Goa Election: ভোটের মুখে বিধায়ক ‘হাতছাড়া’ পদ্ম শিবিরের

বিধানসভা ভোটের মুখে গোয়াই বড় ধাক্কা খেল বিজেপি শিবির। ভোটের মুখে হঠাৎই দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মাইকেল লোবো। দল ছাড়ার পর…

বিধানসভা ভোটের মুখে গোয়াই বড় ধাক্কা খেল বিজেপি শিবির। ভোটের মুখে হঠাৎই দলের বিধায়ক ও মন্ত্রীত্বের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন মাইকেল লোবো। দল ছাড়ার পর লোবো সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘এই দলে সাধারণ মানুষের জন্য নয়।’

সূত্র মারফত খবর, তিনি আজই কংগ্রেসে যোগদান করতে পারেন। নির্বাচনের ঠিক আগে এহেন ঘটনায় গেরুয়া শিবির যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়বে তা বলাই বাহুল্য। তিনি বলেন, ‘ আমি দলের সব পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে দিয়েছি। আগামী দিনে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয় তা আমিও দেখতে চাই। আমি বিজেপিও ছেড়ে দিলাম। ভোটাররা আমাকে বলেছেন যে বিজেপি সাধারণ মানুষের জন্য নয়।’ এর পাশাপাশি তিনি যে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন সেটারও স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, ‘ যে দলেই যাই, নিশ্চিত করব যে যেন সেই দল কিছু আসন জেতে।’ প্রসঙ্গত, মাইকেল লোবো সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ্যে তার দলের সমালোচনা করে বলেছিলেন যে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিকর যে দল তৈরি করেছিলেন এখন সেটা আর নেই।

২০১৯ সালে মনোহর পারিকরের মৃত্যু হয়। এরপর দায়িত্ব গ্রহণকারী মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্তের সঙ্গে তাঁর প্রকাশ্যে কথা হয়।

তিনি বলেন, “বিজেপি একটি পার্থক্য যুক্ত দল হিসাবে পরিচিত ছিল। ইদানীং জানা যায় যে এটি কোনও পার্থক্যযুক্ত দল নয়। দলের কর্মীদের এখন দলে কোনও গুরুত্ব নেই।”

এদিকে বিশিষ্ট মহলের দাবি, লোবোর এহেন আচমকা ইস্তফা এবং বিজেপি ত্যাগে গোয়ার বারদেশ অঞ্চলে সমস্যায় পড়তে পারে বিজেপি শিবির। কারণ এই অঞ্চলে মোট বিধানসভা আসনের সংখ্যা ৬। যার মধ্যে মাইকেল লোবোর আসন কালাঙ্গুটেও আছে। এদিন লোবোর ইস্তফার পর গোয়ার ৪০ সদস্যের বিধানসভায় বিজেপির সংখ্যা কমে দাঁড়ালো ২৪।