Kolkata24x7 Desk: ভারতীয় বিচারব্যবস্থার (judicial system) দীর্ঘসূত্রতা সর্বজনবিদিত। বিচার ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রতার অন্যতম কারণ পর্যাপ্ত বিচারপতির (justice) অভাব। বেশিরভাগ হাইকোর্ট (high court) এবং সুপ্রিম কোর্টে (supreme court) পর্যাপ্ত বিচারপতি না থাকায় বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হয়।
এ প্রসঙ্গটি আজ লোকসভায় উত্থাপন করেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাংসদ জানতে চান, বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে ৪০৭ জনেরও বেশি বিচারপতির পদ শূন্য আছে। এর কারণ কী? বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টের ২৩৩ জন স্থায়ী বিচারপতি এবং ১৭৪ জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগের সুপারিশ করেছে কলেজিয়াম। সেই সুপারিশ কি বাস্তবায়িত হয়েছে? যদি হয়ে থাকে তবে সরকার বিষয়টি বিস্তারিত জানাক।
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় আইন ও বিচার মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জানান, চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টে একজন মাত্র বিচারপতির পদ ফাঁকা আছে। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টে ৪০২ জন বিচারপতির পদ শূন্য রয়েছে। যার মধ্যে ১৬৪ জন বিচারপতি নিয়োগের প্রস্তাব কেন্দ্র ও কলেজিয়ামের মধ্যে আলোচনার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টের কলেজিয়াম থেকে ২৩৮ টি পদে নিয়োগের ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত কোনও সুপারিশ এসে পৌঁছয়নি। সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম যে সমস্ত নাম সুপারিশ করেছে একমাত্র তাঁদেরই হাইকোর্টের বিচারপতি পদে নিয়োগ করা হয়েছে।
রিজিজু আরও বলেন, বিভিন্ন হাইকোর্টের বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এবং অন্যান্য সিনিয়র বিচারপতিরা আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। শূন্যপদে তৈরির ছয় মাস আগেই তাঁরা এই নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন। বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্য স্তরে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হয়। তবে সরকার চেষ্টা করছে, বিভিন্ন হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের শূন্যপদের দ্রুত নিয়োগ করতে। বিভিন্ন বিচারপতির অবসর নেওয়া, বদলি হওয়া এবং পদোন্নতির হওয়ার কারণে বিভিন্ন হাইকোর্টের শূন্যপদ তৈরি হয় বলে রিজিজু জানান।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, চলতি বছরের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের ৯ জন এবং বিভিন্ন হাইকোর্টের ১১৮ জন বিচারপতি নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছে।