নিউজ ডেস্ক, পটনা: বিহারে বেশ কয়েক বছর আগেই মদ নিষিদ্ধ করেছিল নীতীশ কুমার সরকার (nitish kumar goverment)। অথচ মঙ্গলবার সকালে কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত বিহার বিধানসভা (bihar assembly) চত্বর থেকেই উদ্ধার হল রাশি রাশি খালি মদের বোতল (wine bottle)।
এ ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। কোথা থেকে এবং কারা বিধানসভার মত কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত এলাকায় ওই মদের বোতল নিয়ে এল তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ (police)। তদন্ত চলছে। ঘটনার জেরে বিরোধী নেতা তেজস্বী যাদব মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিহার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন। অধিবেশনের প্রথম দিনেই নীতীশ কুমার সরকার রাজ্যে মদ বিক্রি বন্ধ করার লক্ষ্যে একাধিক সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে। সরকার জানিয়েছে, মদ বিক্রি বন্ধ করতে প্রতিটি জেলায় পুলিশের বিশেষ বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এমনকী, ড্রোনের মাধ্যমেও নজরদারি চালানো হবে। ওই সিদ্ধান্তের ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে বিধানসভা ভবন চত্বর থেকেই উদ্ধার হল রাশিকৃত খালি মদের বোতল। মদের বোতল উদ্ধারের ঘটনা শাসক দল বিজেপি ও জেডিইউকে যথেষ্টই অস্বস্তিতে ফেলেছে।
মদের বোতল উদ্ধারের পর বেশ কয়েক ঘন্টা কেটে গেল এখনও নীতীশ সরকারের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি। আরজেডি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদব এদিন নীতীশ কুমারকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, বিধানসভা চত্বর থেকে মদের বোতল পাওয়ার ঘটনা অত্যন্ত লজ্জাজনক। এই মদের বোতল সেদিনই পাওয়া গেল যেদিন নীতীশ সরকার রীতিমতো বিবৃতি করে রাজ্যে মদ বিক্রি বন্ধ করতে একাধিক ব্যবস্থা ঘোষণা করেছে।
আসলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এই ঘোষণার মাধ্যমে শুধুমাত্র রাজ্যবাসীর দৃষ্টি ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। যারা মদ বিক্রি করছে, আর যারা খাচ্ছে নীতীশ কুমারের পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে আদৌ কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বরং তারা বুক ফুলিয়েই ঘুরে বেড়াচ্ছে। মদ বিক্রি থেকে সরকারের ঘরে কিছুটা হলেও রাজস্ব আসছে। সে কারণেই সরকার মদ বিক্রির বিষয়টি দেখেও দেখছে না। ।
রাজ্যে এভাবে বেআইনি মদ বিক্রির ফলে প্রাণ যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। তেজস্বী ছাড়াও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বিধানসভা ভবনে ২৪ ঘন্টাই থাকে পুলিশি নজরদারি। তারপরেও সেখানে কিভাবে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল এল? গতমাসেই বিহারে বিষ মদ পান করে প্রায় ৪৫ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যার প্রেক্ষিতে মদ নিয়ে আরও কঠিন নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিহার সরকার।