Number of women has increased
নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: দেশের জনসংখ্যার ইতিহাসে তৈরি হল এক নতুন মাইলফলক। দেশের জনসংখ্যার ইতিহাসে এই প্রথম পুরুষের (Male) তুলনায় মহিলার (Female) সংখ্যা বেশি হল। একই সঙ্গে কমল জনসংখ্যা (Population)। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের (National family health survey) সমীক্ষা রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এই মুহূর্তে ভারতে প্রতি ১০০০ পুরুষে নারীর সংখ্যা ১০২০জন। যা কিছুদিন আগে পর্যন্তও ছিল ৯৯১।
কেন্দ্রীয় নীতি আয়োগের স্বাস্থ্য বিভাগের সদস্য ড. বিনোদ কুমার পাল ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ এই খবর জানিয়েছেন। এই পরিসংখ্যান নিঃসন্দেহে উল্লেখযোগ্য। কারণ এতদিন দেশে ছেলের তুলনায় মেয়ের সংখ্যা ছিল অনেকটাই কম। এই প্রথম হিসাবটা পুরোপুরি উল্টে গেল। দেশের ২২ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপর এই সমীক্ষা চালিয়ে ছিল ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভে। এটা ছিল তাদের পঞ্চম দফার সমীক্ষা।
দিল্লি, চণ্ডীগড়, ছত্রিশগড়, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ-সহ দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৭০০টি জেলায় ছয় লাখেরও বেশি পরিবারের উপর এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। কয়েক লক্ষ কর্মী এই কাজ করেছেন।
প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, জাতীয় স্তরে মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার সংখ্যাও আগের তুলনায় কিছুটা হলেও কমেছে। ২০২০ সালে দেশের প্রতি মহিলার সন্তান সংখ্যা ছিল ২.২। চলতি বছরে যেটা কমে হয়েছে ২.০। চণ্ডীগড়ে এই হার আরও কম ১.৪। তবে উত্তরপ্রদেশে এই হার জাতীয় স্তরের তুলনায় সামান্য হলেও বেশি। উত্তরপ্রদেশে প্রতি মহিলার সন্তান সংখ্যা ২.৪। সমীক্ষা বলছে, গ্রামীণ এলাকার তুলনায় শহরে মহিলাদের সন্তান জন্ম দেওয়ার হার অনেকটাই কম। ওই সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে, দেশের জনসংখ্যা সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি নয় বরং কিছুটা কমেছে।
সমীক্ষা রিপোর্ট আরও বলছে, সারাদেশে হাসপাতালে শিশু জন্মের হার আগের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ বেড়ে ৮৯ শতাংশ হয়েছে। তামিলনাড়ু ও পুদুচেরির মত রাজ্যে ১০০ শতাংশ শিশু হাসপাতালেই প্রসব হয়েছে। সেই সঙ্গে অন্য সাতটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে হাসপাতালে শিশু জন্মের হার ৯০ শতাংশেরও বেশি।