নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: হলিউডের বিভিন্ন ছবি এবং কল্পবিজ্ঞানের গল্পে ভবিষ্যতের যুদ্ধের (future war)চেহারাটা কেমন হতে পারে বারেবারেই তার একটা ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। গোটা দুনিয়ায় যেভাবে প্রযুক্তির উন্নয়ন হচ্ছে তাতে আগামী দিনে যুদ্ধের গতিপ্রকৃতিও যে একেবারেই পাল্টে যাবে সেটা মেনে নিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার এক অনুষ্ঠানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) বলেন, দেশের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে ভবিষ্যতের যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে আমাদের প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থা ডিআরডিও (drdo)।
মঙ্গলবার ডিআরডিও আয়োজিত ‘প্রিপেয়ারিং ফর ফিউচার’ (preoareing for future) শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে রাজনাথ (rajnath sing) বলেন, বর্তমানে এবং আগত দিনে দেশ যে সমস্ত সম্ভাব্য বিপদের মুখে পড়তে পারে কিভাবে তার মোকাবিলা করা হবে সে ব্যাপারে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ডিআরডিও। আগামী দিনে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার বহুগুণ বাড়বে। প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে যুদ্ধক্ষেত্রেও। সে কথা মাথায় রেখেই প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি ও রোবটিক্স সংক্রান্ত বিষয় নতুন করে সংযোজন করা হয়েছে। এরই মধ্যে আরও একটি নতুন বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করেছে এই প্রতিরক্ষা গবেষণা প্রতিষ্ঠান।
বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থাও যাতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ কাজ করতে পারে তার জন্য অনুমোদন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ডিআরডিও। আগামী দিনে দেশের এই উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞানীরা প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও মজবুত ও অত্যাধুনিক করে তুলবেন। ভবিষ্যতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর করে তুলবেন, পাল্টে দেবেন আজকের চেহারা।
উল্লেখ্য, ডিআরডিও সম্প্রতি একাধিক অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে তোলার পিছনে ডিআরডিও অবদান অনস্বীকার্য। মাস দুয়েক আগেই অগ্নি-৫ মিসাইলের সফল উৎক্ষেপণ করেছে। গত সপ্তাহে রকেট লঞ্চার সিস্টেম পিনাকা এবং অত্যাধুনিক টর্পেডো বহনকারী স্মার্ট মিসাইলেরও সফল উৎক্ষেপণ চালিয়েছে ডিআরডিও। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এবং ডিআরডিও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী দিনের যুদ্ধে কোনভাবেই ভারত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবে না।