নিউজ ডেস্ক: গত সপ্তাহে দক্ষিণ আফ্রিকায় (South Africa) সন্ধান মিলেছে করোনার নতুন প্রজাতি ওমিক্রনের। এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট গোটা বিশ্বে আতঙ্ক তৈরি করেছে। ওমিক্রনের (Omicron) প্রবেশ রুখতে একাধিক দেশ ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
কয়েকদিন আগে নরেন্দ্র মোদি সরকার (Modi government) ঘোষণা করেছিল ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান (International Flight) পরিষেবা চালু হবে। সূত্রের খবর সেই সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসছে মোদি সরকার। অর্থাৎ ১৫ ডিসেম্বর থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালু হবে না। ওমিক্রন রুখতে ইতিমধ্যেই যথেষ্ট কড়াকড়ি চালু করেছে মোদি সরকার।
যে সমস্ত দেশে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেই সব দেশ থেকে আসা যাত্রীদের উপর কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিমানবন্দরেই তাদের করোনা পরীক্ষা এবং যদি পজিটিভ রিপোর্ট আসে তাহলে নিভৃতবাসে পাঠানো হচ্ছে।
অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রকের জয়েন্ট ডিরেক্টর এদিন বলেছেন, চলতি আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে কথা বলে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই মুহূর্তে ১৫ ডিসেম্বর থেকেই যে আন্তর্জাতিক উড়ান চালু হবে তা জোর দিয়ে বলা যাচ্ছে না। কারন সবার আগে মানুষের জীবন।
উল্লেখ্য, করোনার কারণে ২০২০-র মার্চ মাস থেকে আন্তর্জাতিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। যা দীর্ঘ ২০ মাস বলবৎ রয়েছে। আপাতত হাতেগোনা কয়েকটি দেশের সঙ্গে এয়ার বাবল চুক্তির মাধ্যমে বিমান চালানো হচ্ছে। এক সপ্তাহের মধ্যে ১২ টি দেশে ছড়িয়েছে করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। যথারীতি ওই দেশগুলি থেকে সব ধরনের যাত্রীর আসা বন্ধ করে দিয়েছে ইউরোপ, এশিয়া, উত্তর আমেরিকার বেশ কয়েকটি দেশ। তবে আমেরিকা এখনও কোনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আপাতত নতুন করে পর্যটকদের উপর বিধিনিষেধ বা লকডাউন জারির কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে তাঁরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন।
অন্যদিকে মার্কিন স্বাস্থ্য দপ্তরের ডিরেক্টর ফ্রান্সিস কলিন্স বলেছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে ওমিক্রন নিয়ে এত ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আশা করা যায়, ওমিক্রনকে রুখে দিতে পারবে করোনার বুস্টার ডোজ। যদিও ইতিমধ্যেই গোটা দুনিয়াতেই ওমিক্রনের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ভারত-সহ একাধিক দেশের শেয়ারবাজার পতন ঘটেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে কমেছে অপরিশোধিত তেলের দর। আর্থিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চলতি পরিস্থিতিতে বিশ্ব অর্থনীতির আর্থিক পুনরুজ্জীবন আরও ধাক্কা খাবে। ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে যে অনুমান করা হচ্ছিল তা নাও হতে পারে।