Bihar: ধর্ষণ মামলায় একদিনে শুনানি শেষ করে দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিউজ ডেস্ক, পাটনা: এদেশে কোনও বিষয় আদালতে (court) গড়ালে কবে যে তার নিষ্পত্তি হবে সেটা দেবতাও বলতে পারেন না। আদালতে কোনও বিষয়ের নিষ্পত্তি হতে গড়িয়ে…

Court

নিউজ ডেস্ক, পাটনা: এদেশে কোনও বিষয় আদালতে (court) গড়ালে কবে যে তার নিষ্পত্তি হবে সেটা দেবতাও বলতে পারেন না। আদালতে কোনও বিষয়ের নিষ্পত্তি হতে গড়িয়ে যায় বছরের পর বছর। কিন্তু এরই মধ্যে এক ব্যতিক্রমী উদাহরণ তৈরি করল বিহারের (Bihar) বিশেষ পকসো আদালত (pocso)।

৯ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণ (rape) ও শারীরিক নিগ্রহের ঘটনায় একই দিনে সমস্ত সাক্ষীর বক্তব্য শুনে অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা এবং তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিশেষ আদালতের বিচারক শশীকান্ত রাই। নাবালিকা নির্যাতনের এই মামলাটি আদালতে উঠেছিল ৪ অক্টোবর। ওই দিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ১০ জন সাক্ষ্য দিয়েছিলেন। উভয় পক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্য শুনেছিলেন বিচারক। সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষ হওয়ার পর বিচারক শশীকান্ত অভিযুক্ত দিলীপ কুমার যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করেন এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।

বিচারক রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বলেন, অভিযুক্ত দিলীপ কুমারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬-এর (এবি) ধারা এবং পোকসো আইনের ৬ ধারায় সমস্ত অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান এবং মেডিকেল রিপোর্টেও ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তাই দিলীপ কুমারকে নিঃসন্দেহেই দোষী সাব্যস্ত করা যায়। এরপর বিচারক দিলীপ কুমারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট এক নির্দেশে জানিয়েছিল, অভিযুক্ত এবং মামলাকারীদের যদি যুক্তি পেশ করতে কোনও অসুবিধা না থাকে তবে কোন মামলায় একই দিনে সাক্ষ্য-প্রমাণ শুনে দোষী সাব্যস্ত করা এবং চূড়ান্ত রায় ঘোষণা করা যেতেই পারে।

এই মামলাটিতে নির্যাতিতার ভাইয়ের সাক্ষ্য ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ নাবালিকার ভাই সে দিনের ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ আদালতকে জানিয়েছিল। দিলীপ তাকে চড় মেরে ঘর থেকে বাইরে বের করে দিয়েছিল। ভয়ের কারণেই সে ঘটনার সময় নিজেদের বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল বলে জানায়।