চিনকে (India-China) টেক্কা দিতে এবার পাল্টা ‘গুটি’ সাজাচ্ছে ভারত। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতকে কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলে চিন লাদাখ (Ladakh) অঞ্চলে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি ড্রাগন সেনারা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্যাংগং হ্রদ এর উপর একটি সেতু নির্মাণ করেছে বলে জানা যায়। ভারতীয় বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে সেই কথা স্বীকারও করে নেওয়া হয়েছে।
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র আরিফম বাগচি বলেন, “প্যাংগং হ্রদে চিনের সেনারা একটি ব্রিজ তৈরি করেছে। এই সেতুটি প্রায় ৬০ বছর ধরে চিনের অবৈধ দখলে থাকা অঞ্চলে নির্মিত হচ্ছে। আপনারা ভালো করেই জানেন যে ভারত কখনও এই ধরনের অবৈধ দখল গ্রহণ করেনি।” তিনি আরও বলেন, ভারতের নিরাপত্তার স্বার্থ যাতে পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকে, সে জন্য সরকার প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছে। “এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে সরকার গত সাত বছরে সীমান্ত অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাজেট উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করেছে এবং আগের চেয়ে অনেক বেশি রাস্তা ও সেতু তৈরি করেছে।
উল্লেখ্য, দুই বছর আগে প্যাংগং হ্রদ থেকে স্ট্যান্ড-অফ শুরু হয়। সীমান্তে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে দুই দেশের সেনা। এরপর পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠে যখন চিন সেনারা বেশ কয়েকটি পয়েন্টে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) লঙ্ঘন করে এবং ২০২০ সালে গালওয়ান উপত্যকায় একটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পরিসমাপ্তি ঘটে। কমান্ডিং অফিসার সহ ২০ জন ভারতীয় সেনা কর্মী শহীদ হন। তবে চিন দেশ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের কতজন সেনা মারা গিয়েছিল সে ব্যাপারে হিসেব দেয়নি।
১৩৫ কিলোমিটার দীর্ঘ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্যাংগং হ্রদ জুড়ে সেতুর উপর স্যাটেলাইট ফুটেজ এবং গ্রাউন্ড রিপোর্ট থেকে জানা যায় যে সেতুটি চিনএর ‘দখল’ এ থাকা এলাকা, যা খুরনাক নামে পরিচিত।
তারা জানায়, হ্রদের উত্তর ও দক্ষিণ তীরপ্রায় সম্পূর্ণ এবং সংযুক্ত হলে চিনের জন্য দূরত্ব ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি কমে যাবে।পাহাড়সহ দক্ষিণ ও উত্তরতীরে আধিপত্য বিস্তারের জন্য ও ভারতকে অস্বস্তিতে ফেলতে সেতুটি নির্মিত হয়েছে। ২০২০ সালে ভারতীয় সেনাবাহিনী গালওয়ান সংঘর্ষের কয়েক সপ্তাহ পরে আধিপত্য বিস্তারকারী উচ্চতা দখল করে।
সূত্র জানায়, সেতুটি এখন রুডোকের মাধ্যমে খুরনাক থেকে দক্ষিণ তীরে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব হ্রাস করবে। তারা জানায়, সেতুটি খুরনাক থেকে রুডোক পর্যন্ত রুট ১৭০ কিলোমিটারের পরিবর্তে ৪০-৫০ কিলোমিটারে কমিয়ে আনবে।
<
p style=”text-align: justify;”>যদিও ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, চিনকে রুখতে ও তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে একাধিক ব্রিজ ও রাস্তা নির্মাণের কাজ চালানো হচ্ছে।