিয়েছে এই মারণ ভাইরাস। কিন্তু বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) দুই পরিবারকে করোনা এমন একটা আঘাত দিল যা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক।

২০২০ সালের ২ জুলাই (July) করোনা সংক্রমণের কারণে মৃত্যু হয়েছিল বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা দূর্গা সুমিত্রা (Druga Sumitra) (৪০) ও মুনিরাজু (৫০) (Muniraju) নামে দুই জনের । সেসময় বেঙ্গালুরু এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন অ্যান্ড মডেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, করোনায় (Corona) মৃতদের দেহ কখনওই পরিবারের হাতে দেওয়া যাবে না। এমনকী, দুই পরিবারের সদস্যদের তাঁদের মৃত আত্মীয়কে শেষ দেখাও দেখতে দেওয়া হয়নি। হাসপাতাল কতৃপক্ষ জানিয়েছিল, সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে দেহ পরিবারের হাতে দেওয়া হবে না। তারাই মৃতদেহ দু’টি সৎকার করবেন।

কয়েকদিন আগে ওই হাসপাতালের এক কর্মী মর্গে ঢুকে দেখতে পান, দু’টি দেহ এখন পড়ে রয়েছে। প্রায় ১৭ মাস ধরে দেহ দু’টি মর্গে পচছে। হাসপাতাল কর্মীর মুখ থেকে এই কথা জানার পর বেঙ্গালুরুর দুই পরিবারে এক অভাবিত নতুন ধাক্কা লাগল। প্রিয়জনকে হারানোর শোকের পাশাপাশি দেহ দু’টির শেষকৃত্য না হওয়ায় আরও এক নতুন আঘাত লেগেছে তাঁদের।

বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। কেন এরকম হল তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

ইতিমধ্যেই মৃত দুই ব্যক্তির পরিবার সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ তুলেছে। জানা গিয়েছে, দেহ দুটি ময়নাতদন্তের পর শেষকৃত্যের জন্য তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। অনেকেই বলেছেন, যদি ওই দুইজনের করোনায় মৃত্যু হয়ে থাকে, তাহলে কিভাবে সেই দেহ এখন পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে?

এই ঘটনার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার বিজেপি বিধায়ক সুরেশ কুমার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। মৃতদের দেহ নিয়েও ছিনিমিনি খেলেছে বেঙ্গালুরুর এমপ্লয়িজ স্টেট ইনসিওরেন্স কর্পোরেশন অ্যান্ড মডেল হাসপাতাল। এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া উচিত। যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত।