News Desk: পুর ও নগর পরিষদ-পঞ্চায়েক নির্বাচনে বিপুল জয় পেয়েছে ত্রিপুরার (Tripura) শাসকদল বিজেপি। প্রবল ভোট সন্ত্রাস ও রিগিং অভিযোগে নির্বাচন নিয়ে অসন্তুষ্ট সুপ্রিম কোর্ট বারবার রাজ্যের বিজেপি সরকারকে নির্বিঘ্নে ভোট ব্যবস্থা পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছিল।
অভিযোগ, সেই নির্দেশ গিয়েছে ধুলোয় লুটিয়ে। ভোটে সন্ত্রাসের ভয়াবহ হামলা অব্যাহত ফল বের হওয়ার পরেও। রবিবার রাতভর চলেছে হামলা, বাড়ি ঘর ভাঙচুর। সর্বক্ষেত্রে হামলায় অভিযুক্ত বিজেপি।
পুর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করেন। তিনি লিখেছেন, ত্রিপুরাবাসীকে ধন্যবাদ। তাঁরা সুশাসন বেছে নিয়েছেন।
সুশাসনের ভয়াবহ ছবি সোমবার সকাল হতেই স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। শুধু আগরতলা নয়, জেলায় জেলায়, এলাকাভিত্তিক হামলা চলছে। গাড়ি ভাঙচুর, বিরোধী দল সিপিআইএমের সমর্থকদের উপর হামলা অব্যাহত। তেমনই আক্রান্ত হচ্ছেন তৃ়ণমূল কংগ্রেস সমর্থক ও প্রার্থীরা। আক্রান্ত কংগ্রেসও।
ভোটের ফল ঘোষণার পর ত্রিপুরার মু়খ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব জানান, এই জয় জনগণের জয়। ত্রিপুরার শাসকদল বিজেপির দাবি গণতন্ত্রের জয়। প্রধান বিরোধীদল সিপিআইএমের দাবি, গণতন্ত্র লুঠ হয়েছে। টিএমসি ভোটে ব্যাপক সন্ত্রাসের অভিযোগ করেছে। বিধানসভায় খেলা হবে বলে জানিয়েছে। কংগ্রেসের তরফে ভোটের ফল প্রত্যাখান করা হয়েছে। তিপ্রা মথা ভোট সন্ত্রাস নিয়ে সরব।
রবিবার পুর ও নগর পঞ্চায়েত-পরিষদ ভোটের ফলাফলে বিজেপি কার্যত একতরফা জয়ী। ফলাফল বিশ্লেষণে উঠে এসেছে ত্রিপুরায় পুর নির্বাচনে ৯৯ শতাংশ জয়ী শাসকদল বিজেপি।
মোট ২০টি পৌর এলাকার ৩৩৪টি আসন। বিজেপি জয়ী ৩২৯টি। ৯৯ শতাংশ আসনে জয়!
তাৎপর্যপূর্ণ, ৭টি পুর ও নগর পঞ্চায়েতে নির্বাচন হয়নি। এই এলাকাগুলিতে বিরোধীদের উপর হামলার বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল। ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্ব্বিতায় জয়ী হয় বিজেপি।
আগরতলা পুরনিগম সহ যে ১৩টি নগর পঞ্চায়েক ও পরিষদের ভোট হয়েছিল তার ২২২টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ২১৭টি। বিরোধী সিপিআইএম পেয়েছে ৩টি। টিএমসি একটি। তিপ্রা মথা ১টি।