নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: সংসদের চলতি শীতকালীন অধিবেশন (winter season) শুরুর প্রথম দিনেই রাজ্যসভা (rajyashava) থেকে ১২ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করেছিলেন সভার চেয়ারম্যান এম বেঙ্কাইয়া নায়ডু। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ৩০ নভেম্বর থেকে গান্ধী মূর্তির (gandhi statue) পাদদেশে সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত প্রতিদিন ধরনা দিচ্ছেন সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা। শুধু যে সাসপেন্ড হওয়া ১২ জন সাংসদ ধরনা দিচ্ছেন তা নয়, বিভিন্ন বিরোধী দলের একাধিক সাংসদও (member of parliament) নিয়মিত যোগ দিচ্ছেন ওই ধরনায়।
একটানা ১০ দিনের বেশি ধরনা চলার পরও সরকারপক্ষ অবশ্য তাদের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেনি। তাই সরকারের প্রতি হুমকি দিয়ে শুক্রবার সাসপেন্ড হওয়া সাংসদরা বলেছেন, তাঁরা আগামী সপ্তাহে প্রতীকী অনশনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতে বিরোধী আন্দোলনের তীব্রতা বাড়লেও সরকার কোনও রকম ভাবে নরম মনোভাব দেখায়নি।
রাজ্যসভার চেয়ারম্যান প্রথমে জানিয়েছেন, সাংসদরা ক্ষমা চাইলে তিনি সাসপেনশন প্রত্যাহার করবেন। প্রত্যেককে আলাদা আলাদাভাবে চিঠি লিখে ক্ষমা চাইতে হবে। কিন্তু রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এই প্রস্তাব পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে বিরোধীরা। পরবর্তী ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান সাংসদের প্রস্তাব দিয়েছেন, যদি দু’জন সাংসদ আলাদা করে তাঁর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন তবে তিনি সকলের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে নেবেন।
তবে বিরোধীরা ওই প্রস্তাবও উড়িয়ে দিয়েছে। বিরোধীরা মনে করছে, এই প্রস্তাব দিয়ে সরকার আসলে বিরোধী ঐক্যে চিড় ধরানোর চেষ্টা করছে। তাই সাসপেনশনের প্রতিবাদে আগামী সপ্তাহে অনশন শুরুর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তাঁরা। শেষ পর্যন্ত সাংসদরা যদি অনশন ধর্মঘটে বসেন তাতে সরকারের উপর চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাশাপাশি তাঁরা এটাও জানতে চাইছেন যে, বিরোধীরা একদিনের প্রতীকী অনশন করবেন নাকি, অনির্দিষ্টকালের জন্য তাঁদের এই অনশন চলবে।