নিউজ ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় জওয়াদের সরাসরি প্রভাব না পড়লেও, নিম্নচাপের জেরে লাগাতার বৃষ্টি চলার পর অবশেষে কাটল দুর্যোগ। মঙ্গলবার থেকে উন্নতি হবে আবহাওয়ার। দুর্যোগ কাটায় মঙ্গলবার থেকেই কমতে শুরু করবে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, সপ্তাহান্তে রাজ্যে ফিরবে শীতের আমেজ। সোমবার সকালেও কোথাও ভারী, কোথাও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। ৩ দিনের এই বৃষ্টিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে চাষবাসের জমিতে। উত্তরবঙ্গে আগামী ৫ দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ লাগোয়া জেলাগুলিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস। তবে আগামীকাল উত্তর-পূর্ব ভারতে বৃষ্টি বাড়বে। অসম, মেঘালয়, মিজোরাম, মনিপুর, অরুণাচলপ্রদেশ, ত্রিপুরাতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ঢুকেছে। এর প্রভাবে পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, দিল্লিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, রবিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা অবধি, ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টি হয়েছে ৭৫ মিলিমিটার। রবিবার নদীবাঁধ ভেঙে জল ঢোকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মৌসুনি দ্বীপে। এবার সমুদ্রবাঁধ ভেঙে ভাসল সাগরের বঙ্কিমনগর। ঘোড়ামারা দ্বীপেও ঢুকেছে সমুদ্রের জল। জলযন্ত্রণার ছবি হাওড়া পুর এলাকাতেও। টিকিয়াপাড়া থেকে দাশনগর, লিলুয়া বা সালকিয়ার বড়ো রাস্তা থেকে অল-গলি সর্বত্র জমেছে জল। তবে আস্তে আস্তে জল নামতেও শুরু করেছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন, উত্তর ২৪ পরগনা, নদীয়া ছাড়া আর কোথাও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।