বেসরকারিকরণের পথে দিল্লির ঐতিহ্যশালী অশোক হোটেল

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: হোটেল চালিয়ে আর আগের মতো লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। বরং দৈনন্দিন খরচ চালাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে সরকারকে। দিন দিন বাড়ছে…

Delhi's traditional Ashoka Hotel

নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: হোটেল চালিয়ে আর আগের মতো লাভের মুখ দেখা যাচ্ছে না। বরং দৈনন্দিন খরচ চালাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হচ্ছে সরকারকে। দিন দিন বাড়ছে লোকসানের বোঝা। সেকারণে ৬৫ বছরের পুরনো দিল্লির অশোক হোটেলকেও (hotel ashok) এবার বেসরকারিকরণ করতে চলেছে নরেন্দ্র মোদি সরকার (modi goverment)। দেশের ঐতিহ্যশালী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে অশোক হোটেল অন্যতম।

৬৫ বছরের পুরনো (65 years old) এই হোটেলটির অনেক আসবাবপত্রই এখন বদলের সময় হয়ে গিয়েছে। নতুন আসবাবপত্র কেনা থেকে হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও নতুন করে সাজিয়ে তুলতে কম করে ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে বিশেষজ্ঞরা (expert) জানিয়েছেন। কিন্তু নরেন্দ্র মোদি সরকার আর সেই খরচের বোঝা বহন করতে পারছে না। সে কারণেই অশোক হোটেলও বেসরকারিকরণের (privatization) কথা ভাবছে সরকার।

উল্লেখ্য, দিল্লির এই হোটেলে বহু সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আয়োজন করা হয় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সেমিনারের। সরকারি অতিথিদের থাকার জন্যও এই ঐতিহ্যশালী হোটেলটিতে ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু খরচ চালাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত এই ঐতিহ্যশালী হোটেলটিও বেসরকারিকরণের চিন্তাভাবনা। সূত্রের খবর এই হোটেল বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা প্রায় তৈরি হয়ে গিয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে সরকার এই হোটেলটি ৬০ বছরের জন্য কোন বেসরকারি সংস্থাকে ইজারা বা লিজ দিতে চায়।

লিজ দিয়ে এককালীন একটা মোটা অংকের অর্থ ঘরে তোলার পাশাপাশি প্রতি বছর সংস্থার বার্ষিক লাভের একটি অংশও দাবি করতে পারে কেন্দ্র। নতুন করে যে সংস্থার হাতে এই হোটেলের দায়িত্ব বর্তাবে তাকেই অশোক হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও অন্দরসজ্জার কাজ করে নিতে হবে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সংস্থা হোটেলের ভিতরের নির্মাণও ভেঙেচুরে নতুন করে গড়ে নিতে পারে। তবে যেহেতু এটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান তাই বাইরের আকারে কোনও বদল করা যাবে না। যে কোনও ধরনের বদলের ক্ষেত্রেই হোটেলের ঐতিহ্য ধরে রাখতে হবে।

জানা গিয়েছে, চলতি আর্থিক বছরের মধ্যেই এই হোটেলটির বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করতে চাই কেন্দ্র। সেই লক্ষ্যে দ্রুত কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অশোক হোটেলের বেসরকারিকরণের প্রস্তাবে ছাড়পত্র দিতে পারে। তবে মন্ত্রিসভার অনুমোদন মিললেও শীঘ্রই বেসরকারিকরণ করা যাবে কিনা তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন। উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বেসরকারীকরণের মাধ্যমে যে বিপুল টাকা আনার প্রস্তাব রেখেছিলেন তার ধারেকাছেও পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। সে কারণেই তড়িঘড়ি অশোক হোটেলকেও বেসরকারিকরণের চেষ্টা শুরু হয়েছে।