News Desk: সম্প্রতি এক তথ্য সামনে এসেছে যেখানে কলকাতায় গোষ্ঠী সংক্রমণের ইঙ্গিত স্পষ্ট। এরই মধ্যে ৫ জন করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলেছে যারা ওমিক্রনে সংক্রমিত। যার ফলে আরও চিন্তা বেড়েছে চিকিৎসক মহলে। আক্রান্তের প্রত্যেকেই বিদেশ থেকে ফিরেছেন এবং বর্তমানে হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন। এরফলে কেবল কলকাতায় ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬।
এই পরিস্থিতিতে নড়েচড়ে বসছে রাজ্য সরকার। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে কলকাতার ১০ টি ওয়ার্ডকে ‘হটস্পট জোন’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ওয়ার্ড ১০৯-এর কালিকাপুর, মুকুন্দপুর, অজয়নগর। ওয়ার্ড ৯৪-এর এনএসসি বোস রোড, প্রিন্স গোলাম মহম্মদ শাহ রোড, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড। ৮১ নং ওয়ার্ডের দেশপ্রাণ শাসমল রোড, চারুচন্দ্র অ্যাভিনিউ, টালিগঞ্জ রোড। ৭৪ নং ওয়ার্ডের চেতলাহাট রোড, বেলভেডিয়ার রোড, আলিপুর রোড। ওয়ার্ড ৭১-এর আশুতোষ মুখার্জী রোড, চৌরঙ্গী রোড, হরিশ মুখার্জী রোড, এজেসি বোস রোড। ওয়ার্ড ৬৯-এর বেকবাগান রোড, ডোভার রোড, শরৎ বোস রোড, সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউ, বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড। ওয়ার্ড ৬৫-এর তোপসিয়া, তিলজলা, বন্দেল রোড, বেকবাগান। ৬৩ নং ওয়ার্ডের লর্ড সিনহা রোড, এজেসি বোস রোড, জেএল নেহেরু রোড, বেলভেডিয়ার রোড, শেক্সপিয়ার সরণি, খিদিরপুর রোড। ৩১ নং ওয়ার্ডের ক্যানাল সার্কুলার রোড, সিআইটি স্কিম, কাঁকুড়গাছি।
হটস্পট জোনে সংক্রমণ বাড়লে আগামী ৩ জানুয়ারি থেকেই এলাকাগুলিকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হবে।
রাজ্যে ব্যাপক হারে বেড়েছে করোনা সংক্রমণের হার। এমন অবস্থায় ওমিক্রন রুখতে সকল জেলা আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
নবান্নের তরফে বলা হয়েছে, কোনো এলাকা ওমিক্রন সংস্পর্শে এলেই সেখানে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করতে হবে।
সন্দেহভাজনরা হোম আইসলেশনে আছেন কিনা খতিয়ে দেখতে হবে এবং কোনো সন্দেহভাজন ব্যক্তি বা পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা না গেলে নির্দ্বিধায় তাদের বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
চিকিৎসকদের মতে, নমুনা পরীক্ষার হার বাড়াতে হবে। নমুনা পরীক্ষা কত হচ্ছে এবং তার মধ্যে করোনা পজিটিভ কতজন সেই হিসেব রাখতে হবে।