নিউজ ডেস্ক, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ থেকে প্রতিবছর ক্যান্সার (cancer patient) আক্রান্ত বহু মানুষ চিকিৎসার জন্য মুম্বই (mumbai) গিয়ে থাকেন। চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন সেখানেই থাকতে হয় আক্রান্ত রোগী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এজন্য তাঁদের অনেক টাকা দিয়ে ঘর ভাড়া নিতে হয়। সেই সমস্যা মেটাতে মুম্বইয়ে যাতে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী বা তাঁর পরিবারের লোকজন সস্তায় থাকতে পারেন সে জন্য বঙ্গভবন (Bangabhaban) তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee)। বঙ্গভবন বানানোর জন্য তিনি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে জমিও চেয়েছেন।
গত সপ্তাহে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন মহারাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন সে সময়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে আদিত্যের সঙ্গে তাঁর জমির বিষয়ে কথা হয়েছে। আদিত্য মহারাষ্ট্রের পরিবেশ মন্ত্রী। শিবসেনার মুখপাত্র সামনাতেই এই আলোচনার কথা তুলে ধরা হয়েছে। বৈঠকে উপস্থিত শিবসেনা নেতা তথা রাজ্যসভার সংসদ সঞ্জয় রাউত বলেছেন, মমতার জমির অনুরোধেই বোঝা যায় তিনি কতটা মানবিক।
সঞ্জয় বলেছেন, মমতার এই সফরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে তার দেখা হয়নি। কারণ মুখ্যমন্ত্রী অসুস্থ ছিলেন। তাই দেখা করেছিলেন তাঁর ছেলে আদিত্যর সঙ্গে। আদিত্যর সঙ্গে দেখা হতেই তিনি বাংলার ক্যান্সার আক্রান্তদের চিকিৎসার প্রয়োজনে বঙ্গভবন তৈরির জন্য জমি চেয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবি অত্যন্ত ন্যায়সঙ্গত। প্রতিবছর পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেশ কিছু মানুষ চিকিৎসার প্রয়োজনে মুম্বই এসে থাকেন। তাছাড়া স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই মহারাষ্ট্র ও পশ্চিমবঙ্গ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। দুই রাজ্যের মধ্যে একটা দীর্ঘকালীন মানবিক সম্পর্ক আছে। উভয় রাজ্যকেই এটা রক্ষা করতে হবে।
উল্লেখ্য, মুম্বইয়ে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, অসম, মেঘালয় ও উত্তরাখণ্ড ভবন আছে। এই ভবনগুলি মুম্বইয়ের অভিজাত পারলে এলাকায় রয়েছে। এই এলাকায় জমি পাওয়া খুবই কঠিন। এখন দেখার উদ্ধব ঠাকরে সরকার বঙ্গভবন তৈরির জন্য মমতাকে কোথায় জমি দেয়।