অনলাইন ডেস্ক: অসুখ-বিসুখ হওয়া মানেই ওষুধ অনিবার্য। আর ছোট-খাটো সমস্যায় আমরা অনেকেই ডাক্তার। বাড়িতে বেশ কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ এনে রেখে দেওয়া থাকে। আর তা ইচ্ছেমত খেয়ে থাকেন অনেকেই।
এতে কী কী সমস্যা হতে পারে জানেন-
ওষুধের প্রয়োগ
সঠিক ওষুধ গ্রহণ করলে দু থেকে তিন মাত্রাতেই কাজ হয়। এই চিকিৎসায় ওষুধ সেবনের ৩০ মিনিট আগে খাওয়া উচিত নয়। ব্যথা বা ক্ষতস্থানে কোনও ওষুধ লাগানোর প্রয়োজন হলে আলতোভাবে মালিশ করে লাগাতে হবে এবং ক্ষতস্থানে গরম সেঁক দেওয়া চলবে না।
খারাপ ওষুধ
অনেকদিনের পুরােনা ওষুধ খাওয়া যাবে না। কারণ ওষুধের গুণ অনেকটা কমে যায়। খাওয়া উচিত টাটকা ওষুধ।ওষুধটা খারাপ কি না তার আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন। কারণ ওষুধ চোখের সামনে রাখলেই বোঝা যাবে তা ঘোলাটে ধরণের।
নিষিদ্ধ আহার
পেঁয়াজ, ডিম, টক রসুন, হিং খাওয়া চলবে না। চুন, চা, বিড়ি, সিগারেট, সোডা ইত্যাদি নেশা ত্যাগ করতে হবে।
ওষুধের সংরক্ষণ
যেখানে সেখানে ওষুধ রাখলে ওষুধের শক্তি কমে যায়।তাপ ও রোদের মধ্যে ওষুধ রাখলে ওষুধের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। ওষুধের সামনে যদি কোনও উগ্র দ্রব্য রাখা হয়। তাহলে ওষুধের গুণ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ওষুধ সংরক্ষণের ব্যাপারটা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
অ্যালোপ্যাথি থেকে হোমিওপ্যাথি
কোনও অ্যালোপ্যাথি থেকে চিকিৎসাধীন রোগী যদি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করাতে চান তাহলে স্থূল মাত্রার তিরিশ শক্তি দিয়ে শুরু করা উচিৎ৷ পরে প্রয়োজন হলে মাত্রার হেরফের ঘটবে।
ভয়ঙ্কর প্রতিক্রিয়া
ওষুধ অধিক মাত্রায় প্রয়োগ করা হলে তার পরিণাম ভয়ঙ্কর হতে পারে। যেমন- ন্যাক্স ভম হোমিওপ্যাথিতে সর্বাধিক উপকারি ওষুধ। কিন্তু অধিক মাত্রায় এটি প্রয়োগ হলে ধনুষ্টঙ্কারের মতো সাংঘাতিক পীড়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সবসময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া দরকার।
বাহ্যিক প্রয়োগ
ঘা, ঘাড়ের ব্যথা, ক্ষতে অনেকসময় ওষুধ বাহ্যিক প্রয়োগের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে ওষুধ লাগাতে হয়। ওষুধটি সঠিকভাবে নির্বাচন করে নারকেল তেল, ভেসলিন প্রভৃতির সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে এতে লাগাতে সুবিধা হয়।
নানা চিকিৎসা
বার বার চিকিৎসার পদ্ধতির পরিবর্তন, অর্থাৎ একবার অ্যালোপ্যাথি, একবার হোমিওপ্যাথি, একবার কবিরাজি এইভাবে চিকিৎসা করা উচিত নয়। এর ফলে রোগ কঠিন হয়ে পড়ে, জটিলতার সৃষ্টি হয়।
ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
সকালে খালি পেটে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে খুব উপকার দেয়। তবে অন্য সময়ে যে কাজ করে না, তা নয়।সাধারণভাবে স্থূল মাত্রায় ওষুধ সকালে ও রাতে শোয়ার আগে সেবন করা প্রয়োজন। প্রয়োজনে দুপুরে আরও একবার সেবন করা চলে। আর ওষুধ সেবনের ৩০ মিনিট আগে ও ৩০ মিনিট পরে কোনওপ্রকার আহার গ্রহণ করা উচিৎ নয়।
সাবধনতা
ব্যথা ক্ষ ক্ষতে মলম লাগাতে হবে আলতোভাবে। ঘষে ঘষে মালিশ করা চলবে না, আর হোমিওপ্যাথি ওষুধ লাগানোর পরে গরম সেঁক দেওয়া চলবে না।
জলপান
হোমিওপ্যাথি ওষুধ সেবন করার পর একটু বেশি জলপান করা উচিৎ কারণ এতে ওষুধের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
ওষুধের শক্তিবৃদ্ধি
লিক্যুইড ওষুধ সেবন করার আগে শিশির ছিপি না খুলে শিশিটাকে ভালো করে ঝাঁকিয়ে নিয়ে তা সেবন করলে ওষুধের শক্তি বৃদ্ধি পায়।