নিউজ ডেস্ক, নয়াদিল্লি: লখিমপুর খেরিতে একটি অক্সিজেন প্লান্টের (Oxyzen plant) উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অজয় মিশ্র (ajay mishra) । সেখানেই সাংবাদিকরা তাঁকে তাঁর ছেলে আশিস মিশ্র সম্পর্কে প্রশ্ন করেন।
বিশেষ করে সিটের (special investigation team) তদন্ত রিপোর্টে তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত খুনের (planned murder) চেষ্টার যে কথা বলা হয়েছে সে প্রসঙ্গে প্রশ্ন তোলেন। এক সাংবাদিককে এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে রীতিমতো মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মন্ত্রী। প্রথমে ওই সাংবাদিকের মাইক বন্ধ করার চেষ্টা করেন তিনি। এরপর তিনি ওই সাংবাদিকের হাতে থাকা বুমটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এমনকী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ওই সাংবাদিকের প্রতি কটুক্তি করেছেন বলেও অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে।
বুধবার লখিমপুরে ওই অক্সিজেন প্লান্টের উদ্বোধন গিয়েই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন মন্ত্রী। ২৪ ঘন্টা আগে সিট তার তদন্ত রিপোর্টে জানিয়েছে, লখিমপুরের ওই ঘটনাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত। এমনকী, মন্ত্রীর ছেলের গাড়ি থেকে গুলি চালানোর কথাও স্বীকার করে নিয়েছে সিট। বুধবারই সিটের পক্ষ থেকে আদালতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে ও তার বন্ধুদের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করার জন্য আর্জি জানানো হয়। শেষ পর্যন্ত আদালত সেই আর্জি মেনেও নিয়েছে।
এ বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে মন্ত্রী মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে মন্ত্রী প্রথমে ওই সাংবাদিককে বলেন, আপনার কি মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে? কেন এ ধরনের বোকা বোকা প্রশ্ন করছেন। এরপরই মন্ত্রী ওই সাংবাদিকের মাইকটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় একসময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের বুমটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে মন্ত্রীকে ওই সাংবাদিককে চোর বলতেও শোনা গিয়েছে।
ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল হতেই ফের নতুন করে বিড়ম্বনায় পড়েছেন বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী অজয়। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা একাধিকবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে তাঁকে বরখাস্ত করার দাবি তুলেছে। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সিটের তদন্ত রিপোর্টে লখিমপুরে ঘটনাকে পূর্বপরিকল্পিত বলায় বিরোধীদের সেই দাবি আরও জোরদার হল। বিভিন্ন মহল থেকে চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত যদি অজয় মিশ্রকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় তবে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নিশ্চিতভাবেই আরও বেশি চাপে পড়বে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।