নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: সম্প্রতি দেশের বাজারে পেট্রোল-ডিজেলের দাম লাগামছাড়াভাবে বেড়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম কমলেও দেশের বাজারে তার বিন্দুমাত্র আঁচ পড়েনি।
এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রকের কাছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল জানতে চান, শেষ তিন বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম কতবার বেড়েছে বা কমেছে? শেষ তিন বছরে কতবার দেশের বাজারে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে সার্বিকভাবে পেট্রোপণ্যের দাম বেড়েছে বা কমেছে? বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলে দেশের মানুষ যাতে তার সুবিধা পায় সেজন্য সরকার কী ব্যবস্থা নিয়েছে? দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা তেলের যে দাম নির্ধারণ করে সেটা উপযুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখতে সরকার কী পদ্ধতি অবলম্বন করে?
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদের ওই প্রশ্নের উত্তরে তেল ও গ্যাস মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী রামেশ্বর তিলি বলেন, ২০১০ সালের ২৬ জুন থেকে বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই দেশের বাজারে পেট্রোপণ্যের দাম ওঠানামা করে। আন্তর্জাতিক বাজারে দামের সঙ্গে ডলারের বিনিময় টাকার দাম, কর প্রভৃতির ওপর নির্ভর করে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি তেলের দাম চূড়ান্ত করে।
পরিসংখ্যান দিয়ে মন্ত্রী জানান, ২০১৯-২০ সালে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৮৯ ও ৭৯ বার। পাশাপাশি গ্যাসের দাম বৃদ্ধি হয়েছে ৯ বার। ওই বছরে পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম কমেছে যথাক্রমে ১২৪, ১১৯ ও ৩ বার।
মন্ত্রীর দেওয়া পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ সালে পেট্রোল ডিজেল, ও রান্নার গ্যাসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ৭৬, ৭৩ ও ৮ বার। অন্যদিকে ওই বছরের পেট্রোল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম কমেছে যথাক্রমে ১০, ২৪ ও ২ বার। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে পেট্রোল ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের দাম বেড়েছে যথাক্রমে ৬৯, ৬৭ ও ৪ বার। তুলনায় ওই তিন পেট্রোপণ্যের দাম কমেছে যথাক্রমে ৭, ১০ ও ১ বার।