News Desk: আরিয়ান খান (Aryan Khan) মামলার তদন্তভার পাচ্ছেন নারকোটিকস কন্ট্রোল ব্যুরোর সিনিয়র অফিসার সঞ্জয় সিং (sanjay sing)। তবে শুধু আরিয়ান খান মামলাই নয়, আরও পাঁচটি মামলার তদন্ত করবেন সঞ্জয়। যার মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের (nabab malik) জামাই সমীর খানের মামলাটিও।
একদিন আগেই আরিয়ান খান মামলার তদন্তভার সমীরের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার সন্ধ্যাতেই এনসিবির পক্ষ থেকে মুথা অশোক (mutha ashok) জানিয়েছিলেন, আরিয়ান খান মামলা-সহ মোট ৬টি মামলার তদন্ত করবে এনসিবির বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিটি। যথারীতি সিটের নেতৃত্বে থাকছেন এনসিবির ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (অপারেশন) সঞ্জয় সিং। যদিও সমীরের (samir) দাবি, তিনি নিজেই আরিয়ান খান মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন।
তবে সমীর যাই বলুন না কেন, সকলেই মনে করছেন, ঘুষ, তোলাবাজি, প্রতারণার মতো একের পর এক অভিযোগ ওঠার কারণেই সমীরের হাত থেকে গুরুত্বপূর্ণ এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে মাদককাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন মহারাষ্ট্রের মন্ত্রী নবাব মালিকের জামাই সমীর খান। বর্তমানে জামিনে মুক্ত মন্ত্রীর জামাই। সমীর খানের জামিনের বিরোধিতা করে এনসিবি এবার নতুন করে আদালতে যেতে পারে। নবাবের জামাই সমীরের জামিনের বিরোধিতা করে এনসিবি আদালতে গেলে বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক শুরু হতে পারে বলে অনুমান।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এনসিবি একটি মাদক পাচারের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মন্ত্রীর জামাই সমীরকে গ্রেফতার করেছিল। এনসিবির অভিযোগ, ২০০ কেজি মাদক পাচারের ঘটনায় যুক্ত ছিল নবাবের জামাই। যদিও মন্ত্রীর দাবি, তাঁর জামাইয়ের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা। অকারণেই তাঁর জামাইকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। দীর্ঘ প্রায় আট মাস লড়াইয়ের পর সেপ্টেম্বর মাসেই জামিন পেয়েছেন সমীর।
সূত্রের খবর, এই ৬ মাদক মামলার তদন্তের দায়িত্ব নিয়ে এনসিবির বিশেষ তদন্তকারী দলের প্রধান সঞ্জয় সিং সমীরের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। এনসিবি যদি শেষ পর্যন্ত নবাব মালিকের জামাইয়ের জামিনের বিরোধিতা করে আদালতে আর্জি জানায় সে ক্ষেত্রে এই মামলা এক চাঞ্চল্যকর মোড় নিতে পারে। মাদক মামলায় আরিয়ান খান গ্রেফতার হওয়ার পরই এনসিবি তথা সংস্থার জোনাল ডিরেক্টরের সমীর ওয়াংখেড়ের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছেন এনসিপি নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী নবাব মালিক।
রাজনৈতিক মহলের অনুমান ঘুষ, তোলাবাজি, প্রতারণার মত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ ওঠার কারণেই সমীরকে এই মামলার তদন্ত থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। শুধু তাই নয় সমীরের বিরুদ্ধে শীঘ্রই বিভাগীয় তদন্ত শুরু হতে চলেছে বলে সূত্র খবর।