নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রন (omicron) যে বিদেশ থেকে এসেছে এটা ঠিক নয়। বরং বলা যেতে পারে অনেক আগে থেকেই ওমিক্রন ভাইরাস ভারতে (presence in india) ছিল। দেখা গিয়েছে ভারতে ওমিক্রন ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি সাম্প্রতিককালে কোনও বিদেশ সফর (foreign tour) করেননি।
তবে সম্প্রতি ওমিক্রন ভাইরাস নিয়ে দেশজুড়ে যে সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে তা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ৷ কারণ এই ওমিক্রন ভাইরাস দেশের কাছে ছিল একটি সাবধানবাণী। এই মন্তব্য করেছেন সিএসআইআর-এর প্রধান রাকেশ মিশ্র (rakesh mishra)।
সিএসআইআর প্রধান রাকেশ আরও বলেছেন, ওমিক্রন আক্রান্তদের শরীরে খুব মৃদু উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। তাই গোষ্ঠী সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত এই ভাইরাসের বড় ধরনের কোনও প্রভাব পড়বে না। এটা অবশ্যই এক ইতিবাচক দিক। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কর্নাটকে এ দেশে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত দুই ব্যক্তির সন্ধান মিলেছিল। ওই ঘটনার জেরে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি নতুন করে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করেছে। জারি করা হয়েছে একাধিক নিষেধাজ্ঞা। কর্নাটকের যে দুই ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রন প্রজাতির সন্ধান মিলেছে তাঁদের মধ্যে একজন বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা।
সাম্প্রতিককালে তিনি কোনও বিদেশ সফর করেননি। এই ঘটনার জেরে কাউন্সিল অফ সাইন্টেফিক অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিয়াল রিসার্চের প্রধান রাকেশ মিশ্র বলেছেন, ওমিক্রন ভাইরাস মানেই সেটা বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে ছড়িয়েছে তা মনে করার কোনও কারণ নেই। বরং আমরা বলতে পারি, আগে থেকেই ওমিক্রন প্রজাতির ভাইরাস আমাদের দেশে ছিল।
শুধু তাই নয়, দেশের সব কটি বড় শহরেই খোঁজ করলে এই প্রজাতির সন্ধান মিলবে। তবে ওমিক্রন ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে খুব বেশি সংখ্যক মানুষকে যে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে তা নয়। পাশাপাশি আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হারও এখনও পর্যন্ত খুব বেশি নয়। এটা কিছুটা হলেও ইতিবাচক দিক। বলা যেতে পারে ওমিক্রন মানুষের জন্য অভিশাপ নয় বরং আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে।
অন্য বিশেষজ্ঞরাও স্পষ্ট জানিয়েছেন, ওমিক্রন ডেল্টা প্রজাতির তুলনায় অনেক বেশি সংক্রামক। কিন্তু প্রাণঘাতী অনেকটাই কম। বরং বলা যায় ওমিক্রন ভাইরাস মানুষকে আরও সাবধানী করে তুলবে। সম্প্রতি বেশিরভাগ রাজ্যেই মানুষ করোনা বিধি অমান্য করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠেছিল।
কিন্তু নতুন করে ওমিক্রন দেখা দেওয়ায় মানুষ করোনা বিধি মেনে চলতে শুরু করেছে। যা অবশ্যই ইতিবাচক ঘটনা। ওমিক্রন রুখতে করোনা বিধি এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই একমাত্র রাস্তা বলেও রাকেশ জানিয়েছেন। একইসঙ্গে করোনার হাত থেকে রক্ষা পেতে আরও একবার টিকাকরণের ওপর জোর দিয়েছেন সিএসআইআর প্রধান।