নিউজ ডেস্ক, তিরুঅনন্তপুরম: প্রায় সব ধরনের পণ্যকেই জিএসটির (gst) আওতায় আনা হয়েছে। তাহলে পেট্রোল (petrol), ডিজেলের (disel) মত পেট্রোপণ্যকে কেন জিএসটির আওতায় আনা হল না। কেন্দ্রের কাছে এই প্রশ্নের জবাব চাইল কেরল হাইকোর্ট (High Court)।
পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় না রাখার জন্য করোনা, (corona cituation) পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে জিএসটি কাউন্সিল। কিন্তু কাউন্সিলের এই বক্তব্যে স্পষ্টতই অসন্তোষ প্রকাশ করে কেরল হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার কেরল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি এস মণিকুমার এবং বিচারপতি শাহজি পি চালির বেঞ্চে পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে একটি মামলার শুনানি হয়।
এদিনের শুনানিতে জিএসটি কাউন্সিল আদালতকে জানায় করোনাজনিত কারণে বিষয়টি নিয়ে জিএসটি পরিষদের বৈঠকে আলোচনা হয়নি। কাউন্সিলের ওই বক্তব্যে দৃশ্যতই ক্ষোভ প্রকাশ করে বেঞ্চ। বেঞ্চের পক্ষ থেকে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতি একটা অজুহাত মাত্র। পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় না নিয়ে আসার বিষয়ে এটা কোনও কারণ হতে পারে না। কারণ করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও কাউন্সিল বেশ কয়েকবার বৈঠক করেছে। ওই বৈঠকে বিভিন্ন পণ্যের উপর আরোপিত করের হার নিয়ে পর্যালোচনা হয়েছে। তাহলে কেন বাদ পড়ল পেট্রোল ডিজেল। কাউন্সিল যা বলছে এটা কখনওই কোনও কারণ হতে পারে না। আদালত জানতে চায়, পেট্রোপণ্যকে কী কারণে জিএসটির আওতায় আনা যাচ্ছে না।
আদালত বলে, পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় না আনার বিষয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট কারণ থাকা উচিত। আদালত সেই কারণগুলি জানতে চায়। ওই বক্তব্যের পর বেঞ্চ জিএসটি কাউন্সিলকে পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় না আনার কারণ বিস্তারিত জানানোর জন্য নির্দেশ দেয়।
পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে আদালতের পর্যবেক্ষণ, পেট্রোল-ডিজেলের সাম্প্রতিক অস্বাভাবিক দাম সাধারণ মানুষের জীবন বিশেষ করে নিম্ন আয়ের পরিবারগুলিকে চরম সঙ্কটে ফেলেছে। নষ্ট করেছে দেশের আর্থিক স্থিতিশীলতা। বেঞ্চ আরও বলে, পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় না নিয়ে আসার কারণে সংবিধানের ১৪ ও ২১ নম্বর ধারা লংঘন করা হয়েছে। পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় না আনার জন্য করোনা পরিস্থিতিকেই ঢাল করেছে কাউন্সিল।
কিন্তু হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সেই দাবি খারিজ করে দিয়েছে। আদালত স্পষ্ট বলেছে, করোনা পরিস্থিতির জন্য পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনা সম্বিভব হয়নি, এই যুক্তি হাস্যকর। এটা মেনে নেওয়া যায় না। কেন আনা হয়নি এ বিষয়ে পরিষদ উপযুক্ত কারণ দেখাক। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে বেঞ্চ জানিয়েছে।